মিলন
মিলন
বিয়ের আর কিছু দিন বাকি। রিং সেরিমনি কমপ্লিট। যেহেতু আয়ান আর রিয়া একই বাড়িতে থাকে তাই একে অপরের কাছে আসার সুযোগটাও বেশি পায়। বিয়ে এখোনো চোদ্দো দিন বাকি। তাই বাড়িতে আসা আত্মীয়রা যে যার বাড়ি ফিরে যায়। এদিকে আয়ানের বাবা লন্ডনে থাকেন তাই অনেক কাজ পেন্ডিং এ ফেলে এসেছেন, তাই উনি উনার স্ত্রীকে (আয়ানের মা) নিয়ে চলে গেছেন। রিয়ার বাবা-মা চলে যেতে চাইলেও মেয়ে কষ্ট পাবে সেই ভেবে থেকে গেলেন।
সবাই চলে গেলে রিয়া তার রুমে পৌঁছে ডোর লক করতেই পেছন থেকে কেউ যেন জড়িয়ে ধরল। এই স্পর্শ অবশ্য ওর চেনা।
রিয়া- আয়ান কি করছো.. আমাকে ছাড়ো। আর তুমি আমার রুমে কি করছো যাও নিজের রুমে....
আয়ান- তুমি বড্ডো বেশি কথা বলো (রিয়ার ঠোঁটে আঙুল দিয়ে চুপ করিয়ে দিল) আমি আমার বউকে আদর করতে এসেছি (রিয়াকে সামনে ঘুরিয়ে বলল)
রিয়া- কিন্তু এখোনো তো আমি তোমার বউ হইনি (মুচকি হেসে বলল)
আয়ান- আর তো বেশিদিন বাকি নেই, এরপর তুমি হবে রিয়া সেনগুপ্ত থেকে রিয়া চৌধুরী (রিয়ার গালে আঙুল স্লাইড করল)
আয়ানের স্পর্শে কিছুটা কেঁপে উঠল রিয়া। রিয়ার লজ্জায় গাল দুটো লাল হয়ে গেছে তাই আয়ানের বুকে মুখ লুকালো।
আয়ান- ও বাবা.. আমার সুইটহার্ট লজ্জা পেয়েছে। আয়ান রিয়ার মুখ ধরে মুখটা উপরে তুলল, ওর কপালে আয়ান নিজের ঠোঁট ছোঁয়ালো। ধিরে ধিরে কপাল ছেড়ে সারা মুখে কিস করতে থাকে। রিয়া আয়ানের শার্ট খামচে ধরে থাকে। আয়ান রিয়ার ঠোঁটে ঠোঁট ডোবাতেই রিয়া ওকে জড়িয়ে ধরে রেসপন্স করতে থাকে। কিস করতে করতে আয়ান রিয়াকে তুলে বেড়ে নিয়ে আসে। কিন্তু হঠাৎ ই আয়ানের মনে হল আমাদের এখোনো বিয়ে হয়নি এতোটা এগিয়ে যাওয়া ঠিক নয়। রিয়া এতোক্ষণ এর কথা মনে করতেই ও লাফিয়ে ওয়াশরুমের দিকে দৌড় দিতে গেলেই আয়ান ওর হ
াতটা ধরে নিয়ে নিজের কাছে টেনে নিল। দুজনের হার্টবিট ফাস্ট চলছিল।
আয়ান- বেশি নয় আর কিছুদিন অপেক্ষা করো তোমার খবর আছে। আয়ান মুচকি হেসে চলে গেল।
রিয়া- কি বাজে লোক রে বাবা... বলে নাকি আমার খবর আছে।
আজ বিয়ের দিন। রিয়াদের বাড়িটা খুব সুন্দর করে সাজানো। সমস্ত আত্মীয়, পরিবারের সবাই মিলে খুব সুন্দর করে বিবাহ সম্পন্ন হল। দেখতে দেখতে রিসেপশনও খুব ভালো করে শেষ হলো। রিয়া আয়ানের রুমে ঢুকল। আগেও রিয়া অনেকবার এসেছে এই রুমে কিন্ত আজ রুমের পরিবেশটা একদম অন্যরকম আর সম্পর্কটাও আজ অন্য। চারিদিকে ক্যান্ডেল জ্বলছে, সাথে কিছু ছোট ছোট টুনিবাল্ব, বিছানাটা গোলাপের পাপড়িতে ভরা। সবমিলিয়ে একটা মাদক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। রিয়া আয়ানকে খুঁজছিল কিন্তু দেখতে না পেয়ে ওয়াশরুমে চলে গেল ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখল আয়ান বিছানায় বসে আছে। রিয়া একটা পিঙ্ক কালারের নেটের শাড়ি পরেছে, চুলগুলো একদম খোলা, ঠোঁটে লাল লিপস্টিক অপূর্ব লাগছে রিয়াকে। এইরূপে আয়ান কখনো রিয়াকে দেখেনি। একদম মায়াবী, রিয়ার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে আয়ান পুরো হারিয়ে যায়।
এবার রিয়া আয়ানকে জড়িয়ে ধরে, আর ওর গালে ছোটো করে কিস করে। আয়ানও রিয়াকে জড়িয়ে ধরে। আয়ানের হাতটা শাড়ি ভেদ করে রিয়ার পেট স্পর্শ করে। রিয়া কিছুটা কেঁপে ওঠে ওর স্পর্শে। এরপর আয়ান ওর গলায় কিস করতে শুরু করে, ওর ঠোঁট রিয়ার ঠোঁট স্পর্শ করে। ধীরে ধীরে ওদের গতি বৃদ্ধি পায়, নিশ্বাস দ্রুত পড়তে থাকে। আয়ান রিয়াকে কোলে তুলে বিছানায় এনে শুইয়ে দেয়। ওদের কাছে আসার প্রবনতাটা বাড়তেই থাকে। রিয়া আয়ানের শার্টের বোতাম খুলতে থাকে, ওদের জামাকাপড়ের স্থান হয় মেঝেতে। দুটো মন তো অনেক আগেই এক হয়েছিল আজ দুটো শরীরও এক হল।
দুজনের একে অপরের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা যেন আজ পূর্ন হল।