নাগরদোলা
নাগরদোলা


বিয়ের প্রায় সাত বছর পর এই প্রথম প্রতীকের সাথে বাইরে ঘুরতে এসেছিল মিষ্টু। জীবনে প্রথম পাহাড় দেখে ও বিহ্বল হয়ে গিয়েছিল। পাক খেয়ে খেয়ে গাড়ীটা যত উঁচুতে উঠছিল ওর মনে হচ্ছিল ঐ বরফের চূড়াগুলোই স্বর্গ। মনে হচ্ছিল আর একটু পরেই ঐ স্বর্গে ও উড়ে বেড়াবে।
আসলে প্রতীক একটু ঘরকুনো, আর ওর একার রোজগারে শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ, দেওর আবার নিজেদের দুটো বাচ্চার সংসার টানতে টানতে ও হাঁঁফিয়ে উঠতো।
বিয়ের পর একবার গ্যাংটক যাবে কথা হয়েছিল, কিন্তু সেই সময় শ্বশুরের হঠাৎ করে হার্ট আ্যটাক করায় সেটা আর যাওয়াই হয় নি।
তারপর রিয়া আর রোহন হলো, এরপর ওদের বড় করা, সংসারের আর পাঁচটা ঝামেলা সামলে প্রতীক আর ওকে নিয়ে কোথাও যেতেই পারে নি। মিষ্টুর খুব ইচ্ছা ছিল পাহাড় দেখার। আজন্ম কলকাতায় বড় হয়ে কোনোদিন পাহাড় দেখেনি ও। বাবার বাড়ি যে একুশটা বছর কাটিয়ে এসেছিল তাতে মাত্র দুবার পুরী একবার দীঘা আর একবার সুন্দরবন ঘুরতে গিয়েছিল মিষ্টু।
আর স্কুল থেকে একবার শান্তিনিকেতন গিয়েছিল সে। বড়দির বিয়ে হয়েছিল ও যখন এগারো ক্লাসে, বছর বছর তুহিনদা বড়দিকে কত জায়গায় ঘোরাতো আর বড়দি বাপের বাড়ি এসেই কতগুলো এলবাম আর গল্পের ঝুলি নিয়ে
বসত। মিষ্টু আর মিঠি বড়দির গল্প শুনে স্বপ্ন দেখত তারাও একদিন বিয়ের পর এভাবেই ঘুরবে বরের সাথে। দিদির গল্প শুনে ভবিষ্যতের সুখস্বপ্নে বিভোর হয়ে যেত ছোট দুই বোন। মিঠি মিষ্টুর থেকেও দু বছরের ছোট।
প্রতীকের সাথে মিষ্টুর বিয়েটাও হঠাৎ করেই ঘটে যায়। বর্ধমানে বড়দির শ্বশুরবাড়ি ঘুরতে গিয়েছিল ও কলেজের পরীক্ষার পর। তুহিনদার বন্ধুর পিসতুতো ভাই প্রতীক, ওর বিয়ে ঠিক হয়েছিল বর্ধমানেই দিদির এক মামাতো ননদের সাথে। বিয়ের চারদিন আগে সেই ননদ মামন নিজের পছন্দ করা ছেলের সাথে পালিয়ে গিয়েছিল। এদিকে ছেলের বাড়ির মাথায় হাত।সব ব্যবস্থা হয়ে গেছে , আত্মীয়রা আসতে শুরু করেছে, ওরা সবাইকে ধরেছিল একটা বিবাহযোগ্য মেয়ে জোগাড় করে দিতে।
