ভৌতিক অভিজ্ঞতা
ভৌতিক অভিজ্ঞতা
এটা আমার নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে লিখছি। আমার এই লেখাটা পড়ে তোমাদের হয়ত অনেকেরই হাসি পাবে। কিন্তু বিশ্বাস কর এই গল্পটা আমার বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া একটা মুহূর্ত। ঘটনাটি চার বছর আগের ঘটনা। আমি তখন ক্লাস IX এর student। বৈশাখের এক কালবৈশাখী ঝড়ের দিনে বিকেলে বেলায় আমি পড়তে যাব বেড়াচ্ছি তখন পশ্চিম আকাশে সেই মেঘেদের জমায়েত আরম্ভ হয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি করে পড়তে চলে যাই। সেই দিন প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছিল। গ্রামগঞ্জে ঝড় হলেই বিদ্যুতের সমস্যা। আমি ত বৃষ্টি হলেই বৃষ্টিতে ভিজি। সেদিও বৃষ্টিতে ভিজেছিলাম আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে। স্যার সেদিন অল্প একটু পড়িয়ে আমাদের সাথে প্রচুর গল্প করে। বাইরের বৃষ্টি যেন থামাতেই চাচ্ছে না আর তার সাথে চলছে আকাশে বিদ্যুৎের গর্জনের মেলা। অবশেষে বৃষ্টিটা থামল আমি ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি নটা বেজেছে। স্যারের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখি চারিধারে জলের মেলা বসেছে। গ্রামে যাদের দিন কেটেছে তারা জানে বৃষ্টিতে গ্রামের কি অবস্থার সৃষ্টি হ
য়। প্যান্টকে হাঁটু পর্যন্ত তুললাম তারপর আমার সাইকেলটা ঘুরিয়ে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে যাচ্ছি। বৃষ্টি অল্প অল্প পড়েছে কিন্তু ঠান্ডা বাতাস বইছে খুব আমি পুরো ভিজে গেছি । রাস্তায় কোনো মানুষজন নেই চারিদিক গাঢ় অন্ধকারে ঢেকে গেছে। হঠাৎ দেখলাম একটি মেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে,অন্ধকারে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। আমি জিঞ্জাসা করলাম কোথায় যাবেন। কিছুই বলে না আবার জিঞ্জাসা করতে ওপাশ থেকে একটা অস্পষ্ট আওয়াজ এল। তারপর হঠাৎ দেখছি দূরে একটা পুকুরের মধ্যে একটা আওয়াজ হচ্ছে। বৃষ্টিতে ভিজে টর্চ লাইটাও জ্বলছেনা ঠিক করে। আবছা ভাবে বুঝতে পারলাম সেই ভদ্র মহিলাটি পুকুরের উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রথমে আমার এই ব্যাপারটা অবাক লাগে কিন্তু পরক্ষণেই বুঝলাম এটা সত্য একটি দৃশ্য। তারপর হঠাৎ প্রচন্ড একটা বাতাসে আমি প্রায় ঘরের কাছাকাছি চলে আসি। ঠান্ডা পরিবেশেও আমি ঘেমে একেবারে স্মান করে ফেলেছে। ভয়ে কিছু বলতে পারছি না হৃৎপিণ্ডের স্পনদনও ঘড়ির থেকে দ্রত গতিতে দৌড়াচ্ছ। আজও এই ঘটনা আমাকে পাগল করে তোলে।