ভালোবাসা
ভালোবাসা
ক্লাবের দুর্গা প্রতিমা আনতে যাওয়ার সময় এক অপরূপা নারীর দিকে একদৃষ্টিতেই অমলের এক মিষ্টি প্রেমের সূচনা ঘটে। মেয়েটিও মুখের দিকে তাকিয়ে ছিলো। অমল লজ্জা পেয়ে সেদিক থেকে চোখ সরিয়ে নিলো। কিছুক্ষণ পর যখন মুখ তুললে দেখে নারীটি সেখানে নেই। চারিদিকে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল কিন্তু দেখতে পাইনি অবশেষে দুর্গা প্রতিমা নিয়ে এলো ক্লাবে।
যথাযথভাবে পঞ্চমী,ষষ্ঠী কেটে গেল সপ্তমীর দিন হঠাৎই আবার দেখা হল সেই মেয়েটির সাথে। এবার আর দেখা হলো না সরাসরি ধাক্কাই খেলো অমল। লজ্জায় কি বলবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না।অবশেষে মেয়েটি নিজের হাত বাড়িয়ে বলল আমার নাম রমা।তোমার নাম?অমল এবার কিছুটা কিন্তু কিন্তু বোধ করে বলল আমার নাম....অমল। এইভাবে একে অপরের প্রতি ভালোলাগার সৃষ্টি হয়। অষ্টমীর দিন ভালো করে দুজনে একসাথে অঞ্জলি দেয়, আস্তে আস্তে ভালোলাগা থেকে প্রেমের সৃষ্টি হয়। আনন্দের সাথে কাটতে থাকে দিন।দুজনে মিলে হাত ধরাধরি করে ঘুরতে যায়।
সমস্যা বাধলো দশমীর দিন রাত্রে ঠাকুর ভাসানের সময়। একদল কিছু লোক ভিড়ে মধ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে রমাকে স্পর্শ করে। রমার স্পর্শ কাতর জায়গায় স্পর্শ করে যেটা অমল কিছুতেই মেনে নিতে পারে না। অনেক কষ্ট করে রমা বুঝিয়ে ওখান থেকে নিয়ে চলে যায় অমলকে আবার কিছুক্ষণ পরে বদমাইশগুলো ভিড়ের মধ্যে আবার রমার হাত ধরার চেষ্টা করে। এবারের অমল কিছুতেই নিজের রাগ সামলাতে না পেরে দৌড়ে গিয়ে মায়ের হাত থেকে ত্রিশূল টা খুলে নেয় এবং মানুষরূপী অসুরদের সঙ্গে সঙ্গে বধ করে দেঋ।
একটা বিকট চিৎকারে সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়েছে পড়ে।কিছুক্ষণ পরে পুলিশ এসে অমলকে ধরে নিয়ে যায়। একটা মিষ্টি প্রেমের গল্পের পরিসমাপ্তি ঘটে। অমল জেলের মধ্যে থেকে রমার প্রতীক্ষা করে এবং রমা বাইরে বসে অমলে প্রতীক্ষা করে............