(ভৌতিক সত্য ঘটনা) বাচ্চা খেকো জীন ও রিক্সা চালক
(ভৌতিক সত্য ঘটনা) বাচ্চা খেকো জীন ও রিক্সা চালক
এই ঘটনা টি ঘটেছিল আমার এক নানা ভাইয়ের সাথে। নানা ভাই ছিলেন একজন রিক্সা চালক,তিনি বেশি টাকা আয়ের জন্য প্রতিদিন রাতে রিক্সা নিয়ে সারা রাত রিক্সা চালাতো।
রাতে ভাড়া বেশি পাওয়া যেত তাই সে রাতে বের হতো ,
নানা ভাই একদিন রাতে রিক্সা নিয়ে আমাদের শহর থেকে প্রায় ৫-৬ মাইল দূরে ভাড়া নিয়ে গিয়েছিল যখন সে ফিরে আসছিলো - তখন প্রায় রাত ২ টা বা ৩ টা হবে। নানা ভাই যে রাস্তা দিয়ে আসছিলো সেটা ছিল মাটির কাঁচা রাস্তা ,রাস্তার দুপাশে সারি সারি খেজুর গাছ,চারদিকে সবকিছু যেন নিস্তব্ধ হয়ে আছে ,কোথাও কোনো মানুষ নেই। নানা ভাই তার রিক্সার নিচে ঝুলিয়ে রাখা হারিকেনের আলোয় পথ চলছে,হটাৎ পিছন থেকে কে যেন ডাক দিলো এই রিকশা থামাও আমাকে নিয়ে যাও ।
নানা ভাই রিক্সা থামিয়ে পিছনে তাকিয়ে দেখে এক সাদা লম্বা জুব্বা ওয়ালা তার দিকে আসছে ,নানা ভাইয়ের সামনে এসে জিজ্ঞাসা করলো ভাই সামনে একটি কবর স্থান আছে আমি সেই কবর স্থানের খাদেম ,আমাকে যদি ওই কবর স্থানের গেটে নিয়ে গেলে আমার খুব উপকার হতো। নানা ভাই লোকটির দিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখলো সুন্দর চেহারা মুখে সাটা লম্বা দাড়ি হয়ত কোনো আল্লাহ ওয়ালা হবে তাই সে তাকে রিক্সায় উঠতে বলল,লোকটি রিক্সায় উঠার পর নানা ভাই তাকে বলল ভাড়া কিন্তু ডাবল দিতে হবে।
তখন লোকটি কোন কথা না বলে চুপ করে রইলো ,যতক্ষণ পযন্ত কবর স্থানের গেট না পেলো লোকটি নানা ভাই এর সাথে একটি কোথাও বলেনি ,কবর স্থানের গেটে আসলে লোকটি নানা ভাই কে বললো তুমি এখানে দাড়াও আমি এখনি আসছি, তাই বলে সে কবর স্থানের ভিতর চলে গেলো। কিছুক্ষন পর একটা বস্তায় কি যেন নিয়ে ফিরে এলো ,নানা ভাইকে বললো তুমি আমাকে যেখান থেকে নিয়ে এসেছো সেখানে রেখে আসো। অনেক রাত হয়েছিলো তাই নানা ভাই লোকটিকে বললো আমি আর যাবো না আমি বাড়িতে যাবো ,আমার ভাড়া দিয়ে দেন। তখন লোকটি একটু যেন রেগে গিয়ে বললো তুমি চলো আমি তুমাকে অনেক মূল্যবান কিছু দেব তাই বলে লোকটি নানা ভাইয়ের হাতে কয়েক টি সোনার কয়েন দিয়ে বললো এটা নাও পরে আরো পাবে আর চলার পথে পিছনে একবার ও তাকাবে না তাহলে তুমার ক্ষতি হবে ।
নানাভাই কিছুটা মনের মধ্যে ভয় অনুভব করতে লাগলো ,তার পর ও নিরুপায় হয়ে লোকটিকে রিক্সায় বসিয়ে গন্তব্য স্থানে যেতে লাগলো। কিছুদূর যেতে নানাভাই তার পিছন থেকে একটা অদ্ভুত শব্দ শুনতে পেলো ,মনে হলো কেউ যেন পিছনে বসে কিছু খাচ্ছে ,সে আওয়াজ টা অন্য রকম ,নরম হাড় চিবালে যেমন শব্দ হয় - কর মর কর মর ,কর মর কর মর - এমন একটা আওয়াজ নানাভাই শুনতে পেলো। অনেক ক্ষণ ধরে নানা ভাই শব্দটা শুনছে তাই পিছনে কি হচ্ছে দেখার জন্য তার মন ব্যাকুল হয়ে পড়ল।
তখন নানা ভাই লোকটির নিষেধ করা কথাটি ভুলে গেলো , নিজেকে সামলিয়ে ভয়ে ভয়ে সে পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলো কি ভয়ঙ্কর দৃশ্য ,তার পিছনে বসা লোকটি আসলে মানুষ নয় ,,সে একটি ছোট বাচ্চাকে চিবিয়ে খাচ্ছে ,এমন এক ভয়ঙ্কর দৃশ্য যেটা চোখে দেখার নয়। হটাৎ লোকটি যখন বুঝতে পারলো নানা ভাই তার বাচ্চা খাওয়া দেখে ফেলেছে সে এমন ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করলো যা দেখে নানা ভাই ওই জায়গাতেই ভয় পেয়ে অজ্ঞান হয়ে পরে থাকে। রাত শেষ হলে ওই এলাকার কিছু মানুষ নানা ভাইকে হসপিটালে ভর্তি করে খোঁজ নিয়ে আমাদের কে জানায়। কিন্তু এর কিছুদিন পর নানা ভাই মৃত্যু বরন করে। আর ওই লোকটির দেওয়া সোনার মোহর আর কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না।
এই ঘটনাটি টি নানা ভাই তার স্ত্রী মানে আমার নানী কে মারা যাওয়ার কিছুদিন আগে বলে আর সেই ঘটনা টি আজকে আপনাদের কে আমি শোনালাম।
আশা করি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগছে। এই রকম ভৌতিক ঘটনা শুনতে আমার সাথে থাকুন। আজকে এই পযন্ত সবাই ভালো থাকবেন। ....