ভালোবাসার স্নেহ
ভালোবাসার স্নেহ
হঠাৎ করে ফোনটা বেজে ওঠে।
কিরে কোথায় তুই!
রাস্তায় বাইক চালাচ্ছি।
আচ্ছা সাবধানে আয়। আমার টিউশানের ছুটি হয়ে গেছে।
হুম আমি যাচ্ছি! ফোন রাখ।
আমার পৌঁছতে অনেক সময় লেগে গেল.... একটা বাঁক নিতেই দেখতে পেলাম, স্ট্রিটলাইটের নিচে দাঁড়িয়ে রয়েছে আমার প্রিয়তমা। মুখে ভয়ের একটা ছাপ দেখতে পাচ্ছি। আমার বাইরের আলো দেখতে পেয়ে তার মুখে ভয়ের ছাপ কেটে হাসি উপচ্ছে পড়ছে। তার সামনে বাইক দাঁড় করিয়ে বললাম......
কি রে ভয় লাগচ্ছে তোর।
হুম লাগছিল। কিন্তু এখন আর লাগছে না।
আমি বললাম কেনো?
কা
রন আমার ভাই যে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ভয় পাবো আর কেনো বলত।
ইয়ার্কার ছলে বললাম, হুম এখন তো দ্বরকারের সময় ভাই। আর বিয়ে করে চলে যাবার সময় এই ভাই...এর কথা মনে পড়বে তোর।
হাসতে হাসতে দিদি বললেন, ছোটোবেলায় তোকে আমি আমার ছেলের মতো আগলে রেখেছি। এখন আমি আমার প্রেমিকার মতো তোর হাত ধরে চারিদিকে ঘুরি। আরে পাগল ভাই আমার, তুই যে আমার প্রথম প্রেম। বাইকে স্টার্ট দে এবার।
দিদির চোখে জলে, দিদি আমি জড়িয়ে ধরলাম। আমি ও থামিয়ে রাখতে পারলাম না আমার চোখের জল...........
কালো আকাশ পরিষ্কার হয়ে চাঁদের আলো পড়েছে রাস্তায়।