তিন মেয়ের বাবা অজয় বাবুকে তার বড় মেয়ে যখন ফোন করে প্রস্তাবটা দিয়েছিলেন উনি এটাকে ভগবানের আশীর্বাদ ভেবে নিয়েছিলেন। একরাতের মধ্যেই জামাইকে নিয়ে উনি সব ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিলেন। প্রতীক সম্বন্ধে খোঁজখবর বড়জামাই আগেই নিয়ে রেখেছিলেন, তাই ঐ তারিখেই মামনের বদলে মিষ্টুর সাথে বিয়ে হয়ে গিয়েছিল প্রতীকের।
মিষ্টুর মনে একটু কিন্তু ছিল, সেভাবে বাজার হাট কিছুই হল না, মা এর গহনা যা ছিল তা থেকেই ওকে হাতে কানে গলায় মোটামুটি সাজিয়ে বাবা ওকে সম্প্রদান করেছিলেন । শ্বশুরবাড়ি চন্দননগর হলেও বর্ধমানে বসেই বিয়ে হয়েছিল, কারন প্রতীকের বাবা সবাইকে বলেছিলেন বর্ধমানের মেয়ে, মেয়ে যে বদলে গেছে তা আর সবাইকে নতুন করে জানাতে চাননি উনি। তাই মিষ্টুর বেহালার বন্ধুরা, পাড়া প্রতিবেশী কেউই যায়নি ওর বিয়েতে। বাবারও তেমন কোনো খরচ হয় নি ওকে পার করতে। ভবন, ক্যাটারার সব তো ঠিক হয়েই ছিল মামনের। জীবনের নাগরদোলায় মামনের বদলে মিষ্টু পার হয়ে গিয়েছিল এভাবেই।
মিষ্টু ঐ একঘেয়ে জীবন থেকে বেরিয়ে এক নতুন জীবনে গিয়েছিল মনে অনেক আশা নিয়ে। কিন্তু বিয়ের পর বুঝেছিল সবার জীবন বড়দির মতো হয় না। বড়দির ছিল টোনা-টুনির সংসার। পাঁচ বছরেও ওদের মাঝে তখনও কোনও নতুন অতিথি আসেনি । অথচ তাই নিয়ে বললে ওরা বলত ওরা এখনি চায় না কারো দায়িত্ব নিতে। ওদের মাথার উপরও কেউ ছিল না। তুহিনদার রেলের চাকরীর সুবাদে ওরা পাশ পেতো আর প্রচুর ঘুরতো।
সেখানে মিষ্টুর দেওর আর ননদ কলেজে পড়ছিল, শ্বশুর প্রাইভেট কোম্পানি থেকে রিটায়ার্ড, শাশুড়ির হাতে সংসার। একমাত্র ওর বরের রোজগারে এতবড় সংসারটা চলত। গড়িয়ায় একটা কলেজে পড়াতো প্রতীক। সকাল সাতটার মধ্যে সেদ্ধ ভাত খেয়ে বেরিয়ে যেত সে। বিকালে একটা কোচিং-এ পড়িয়ে রাত নটা থেকে দশটায় বাড়ি ফিরত রোজ । তার পেছন পেছন সকালে দেওর আর ননদ ও কলেজে যেত। তবুও মিষ্টুর মনে কোনো দুঃখ ছিল না। কারণ এবাড়ির সবাই তাকে আপন করে নিয়েছিল। দেওর আর ননদ বৌমণিকে চোখে হারাত। সব খুনসুটি তার সাথে, কোনো কিছু তাকে না দিয়ে খেতো না। অন্যদিকে শাশুড়ি ছিলেন মাটির মানুষ। আর প্রতীক ছিল সত্যিই ভালোমানুষ। আদর সোহাগে ওকে ভরিয়ে তুলেছিল।
বাতাসিয়া লুপে দাঁড়িয়ে একমনে পাহাড় দেখছিল মিষ্টু হঠাৎ দেখা ছোটবেলার বান্ধবী আইভির সঙ্গে। কলেজের পর আর দেখাই হয় নি ওর সাথে। আনন্দে দুজনের চোখেই জল এসে গেছিল।
