আবার দেখা
আবার দেখা
আজ তোমায় আবারও হলুদ শাড়িতে দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। হা করে তাকিয়ে আছি তোমার কাজলটানা দুই চোখের দিকে।
তোমার এই রূপ দেখেই আমার হৃদয়ের হৃদ-স্পন্দন স্তব্দ হয়ে গিয়েছিল আজ থেকে পাঁচ বছর আগে । আজও হৃদয়ের হৃদ-স্পন্দন থেমে গেছে শান্ত নদীর ন্যায়। মুগ্ধতার অতল সমুদ্রে নিমজ্জিত এখন আমি। চারিদিকের কোলাহল থেকে গেছে। শুধু শুনতে পাচ্ছি তোমার অপূর্ব চুলে বাতাসের অনুক্ষন স্পর্শের আওয়াজ। তোমার কোমল পদ্মের ন্যায় ঠোঁটের মুগ্ধ করা হাসি।তোমার হাতর ভর্তি চুড়ির মধুর টিং-টিং-টিং.......আওয়াজ। তোমার হাতে থাকা ওই ঘড়িটার আওয়াজে আমার হৃদয়ের স্পন্দন বুলেট ট্রেনের চেয়েও দ্রুত গতিতে চলছে এবার। পাঁচ বছর আগের অতীতের স্মৃতিগুলি বাধ্য দিচ্ছে আমায় তোমার প্রেমে পড়তে আবারও। আবারও তোমার ওই কোমল দুটি হাত শক্ত করে ধরে থাকতে। কোমল দুটি গালে স্পর্শ করতে। তোমার চুলের সুগন্ধে আবারও পাগল হতে। আবারও তোমায় আবদ্ধ করতে ইচ্ছে করে আমার শক্ত দুই বাহুর মধ্যে। এই সব ভাবতে ভাবতে চোখের জল আর বাঁধ মানতে চাইছে না। হঠাৎই দেখলাম তুমি আমার কাছে এসে দাঁড়িয়ে আছো। আমায় জেনো কিছু বলছো।
Shall I tell you something if you don't mind? Who would you say? You look exactly like one of my lost loved ones
আমি কিছুই শুনতে পারছি না আমার প্রিয়তমা কি বলছে আমাকে।
এই যে মশাই.........
হুম বলুন ( আমি কিছুটা ঘোরের মধ্যেই বললাম )
Please tell, whats your name
আমি চুপ করে থাকলাম।
কি হলো কিছু বলুন চোখের জল মুছতে মুছতে বললো।
I answered in a somewhat serious tone, "I am not the one you are looking for." আমি দেখছি ও আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছে। হয়তো আমাকে চিনতে পারছে না। কি করেই আর ও চিনবে। সেই এক বছর হয়ে
গেলো ওর সাথে আমার আর কোনো যোগাযোগ নেই। এখন আমার মাথা ভর্তি চুল আর খোঁচা খোঁচা মুখ ভর্তি দাঁড়ি।
কাঁদতে কাঁদতে উত্তর দিলো আমায় তুমি কোনে আমায় মিথ্যে বলছো? আমি তোমায় ঠিক চিনেছি।
(আমার খুব ইচ্ছে করছে তোমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বলতে, তুমি ঠিকই চিনেছো আমায় প্রিয়তমা ) আমি বলতে চেয়োও বলতে পারলাম না কথাটা। পাশ কাটিয়ে দ্রুত চলে গেলাম। দূরে গিয়ে sunglasse..টা খুলে রুমাল দিয়ে চোখের জল মুছে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি। হঠাৎ দেখি আমার দুই গালে হলুদ আবিরর ছোঁয়া দিলো চেনা দুটো হাতের স্পর্শ। আমি কিছু বলতে যাওয়ার আগেই.....
এই বাঁদর খুব বুঝি ভালো লাগে আমাকে কাঁদতে।
আমার কথা বেরোছেনা মুখ দিয়ে না। আমার কানটা শক্ত করে ধরে আছে। Stupid, idiot, কুত্তা কতো গালাগালি দিতে থাকে আমাকে। আমায় ঝড়িয়ে ধরে। আমার হৃদ স্পন্দনের গতি বেড়ে গেছে। আমতা আমতা গলায় বললাম - একি করছেন আপনি আপনাকে আমি চিনিনা।
এই থাপ্পড় দিলোই তোর সব মনে পড়ে যাবে।
এই বলেই কষিয়ে দিলো আমার গালে। একি করছেন আপনি?
এই বাঁদর বলনা তুই আমার যে তুই আমার আবির। কোনো আমার থেকে লুকোচ্ছিস। তোমার গন্ধ আমি কি করে ভুলবো। বলনা আমায়.......
কাঁদতে কাঁদতে আরও শক্ত করে ধরতে থাকে আমায়।
এবার আমি এবার আর নিজেকে ধরে রাখতে পারিনা। কিছু কান্না লুকিয়ে হাসতে হাসতে বললাম - যাই হোক তুই আমাকে ঠিকই চিনেছিস।
কথাটা শেষ হবার আগেই আরেকটা থাপ্পড় খেললাম। এই আর মারিস না আমাকে। আমি এই college....এর professor। আমার student..রা আমার দিকে তাকিয়ে আছে। plz ছেড়ে দে এবার।
কেনো ছাড়বো তোকে আমি। যে দেখার দেখুক। আমি তোকে আর ছাড়বো না।
আমার কোনো কথাই শুনছে না আমার এই পাগলিটা। আমি ওর গন্ধে পাগল হয়ে যাচ্ছি ক্রমশ।