Debdutta Banerjee

Thriller Classics Action

2.5  

Debdutta Banerjee

Thriller Classics Action

কসৌলির সেই রাত

কসৌলির সেই রাত

8 mins
2.6K


কালকা ছাড়িয়ে পাকদন্ডি পথে বেশ কিছুটা উঠে এসেছিল সানায়াদের গাড়ি । পাহাড়ের উপর ফোর লেন তৈরি হচ্ছে বলে জ‍্যাম। একঘন্টার রাস্তা, অথচ তিন ঘন্টাতে ওরা দশ কিমির বেশি এগোয় নি। একটা আইসক্রিমের দোকানে কর্ণেটো কিনতে গিয়ে রায়ান শুনে এসেছিল বাঁঁদিকের পথটাও কসৌলী গেছে। যদিও সরু এবং খাড়াই। অবশেষে ওদের ড্রাইভার ঐ পথেই গাড়ি ঢুকিয়ে নিলো। পথটা ভয়ংকর সুন্দর। বহুদূর পর্যন্ত হরিয়ানা ও পাঞ্জাবের সমতল চোখে পড়ছিল। গাড়ি খুব কম এ পথে। লোকালয় নেই বললেই চলে। প্রায় বাইশ কিমি যাওয়ার পর হঠাৎ পিছনের একটা টায়ার দেহ রাখলো। স্টেপনি লাগিয়ে গাড়ি রেডি ক‍রতে আরো কিছুটা সময় কেটে গেলো। সন্ধ‍্যার দিকে ওরা যখন কসৌলী পৌঁঁছালো সারা পাহাড় আলোর মালায় সেজে উঠেছে। বহু দূরের পাহাড় গুলোতেও জোনাকির মতো আলো জ্বলছে। একটা খুব সুন্দর চার্চ ম‍্যালের পাশেই।দেখলেই বোঝা যায় বহু পুরানো। পাশেই কুয়াশা ঘেরা কবরখানা। কত রহস‍্য বুকে নিয়ে বেশ কিছু ভগ্নপ্রায় কবর চোখে পড়ে।ম‍্যালের পাশের ছোট্ট বাজার ছাড়িয়ে দু ধারে ব্রিটিশ শৈলির বহু পুরানো বাংলো বাড়ি গুলো দেখেই মন ভালো হয়ে গেছিল সানায়ার। প্রতিটা বাড়ির সামনে ফুলের বাগান ছোট্ট লন। কিছু বাড়ি অবশ‍্য জীর্ন এবং ভগ্নপ্রায়। রাস্তাটা ঢালু হয়ে নেমে গেছে এয়ারবেস পার হয়ে মঙ্কি পয়েন্টের দিকে। ঐ পথেই বেশির ভাগ হোটেল।

প্রথমেই টুরিজমের সরকারী রিসর্টে গেছিল ওরা কিন্তু হঠাৎ করে কিছু সরকারী আমলা এসেছে বলে ওখানে ঘর নেই। এর পর কয়েকটা প্রাইভেট হোটেলেও ঘর না পেয়ে বিরক্ত হয়ে উঠেছিল রায়ান। আসলে চন্ডিগড় বদলে হয়ে এসে হঠাৎ শনি রবি সোম ছুটি পড়ায় সানায়াই বলেছিল ঘুরতে আসার কথা। কসৌলিতে কম টুরিষ্ট যায় বলে বুকিং এর প্রয়োজন নেই ভেবেছিল ওরা। কিন্তু মে মাসের গরমের ছুটি শুরু হতেই এত টুরিষ্ট এসে যাবে ওরা বোঝেনি। ওদিকে আবার এই ছোট্ট টাউনে রাত হয় তাড়াতাড়ি। গাড়িটাও ছেড়ে দিতে হয়েছিল। ওরা পায়ে হেঁটেই হোটেল খুঁজছিল। চাঁদের আলোয় দেওদার আর চিরের ফাঁকে একটা দুটো হোটেল যদিও চোখে পড়ে রুম নেই কোথাও। একটা পায়ে চলা পথ পাইনবনের ভেতর ঢুকে গেছে, গাছের গায়ে হ‍্যাপি হোম স্টে লেখা। একটু চড়াই পার করে একটা পাথরের বাংলো দেখতে পেলো ওরা। ডাকাডাকিতে দারোয়ান বেরিয়ে এলো ঘুম চোখে। ওর কথায় বোঝা গেল আজ হঠাৎ মালিক এসেছে পরিবার নিয়ে, তাই ঘর পাওয়া যাবে না। ফেরার পথেই খাদের ধারে এই কাঠের বাংলোটা দেখেছিল সানায়া। চাঁদের আলোয় ফুলের বাগান আর লনটা বড্ড মায়াময়। বড় বড় কাচের জানালায় হালকা আলো বলছে কেউ রয়েছে ভেতরে। ছোট্ট কাঠের গেট ঠেলে বাগানে পা দিতেই ভেসে এল কুকুরের ডাক। ক‍্যাচ করে দরজা খুলে এক ভদ্রোলোক এগিয়ে এলেন, হাইট প্রায় সাড়ে ছফিট। পেটানো চেহারা, মুখে পাইপ, মাথায় টুপি। কাটাকাটা ইংরেজি উচ্চারণে বললেন কি চাই এতো রাতে।