আইভি নিজের বরের সাথে আলাপ করিয়েছিল। ওর বর শুভম কোনো মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানির ম্যানেজার। ওদের একটি মেয়ে টায়রা, তিন বছরের ছোট্ট পুতুল একটা। শুভমের নেশা ফটোগ্ৰাফি। সে ফটো তুলতে এগিয়ে গিয়েছিল। প্রতীকও দূরে একটা স্টলে কিছু কিনতে ব্যস্ত। আইভির কথা শেষই হতে চায় না আর। ও যাদবপুরে থাকে। বার বার করে যেতে বলেছিল মিষ্টুকে। নিজের ফোন নম্বর দিয়েছিল, মিষ্টুর নিজের ফোন নেই শুনে অবাক হয়েছিল। আরো অবাক হয়েছিল মিষ্টু জয়েন্ট ফ্যামিলিতে সবাইকে নিয়ে থাকে শুনে। মিষ্টু ছেলেমেয়েকে দাদু ঠাম্মার কাছে রেখে এসেছে শুনে ও এক মিনিট শুধু তাকিয়েই ছিল ওর দিকে। ও চলে যাওয়ার পর মিষ্টু ভাবছিল আইভিরা একসময় খুব আর্থিক কষ্টের মধ্যে বড় হয়েছিল। এখন ওর অবস্থা বেশ ভালই মনে হল।
কলকাতায় ফিরে আইভির সাথে যোগাযোগটা রেখেছিল মিষ্টু। একদিন প্রতীক কলেজ যাতায়াতের পথে ওকে পৌঁছে দিয়েছিল যাদবপুরে। আইভির ঝাঁ-চকচকে ফ্ল্যাটে আধুনিক জীবন যাপনের সব রকম বিলাসিতার উপকরণ মজুত। মেয়ে পড়ে ডে বোর্ডিং এ। শুভম সে সময় ট্যুরে। সারাটা দিন গল্পের মধ্যে কাটলেও এই প্রথম নিজের জীবনটাকে বড় বিস্বাদ মনে হলো মিষ্টুর। আইভি স্বাধীন। বড়দি স্বাধীন। মিঠিরও ভালো বিয়ে হয়েছে। টাটাতে থাকে। ওর জীবনটা যেন রূপকথার মত। একমাত্র মিষ্টুর জীবনটা বর্ণহীন, কেমন অগোছালো। রাতে বিছানায় ওর পরিবর্তনটুকু ধরা পড়েছিল প্রতীকের চোখে।
কয়েকবার আইভির বাড়ি ঘুরে এসেই মিষ্টু জীবনে প্রথম প্রতীকের কাছে আব্দার করেছিল সাউথ কলকাতায় নিজেদের একটা ফ্ল্যাটের। যেখান থেকে প্রতীকের অফিস কাছে হবে। প্রতীক অবাক হয়ে তাকিয়েছিল। যদিও ভাই বোন দু জনেই তখন দাঁড়িয়ে গেছে বলে সংসারে স্বচ্ছলতা এসেছে তবু আলাদা হয়ে ফ্ল্যাট কেনার কথা প্রতীক ভাবেই নি কখনো। বাবা মা কে ছেড়ে থাকতে হবে একথা মাথায় আনেনি। কিন্তু মিষ্টুর বক্তব্য সে কি কোনোদিন নিজের সংসার করবে না? এই ভাগের একটা ঘরে ছেলে মেয়ে নিয়ে কষ্ট করবে কেন? প্রতীকের কলেজের কাছে থাকলে প্রতীক বাচ্চাদের সময় বেশি দিতে পারবে। ওখানে ভালো স্কুলে বাচ্চারা পড়বে.....'
