প্রজাতি রক্ষার যন্ত্র
প্রজাতি রক্ষার যন্ত্র
বিজ্ঞানের জয় যাত্রার কাহিনী এক দীর্ঘ ইতিহাস। গাছের গুঁড়ি ঠেলে চাকা আবিস্কার থেকে শুরু করে এমন চাকা আবিস্কার হলো যে তা বিমান ছেড়ে যাওয়ার সময় বডিতে গুটিয়ে যায়,আবার বিমান নামার সময় খুলে যায়। পাথরে পাথর ঠুকে যে আগুনের আবিস্কার হলো আজ তা সহজে গ্যাস থেকে পাওয়া যায়।
যা কিছু ছিল মানুষের কাছে শ্রমসাধ্য,কষ্টসাধ্য,ভয়ঙ্কর সেগুলোকে স্বল্প শ্রমসাধ্য,আরামপ্রদ ও নিরাপদ করে তোলা হলো বিজ্ঞানের এই জয় যাত্রার যাওয়ার মূল উদ্দেশ্য। এককথায় বলতে গেলে বিজ্ঞানের এই জয়
যাত্রা হলো আলোস্যের দিকে যাত্রা।
আর এই আলোস্যের জন্যই মানুষের কিছু অঙ্গের ব্যবহার কমতে কমতে একবারে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।আবার,কিছু অঙ্গের ব্যবহার অত্যধিক বেড়ে গেছে। তাই কিছু অঙ্গ হয় লুপ্ত,না হয় লুপ্তপ্রায় হয়ে গেছে। আর কিছু অঙ্গ আকারে ও আয়তনে বেশ বেড়ে গেছে।
দুই বিজ্ঞানী পঁচা ও থসা দেখতে পাচ্ছে যে মানুষের পা গুলো সেভাবে ব্যবহার না হওয়ার ফলে ধীরে ধীরে ছোট ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে, মানুষের মাথা, অধিক ব্যবহারের ফলে উত্তরোত্তর আয়তনে বিশাল বড়ো হয়ে যাচ্ছে। ফলে মানুষের উচ্চতা যে ভাবে ছোট্ট হয়ে যাচ্ছে তাতে একসময় মানুষ দেখতে গল্পের লিলিপুট দের মতো
হয়ে যাবে।
হাঁটা চলা না থাকায় মানুষের হাঁটার ক্ষমতা একেবারেই থাকবে না। পাগুলো ব্যাঙাচির লেজের মতো বা বড়ো জোর টিকটিকির লেজের মতো হয়ে যাবে।
কায়িক শরিশ্রম না থাকায় পেটে জমে থাকবে মেদ,পেটে হবে ইয়া বড়ো ভুরি। ফলে মানুষের পেট হবে রামসুক তেওয়ারির মতো।
মস্তিস্কে নিউরন সেলের সংখ্যা কতো গুণ বেড়ে যাবে তা হয়তো ক্যালকুলেটারে হিসাব করা যাবে না। প্রত্যেক মানুষের মাথা হবে এক একটা কুমড়ো। কোন মানুষের পক্ষে বিন্দুমাত্র নড়াচড
়া করা সম্ভব হবে না। তারা বড়ো জোর একটা সুইচ টেপার সৎ সাহস টুকু দেখাতে পারবে।
মানব প্রজাতির অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আরো উন্নত যন্ত্র আবিষ্কার করা প্রয়োজন। তাই বিজ্ঞানী পঁচা ও থসা শুরু করলো নিরন্তর গবেষণা। দীর্ঘ কয়েকযুগ গবেষণার পর অবশেষে তারা যে যন্ত্র আবিষ্কার করতে সক্ষম হলো তা হয়তো বা মানব প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় সমর্থ হবে।
তারা যে যন্ত্র আবিষ্কার করলো তা একটি চেয়ার,তার হাতলে একটি কি বোর্ড। চেয়ারের এক পায়ায় আঁটা আছে পাওয়ার হাউস। কি বোর্ডে সুইচ দিলে পাওয়ার হাউস থেকে বিভিন্ন ভেলোসিটির রশ্মি নির্গত হবে। এই রশ্মি একটা নির্দিষ্ট জিনিস এক একটা নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছাবে।
একটি কি টিপলে একটি থালাতে চাল ও জল এসে মিশে যাবে। অন্য একটি কি টিপলে ওই থালাটা সোঁ করে চলে যাবে সূর্যে। আর কি টিপলে থালা নেমে আসবে মানুষটির কাছে।
একটি কি টিপলে একটা পাত্রে ডাল ও জল এসে মিশে যাবে। আর একটি কি টিপলে ওই পাত্র চলে যাবে সূর্যে। অপর এক কি তে ডাল হয়ে নেমে আসবে।
এইভাবে কি বোর্ডের এক একটা কি দিয়ে একটা মানুষ ওই চেয়ারে বসে সব ধরনের খাবার নিজেই রান্না করে নিতে পারবে।
তারপর অন্যান্য কি এর সাহায্যে সব খাবার মিশিয়ে নিতে পারবে। খাবার মিশানো হয়ে গেলে অন্য একটা কি টিপে একটা চামচের সাহায্যে খাবার এসে মুখে ঢুকে যাবে।
অন্য একটা নির্দিষ্ট কি টিপলে জলের বোতল থেকে জল এসে মুখে পড়বে। আবার একটা কি টিপে ওইসব থালা বাসন গুলো পুকুর ঘাটে চলে যাবে। একটা কি টিপে ধুয়ে মেজে নিলেই হলো। অন্য একট কি টিপলে সেগুলো এসে নির্দিষ্ট জায়গায়,যেমন থালার জায়গায় থালা, কড়াইয়ের জায়গায় কড়াই রাখা যাবে।
এই মেশিন আবিষ্কার হলে মানুষ নড়াচড়া করতে না পারলেও মানব জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে না।