রায়ান জানালো ওদের বিপদের কথা। ভদ্রলোক বললেন ওটা যদিও লজ বা হোমষ্টে নয় ওনার নিজের বাড়ি কিন্তু বেডরুম দুটো এবং উনি একা থাকেন। ওরা চাইলে রাতটা কাটাতেই পারে ওনার সঙ্গে। তবে পরদিন সকালে উনি চলে যাবেন দিল্লি। তাই ওদের সকালেই বেরিয়ে যেতে হবে হোটেলের খোঁজে। সানায়ারা তাতেই রাজি। অতরাতে একটা সুন্দর মাথাগোজার আশ্রয় পাওয়া গেছে আর কি চাই। 

সুন্দর সাজানো ড্রংই রুমে বসে ভদ্রলোক নিজের পরিচয় দিলেন মেজর ভার্মা। একটা বড় জার্মান শেফার্ড ওনার পায়ের কাছে বসা। দেখলেই ভয় লাগে। উনি বললেন দীর্ঘদিন দেশের হয়ে লড়াই করেছেন। এই কোসৌলীতেও ছিলেন শেষ দু বছর। এই জায়গার প্রেমে পরে এই ছোট্ট বাংলোটা কিনেছিলেন। যদিও বাড়ি দিল্লিতে। গরমে এখানে এসে থাকেন মাঝে মাঝে। বিয়ে করেননি।এই সারমেয় ওনার ছেলের মতো। রায়ানরাও নিজেদের পরিচয় দিলো। রাতে নুডুলস ছাড়া কিছু ছিল না ওনার ঘরে। সানায়ার সাথে কিছু কেক আর কুকিজ ছিল। কফি নিয়ে ওরা সবাই বসেছিল ড্রইং রুমে। রুপোলী চাঁদের আলোয় পাহাড় সেজে উঠেছে মোহময়ী রূপে। দূরে এয়ার বেস স্টেশন দেখিয়ে মেজর ভার্মা ওদের বলল -"কাল একবার ঘুমলেনা, ম‍্যাঙ্কি পয়েন্ট ওর হনুমান মন্দির হ‍্যায় উধার। "

রায়ান ওনার চাকরী জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনতে চাইছিল। উনি একাত্তরের যুদ্ধের গল্প বললেন। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন আজকাল কূটনৈতিক চাল দিতে নেতারা ওস্তাদ। যুদ্ধ আর হয় না। তবে চোরা গোপ্তা আক্রমন প্রায়ই হচ্ছে। সরকার সব জানে। ব‍্যবসা চলছে দেশটাকে নিয়ে। সাধারণ জনগন মারা যাচ্ছে এসবে।