আসলে প্রতীক বোঝে এখন আর মিষ্টুকে বোঝানো যাবে না। কয়েকদিনের মধ্যেই মিষ্টু আইভির সাহায্যে ফ্ল্যাটের খোঁজ শুরু করে। শান্ত স্বভাবের প্রতীক ওকে বোঝাতে পারে না। পরের মাস থেকে শনি-রবিবার গুলো ফ্ল্যাট দেখার জন্য বরাদ্দ হয়। মিষ্টু বাড়িতেও একটা আভাস দিয়েছিল প্রতীক বুঝতে পারে। বাবা মা কিন্তু মিষ্টুর বিরোধিতা করেনি। বরঞ্চ বাবা বলেছিল কলকাতায় একটা ফ্ল্যাট থাকা ভালো।
অবশেষে গড়িয়া বাইপাসে তিনদিক খোলা দেড় হাজার স্কোয়ারফিটের দক্ষিণ মুখী ফ্ল্যাটটা প্রতীক বুক করে বাধ্য হয়েই। গৃহপ্রবেশের দিন সবাই এসেছিল। আইভিকে আর অন্য বন্ধুদের ফ্ল্যাটটা ঘুরিয়ে দেখিয়ে মিষ্টু শান্তি পায়। দু দিন পর শ্বশুর শাশুড়ি আর বাকিরা চলে যেতেই মিষ্টুর বেশ আনন্দ হয়।এবার সেও স্বাধীন।
আইভির মতো করে সে-ও সাজিয়েছে ফ্ল্যাটটা, প্রতীক কিছুতেই না করে নি। তবে সকালে ও আরেকটা কোচিং জয়েন করেছে। এখন তো প্রচুর সময় হাতে। ছেলে মেয়েকে এদিকের স্কুলে ভর্তি করে দিয়েছে। মিষ্টুর হাতে অখন্ড অবসর। আইভির মাধ্যমে আরো কয়েকজন বন্ধুর সাথেও যোগাযোগ হয়েছে মিষ্টুর। কিন্তু কদিন যেতেই মিষ্টু এই আধুনিক জীবনে হাঁঁফিয়ে ওঠে। বন্ধুদের সাথে আড্ডা আর কিটি পার্টি মানেই পরনিন্দা আর পরচর্চা। এত আধুনিক পোশাকেও ও অভ্যস্ত নয়। ও বোঝে ওকে নিয়ে বাকিরা হাসাহাসি করে। ননদের সাথে সিনেমা দেখে, শপিং করে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে এগরোল বা ফুচকা খেয়ে যে স্বাদ পেতো ম্যাকডোনাল্ড বা কেএফসি তে সেই প্রাণের ছোঁয়া পায় না সে। ফ্ল্যাটে একা সময় কাটতে চায় না। ননদ আসতে চায় না। প্রতীককে ঘুরতে যেতে বললেই ও লোন আর ইএমআইয়ের গল্প শোনায়। এত জিনিস সব যে লোনেই কেনা।
বাচ্চারাও দাদু ঠাম্মাকে মিস করে। ওনারা আসেন না তেমন। মিষ্টু দুবার ঘুরে এসেছে। কিন্তু ও বাড়িতে গেলে একটা অপরাধ বোধ মাথাচাড়া দেয়। কেমন যেন লাগে। দেওর বদলি হয়ে বম্বে চলে গেছে। ননদের বিয়ে করার আপাতত ইচ্ছা নেই। একটা ভালো স্কুলে পড়াচ্ছে চন্দননগরেই। ছেলে মেয়ে দুটো কেমন হয়ে যাচ্ছে, জেদি, একগুঁয়ে। আগে পিসি পড়াতো। এখন টিচার আছে, তবুও বাজে রেজাল্ট করেছে।
