ভ্রমণের নেশা।
ভ্রমণের নেশা।


সারা বছর মন করে উরু উরু, কখন আসবে মাস জুন। করতে হবে ঠিক কোথায় যাব এবার পূজোর ছুটিতে। কাটতে হবে টিকিট চার মাস আগে। বুক করতে হটেল বাছার করে সুন্দরটি। সুর্পনাকী করোনার জ্বালাতে হয়ে গেল এই বছর সব মাটি।
তবুও, মন বলছে যেতে হবে এবার কোথাও কাছাকাছি। গত বছর গিয়েছিলাম গুজরাত ভ্রমণে। ইতিহাস প্রসিদ্ধ সবরমতী আশ্রম ভ্রমণ দিয়ে করেছিলাম শুরু। তার পরেই আর এক ঐতিহাসিক শহর লোথাল গেলাম ঘুরতে আমেদাবাদ থেকে। লোথালে গিয়ে মন চলে গেল কালচক্রের উল্টো গিয়ে ঘুর্ননে সুূদুর সিন্ধুসভ্যতার যুগে।কতো ছিল উন্নত সেই সভ্যতা।তবু চলে গেল ধ্বংসের কোলে চেপে চিরঘুমে। লোথালে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে কালচক্র যেন হঠাৎ দ্রুত ঘুরে এলো বর্তমানে। মনে আশঙ্কা চেপে বসলো তাহলে কি আমাদের সভ্যতাও একদিন ধ্বংসের কোলে চেপে চিরঘুমে চলে যাবে?
ড্রাইভারের ডাক কানে এলো চলুন স্যার আমেদাবাদ ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
গাড়ি ছুটলো ঋমেদবাদের দিকে,মাঝে কোন ধাবায় খেতে হবে দুপুরের খাবার। গাড়ি থামলো একটি ধাবায় এসে, যদিও তখন দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেছে। যাইহোক, ধাবাতে খাবার খেয়ে ধাবা চত্বরে থাকা অ্যালোভেরা কাউন্টার থেকে বেশ কিছু প্রোডাক্ট কিনে নিয়ে আবার গাড়ি চেপে সন্ধ্যা বেলায় পৌচালাম আমেদাবাদ শহরে। পরের দিন আমাদের যেতে হবে দ্বারকা ও ভেটদ্বারাকা। তাই তাড়াতাড়ি রাত্রির খাবার খেয়ে শুয়ে পড়লাম হোটেলে।