সানায়া আর রায়ান একটু অবাক হওয়ায় উনি হিন্দিতে বললেন ,"আসলে যুদ্ধে জিততে পারবে না চীন বা পাকিস্থান। তাই ওরা এসব করে। মনে কর এই এয়ার বেস হিমাচলের একটা গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন। এখানের থেকে পাকিস্থান চীন তিব্বত সব জায়গায় লক্ষ‍্য রাখা হয়। এখন হঠাৎ করে যদি এখানে আগুন লাগে বা কোনো বড় কিছু ঘটে সবার দৃষ্টি এখানে এসে পড়বে। এই আগুন নেভাতে ব‍্যস্ত হয়ে উঠবে প্রশাসন। আশেপাশের ফায়ার স্টেশন গুলো থেকে লোকেরা চলে আসবে গাড়ি নিয়ে। পাহাড়ে জলের অভাব। তবুও ঐ এয়ারবেসকে বাঁচাতে শেষ জলবিন্দু পর্যন্ত শেষ করা হবে। কারন স‍্যাটেলাইট নির্ভর এই বেস স্টেশন, এর রাডার খুব প্রয়োজনিয়। ঠিক এই সময় যদি সিমলা ধরমশালা ডালহৌসি বা মানালিতে টেরারিষ্টরা কোনো ব্লাষ্টিং করে কি হবে জানো? পর্যটকের ঢল নেমেছে পাহাড়ে, আতঙ্ক ছড়িয়ে পরবে দ্রুত। সব ফায়ার ইঞ্জিন এখানে আটকা পড়ে যাবে। এই যে ফোর লেনের কাজ হচ্ছে টেরারিষ্ট রা এসব চায় না। কারণ পাহাড়ে যোগাযোগ ব‍্যবস্থা উন্নত হলে ওদের ক্ষতি। যদি এই সব পথ ঘাট উড়িয়ে দিতে পারে তাহলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে হিমাচলের বিভিন্ন অংশ। কাশ্মীর তো ওদের দখলে প্রায়। এই সব হিমাচলে শুরু করতে কতক্ষণ!!''

রায়ান বলে -"এসব তো খুব কঠিন ব‍্যাপার। এভাবে ....''

-"আসলে আমরা বারুদের স্তুপে বসে রয়েছি। কিন্তু জনগনকে তা জানাতে চায় না সরকার। তাই জনগন বলি হয় এসবের। আজ সরকার যদি কাশ্মীর কি অমরনাথ যাত্রা দু বছর বন্ধ রাখে, পর্যটক দু বছর ওদিকে না যায় লোকাল লোক না খেয়ে মরবে। তখন ওরাই বাধ‍্য হবে শান্তি ফেরাতে। টেরারিষ্ট দের ধরিয়ে দিতে। কিন্তু সরকার চায় না এসব। হিমাচলেও অশান্তি শুরু হবে। এটা এখানকার অফিসার দের বুঝিয়ে বলা দরকার। ওদের লক্ষ‍্য অন‍্যদিকে ঘুরিয়ে টন টন আরডিএক্স পৌঁছে যাবে সব জায়গায়। চেকিং নেই কোথাও। টুরিষ্ট সিজিন। হাজার হাজার গাড়ি ঢুকছে অথচ কোনো চেকিং নেই কোথাও। এই শান্তি কি করে থাকবে। "

-"আপনি তো অনেক উঁচু স্তরের লোকেদের চেনেন। বলছেন না কেনো তাদের?" সানায়া বলে।

উদাস হয়ে তাকায় মেজর। বলে -"বহুদিন আগে রিটায়ার করেছি। এখন আর কেউ শুনতে চায় না আমার কথা। কয়েকজন বড় অফিসারের নম্বর আছে আমার ডাইরীতে। কিন্তু....." একটা ছোট কালো নোটবুক বার করেন উনি। -"ওকে, গুড নাইট। আমি শুতে যাচ্ছি, কাল ভোরে চলে যাবো, তোমরাও হোটেল পেয়ে যাবে হয়তো। " নোটবুকটা টেবিলে রেখে সারমেয় সহ পাশের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করলেন উনি।