আইভির কাছাকাছি এসে মিষ্টু বুঝেছে এদের জীবন যাত্রা দেখতে যতই ঝাঁ-চকচকে হোক ভেতরটা ফাঁপা। আরেক বন্ধু রুমি বলেছিল শুভম আর আইভীর মধ্যে বনিবনা নেই। মেয়ের কথা ভেবে ওরা ডিভোর্স করে নি। শুভম ট্যুরের নাম করে অন্য কারো সাথে থাকে। মিষ্টুর ভালো লাগে না এসব শুনতে। সবাই কেমন যেন মেকি...।
একদিন সাউথ সিটিতে রুমির বরকে দেখেছিল অন্য একটি মেয়ের সাথে ঘনিষ্ঠ হয়ে ঘুরতে। সেদিন থেকে মিষ্টু প্রতীকের দিকে বিশেষ নজর দিয়েছে। এদিকে প্রতীক কোচিং-এ পড়িয়ে রোজ রাত করে ফেরে। দুদিন মিষ্টু অটো করে কোচিং এ গিয়ে দেখেও এসেছে যে প্রতীক আছে কিনা। এভাবে একটা বছর কাটতেই হাঁফিয়ে উঠেছে সে।অথচ মুখ ফুটে বলতে পারে না প্রতীককে।
সে দিন সকালে রুমি ফোন করে আইভির খবরটা দিয়েছিল। পিয়ারলেস হাসপাতালে গিয়ে মিষ্টু যখন পৌছালো সব শেষ। ফ্রাস্ট্রেশন থেকে বিষ খেয়েছিল আইভি। পাঁচ বছরের মেয়েটা প্রতিবেশীদের কোলে। শুভম কয়েকমাস ফেরে না। দিল্লীতে এক পাঞ্জাবী মেয়েকে নিয়ে থাকে কানাঘুষো। খরচাও দিত না বৌ মেয়ের। এসব শুনতে আর ভালো লাগছিল না মিষ্টুর। কেমন একটা ভয় মনের ভেতর.... এই আইভির জীবনকে একদিন ও হিংসা করেছিল!! কত সুখী মনে হতো ওকে!!
হাসপাতাল থেকে একা চন্দননগর ফিরেছিলো সোজা। মেয়ে আর ছেলে ফাইনাল পরীক্ষা শেষে থাকতে এসেছিল কয়েকদিন আগেই। প্রতীককে চলে আসতে বলেছিল শুধু। শ্বশুর শাশুড়ি ওকে এভাবে দেখে অবাক। কোনো কথা বলেনি মিষ্টু। বহুদিন পর মন খুলে কেঁদেছিল শাশুড়িকে জড়িয়ে। ননদের কোলে মাথা রেখে শুয়েছিল সন্ধ্যায়। ছেলে মেয়েও খুব খুশি মা চলে আসায়। দু দিন এভাবেই কেটে গেলো।
প্রতীক দুবার উশখুশ করছিল ফেরার জন্য। মিষ্টু আর ওর বোন বসে বাতাবিলেবু মাখা খাচ্ছিল। বাচ্চারা বাইরে খেলছে। প্রতীক যাওয়ার কথা তুলতেই মিষ্টু জানিয়ে দেয় সে আপাতত যাচ্ছে না। প্রতীক বলে -"কিন্তু বাচ্চাদের স্কুল, আর আমার কোচিং এসব....."
মিষ্টু বড় বড় চোখ করে বলে -"সব আমায় বলতে হবে নাকি? কলকাতায় ফ্ল্যাট একটা সম্পত্তি, আপাতত ফ্ল্যাটটা ভাড়া দিয়ে দাও। টিভি ফ্রিজ সব নিয়ে এসো এখানে। ভাইয়ের ঘরটা তো এখন খালি। আর ছেলে মেয়েকে এখানে ভর্তির দায়িত্ব তোমার বোনের। সবে তো বছরের শুরু। আর এতবছর যেভাবে অফিস করেছো...... মোটকথা ওখানে আর আমি যাচ্ছি না ।"
প্রতীকের বহুদিন পর বৌকে সেই প্রথম দিনের মতো আদর করতে ইচ্ছা করে। বোন উঠে পাশের ঘরে চলে গেছে ততক্ষণে। মিষ্টুর মনে হয় জীবনটা সত্যিই এক আজব নাগরদোলা।