Turn the Page, Turn the Life | A Writer’s Battle for Survival | Help Her Win
Turn the Page, Turn the Life | A Writer’s Battle for Survival | Help Her Win

Manab Mondal

Abstract Inspirational

5.0  

Manab Mondal

Abstract Inspirational

চায়ের আড্ডা

চায়ের আড্ডা

2 mins
756


কলকাতা শহরের বুকে একটা বিখ্যাত চায়ের দোকান। আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনি চায়ের দোকানো এতো অভিজাত দাম্ভিক হতে পারে? মুম্বাইয়ে কাটিং , কলকাতায় দুটোকে তিনটে, আবুধাবি কিংবা সৌদি আরবে দাম্মাম শহরেও একটা চা দুই জন ভাগ করে খাবার চল আছে। চা মানে মোটামুটি ভাবে গরীব মানুষের প্রতিনিধিত্ব করে।

ও নিজের জন্য একটা চকলেট টি আমার জন্য একটা তন্দুরি চায়ের ওডার দিলো। আমি বাপু এই রকম চায়ের নাম প্রথম শুনলাম। এ দিকে গান চলছে " সায়েদ মেরে সাদি কা খেয়াল দিল মে আয়া হে"।

আমার মনে তখন চিন্তা হতে লাগলো। আজ বিয়ে কথাটা বলে ফেলতেই হবে।কাল রাতে আমার এক বন্ধু বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে বৌএর হাত সকাল বেলার চায়ের একটা অন্য প্রবাদ পেলাম।

তুমি বললে বৌ আর সন্তোষ কাকুর দোকানের চায়ের মধ্যে পার্থক্য কি? বরং সকাল বিকাল চায়ের দোকানে গিয়ে, রোজ তোমার, রবীন্দ্র নাথ, গিরিষ ঘোস, কাল মার্ক্স, লেলিন আইনস্টাইন, অমত্য সেন, শচীন টেন্ডুলকারদের সাথে দেখা হয়। আসলে এরা কেউ সশরীরে উপস্থিত না হলেও, এদের চেয়ে বেশি প্রতিভা ধর চায়ের আড্ডায় এসে নিজ নিজ ক্ষেত্রে জ্ঞান ও প্রতিভা জাহির করে। ( আমার শিবরামপুরের কথা ধারাবাহিক পড়ে দেখবেন ওখানে চা আড্ডাকে কেন্দ্র করে একটা রোমাঞ্চকর উপন্যাসের শুরু হয়েছে।) তাই হয়তো চায়ের আড্ডাটা miss করি সব সময় ।

কিন্তু দিনের মধ্যে প্রথমবার চায়ে চুমুক,বুঝি ভোরের সমার্থক শব্দ।বাড়িতে চা বানানো নিছক জল ফোটানো তারপর দুধ চিনি চা পাতা দিয়ে , কাপে কাপে ঢেলে দেয়া নয়।এ এক মস্ত আয়োজন।জল ফুটল, সোঁ সোঁ শব্দ ওঠে কেৎলিতে আর মন বলে,ভোর জাগছে!আগে থেকে চাপাতা দিয়ে রাখা পোর্সিলেনের হলুদ চিত্রবিচিত্রিত টিপটটিতে এবার ফুটন্ত জল ঢালা হবে আর তখনই সুগন্ধ ভাসবে। এবার টি কৌজি,পট মুড়ে নেবে। একটু থেমে চা আসবে কাপে। আমরা চিনি খাই না।তাই টুংটাং চামচ নাড়ানোর মূর্ছনা কত কথা বলবে।চায়ে চুমুক দেয়ার পর তৃপ্তির আহ্ শুনে , পাশের চেয়ারে বসা ঠোঁট হালকা হাসি হাসবে না,,জানলা দিয়ে পাশের বাড়ির মাধবীলতা দেখতে দেখতে চুপচাপ কথা বল আমরা, চায়ের বিলাসটুকু রঙীন করবে সকাল টাকে।

ওকে সবে প্রোপজটা করতে যাবো তখনই। একটা লম্বা চওড়া ছেলে হাজির। এসে বসলো আমার মুখোমুখি, ওর পাশে। খুব স্মার্ট ছেলেটা। সরাসরি বলল" নিছক আড্ডা মরতে আজ আমরা এখানে আনি নি। একটা দরকারি কথা বলতে । আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করলাম তাই সরি।"

ছেলেটাকে আমি চিনি না। কিন্তু আবভাব দেখে বুঝলাম ওর খুব চেনা।

আমার ভিজে বিস্কুটটা পট্ করে ভেঙে পরে গেলো। চায়ের আড্ডা আমাকে একটা কথা শিখিয়েছে বারবার। কারো প্রেমে কারো ভাবনায় বেশি ডুবতে নেই তাহলে নিজেকে ভেঙে পড়তে হয়। ,,,, বিস্কুটের ভেঙে যাওয়াটা দেখতে পেলো ও নিশ্চিত। কিন্তু হৃদয়ের ভেঙে যাওয়াটা কি ওর চোখে পরলো ????,,,,,,

,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,



Rate this content
Log in