 কিছুক্ষণ দাঁঁড়িয়ে থেকে হলের উল্টো দিকের মাষ্টার বেডরুমের দিকে এগিয়ে যায় সানায়া আর রায়ান। 


ভোরের মিষ্টি রোদ চোখে পড়তেই উঠে পড়ে ওরা। মেজর সকালে চলে যাবে বলেছিল। হলে এসে কাউকে দেখতে পায় না সানায়া। রাতে ঘরটা খুব গুছানো পরিস্কার লাগলেও সকালে খুব মলিন লাগছিল। কার্পেটে ধুলা, চারদিকে ঝুল, পর্দা গুলো মলিন। বাইরের বাগানেও এত আগাছা রাতে চোখে পড়েনি। ছোট্ট নোটবুকটা রয়েছে সেন্টার টেবিলে।কি মনে করে সানায়া তুলে নেয় ওটা। ওরা নিজেদের ব‍্যাগ নিয়ে দরজা টেনে বেরিয়ে আসতেই একটা হেলিকপ্টারের আওয়াজ পেলো। কাল রাতের সেই দারোয়ানটা ওদের ঐ বাড়ি থেকে বেরাতে দেখে কেমন করে তাকিয়ে ছিল কিছুক্ষণ। কি বলতে গিয়েও চলে গেল যেন। আস্তে আস্তে নিচে নামতেই চোখে পড়ল আতঙ্কিত মানুষের ছোটাছুটি। ভোর রাতে এয়ার বেসে আগুন লেগেছে জানা গেলো। ওদের সামনে দিয়ে ছুটে গেলো দুটো দমকলের গাড়ি। হেলিকপ্টারে করেও জল দেওয়া হচ্ছে। এয়ার বেসের দিকে কাউকে যেতে দিচ্ছে না পুলিশ। মিলিটারিদের ছোটাছুটি চোখে পড়ল। ধপ করে বসে পরেছিল সানায়া। কয়েকঘন্টা আগে শোনা ঘটনা এভাবে সত‍্যি হবে ভাবেনি ও। লোকটা কি তবে..... ওর দলের কেউ কি...? কিন্তু ও তো বাঁচাতে চেয়েছিল। দ্রুত সানায়ার মনে পড়তে থাকে ওর পরের কথা গুলো। সব যদি সত‍্যি হয় তবে তো ....!! ব‍্যাগথেকে নোটবুকটা বার করে নম্বর গুলো দেখে সানায়া। ফোন তুলে ডায়াল করতেই প্রথমটা এনগেজ, পরেরটা রিং হলো না। তৃতীয় টায় রিং হচ্ছে। রায়ান নোটবুকটা কেড়ে অন‍্য গুলো ট্রাই করছিল ততক্ষণে। ওপাশে সারা পেয়েই সানায়া মেজরের পরিচয় দিয়ে বলতে লেগেছিল। রায়ান ও কাউকে বলছে একই কথা, ওরা কোথায় তাও বলল। মুহূর্তের মধ‍্যে একটা আর্মি জিপ আর দুটো ছোট গাড়ি এসে ঘিরে ফেলল ওদের। ওরা হাত দিয়ে মেজরের বাড়িটা দেখিয়ে কিছু বললেও হেলিকপ্টারের আওয়াজে কিছুই শোনা যাচ্ছে না। দু জন বড় অফিসার আর একজন মেজর ওদের নিয়ে ঐ বাংলোর দিকেই এগোলো। ওরা দরজা টেনে দিলেও দরজার লক লাগেনি। আবার সেই ড্রইং রুমে বসল সবাই। রায়ান আর সানায়া বলল ওদের মেজর যা যা বলেছিল। তিনটে কফি মগ আর নুডলসের বাটি তখনো সিঙ্কে নামানো। সানায়া নোটবুকটা এগিয়ে দিল অফিসারকে। বয়স্ক দু জন ফোনে ব‍্যস্ত হয়ে পড়েছিল ততক্ষণে। জায়গায় জায়গায় নাকাবন্দি করে চেকিংএর কথা বলছিল ওরা। যে শোওয়ার ঘরে মেজর শুয়েছিল সেখান থেকে ধুলা মাখা মেজরের একটা ফটো পাওয়া গেলো সামরিক পোশাকে।সানায়া ও রায়ান বলল একেই দেখেছে ওরা রাতের বেলায়। 

সানায়া বলল -"বেশি দূর যায়নি এখনো লোকটা। চেকপোষ্ট গুলোকে এলার্ট করলেই ধরা পড়বে হয়তো। ''

রায়ান বলে -"ওনার কথায় বুঝিই নি এত বড় ঘটনার পিছনে ওনার হাত রয়েছে। কিন্তু আমাদের এসব বলল কেনো? এটাই বুঝলাম না। হয়তো আরো বড় কিছু ভেবেছে লোকটা!!"

-"শটআপ ইউ...." গর্জে উঠলেন মেজর জয় প্রকাশ। কাটা কাটা ইংরেজি তে বললেন -"ডু ইউ নো হু ইজ মেজর ভার্মা!!'' 

রায়ান বুঝে পায় না সে কি ভুল করেছে। 

মেজর ভার্মা বলেন -"ও মেরা দোস্ত থা। ইস ঘরমে একসাথ কিতনা সাম বিতায়া হামনে। রিটায়ারমেন্ট কে বাদ ভি দেশ কে লিয়ে সোচতা থা। ইস বেস ক‍্যাম্প কো দো বার বাচায়া থা ভার্মা নে। পিছলে সাল দিল্লি যাতে হুয়ে উসকা কার খাইমে চলা গ‍্যায়া। বহুত বড়া হাতসা থা। ড্রাইভার ওর ভার্মা দোনো চলা গ‍্যায়া। লেকিন আজ ভি......"

সানায়া আর রায়ান চমকে উঠেছিল। কয়েকঘন্টা আগেও এই ঘরে বসেই লোকটা কত কি বলল, আর এনারা বলছেন লোকটা নেই!! কি করে সম্ভব। 

কয়েক মিনিট কারো মুখে কথা নেই। হেলিকপ্টারের আওয়াজ ছাড়া আর কিছুই শোনা যায় না। অনেকক্ষণ চুপচাপ সবাই, হঠাৎ মেজরের ফোনটা বেজে উঠল। মেইন রোডে সিমলার ম‍্যালের কাছে একটা পরিত‍্যক্ত গাড়িতে পাওয়া গেছে আরডিএক্স। একটু পরেই খবর এল কালকা স্টেশনেও পাওয়া গেছে। এর পর মানালী ডালহৌসি বিভিন্ন জায়গা থেকে খবর আসতে লাগল। ঠিক যেমন যেমন বলেছিল রাতের আগন্তুক। রায়ান আর সানায়া উঠে আসে মেজরের শোওয়ার ঘরে। কাল এই ঘরেই শেষ ঢুকেছিল লোকটা। ঘরটা ধুলা আর ঝুলে ভরা, বিছানার চাদর তখনো কুচকানো। সাইড টেবিলে পড়ে রয়েছে পাইপটা। 

হঠাৎ রায়ান ব‍্যস্ত হয়ে বেরিয়ে আসে। মেজর জয়প্রকাশ কে বলে -" কাল রাতে এ বাড়িতে একটা কুকুর ছিল। ডাকতে শুনেছিলাম। ''

-"মেজর কা গাড়ি মে ও ডগ ভি থা। মেজর উসে বেটা মানতা থা। উনকা সাথ ও ভি চলা গ‍্যয়া।লেকিন মেজর আজ ভি আপনা ডিউটি কর রাহা হ‍্যয়।"


হেলিকপ্টারের আওয়াজে চাপা পড়ে গেলো ওনার না বলা কথা গুলো। সানায়া আর রায়ান কাচে ঢাকা বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। হঠাৎ চোখে পড়ে ধুলো মাখা কাচের উপর হাতের আঙ্গুল দিয়ে কেউ লিখেছে ''থ‍্যাঙ্ক ইউ" বারান্দায় পাইপের মৃদু গন্ধ তখনো রয়েছে। 


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Thriller