পুরুষ দেহব্যবসা (তৃতিয় পর্ব )
পুরুষ দেহব্যবসা (তৃতিয় পর্ব )


পুরুষ দেহব্যবসা
প্রশান্ত এবং রাজা অঙ্কুর
তৃতিয় পর্ব
গভীর নিদ্রায় মগ্ন আমরা দাঁড়াই সামনাসামনি
নিঝুম রাতে এগিয়ে গিয়ে নাভিমূলে চুম্বন খেয়ে ঝাঁপ মারি নদীতে,
ডুবতে থাকি জোয়ার-ভাঁটার গভীরে
হাতেহাত ধরে চলি সময় সারণীতে
নিরুদ্দেশের ঠিকানায় বেল বাজিয়ে ফেরত আসা
আবার সেই ছোটবেলার বেঞ্চিতে...
“শোন সাত্ত্বিক আজ থেকে তোর অন্য লড়াই শুরু।”
“কিন্তু পলাশদা আমি না জানি শুরু না জানি শেষ।”
“তোকে স্মার্ট হতে হবে।”
“তার জন্য কি করতে হবে?”
“কাল থেকে তোর ট্রেনিং। তোর একটা প্রোফাইল বানাতে হবে ফেসবুক থেকে শুরু করে সব ডেটিং অ্যাপে।”
“আমি ঠিক বুঝলাম না দাদা!!!”
“শোন শরীর আজ বাজারের পণ্য। সেটাকে রাংতা মুড়িয়ে সমাজের সামনে রাখলে তবেই না বিক্রি।”
থুথু আর জেল মাখিয়ে প্রতিবাদ আমি করেছিলাম
আসলে লেখনীর সাথে সঙ্গম আমার
সেইদিনে
একটা যুদ্ধ হয়েছিলো
রক্ত
নরম শরীর
মাংস
কঙ্কাল
বিবেকবুদ্ধি
চেতনা
আমার মনের বেডরুমে
বুকফাটা চিৎকারে কান পাতা দায়
বেপরোয়া আমি অবহেলা করলাম
কোন প্রতিবাদ করিনি
বক্ষ বিভাজিকা দিয়ে নেমেছে নগ্ন ঘাম
“তোকে বুঝতে হবে কার কি চাহিদা।”
“আচ্ছা।”
“দেখ এইসব টাকার কুমিরের বউয়েরা কেউ চায় শুধুই শীৎকার আবার কেউ চায় কষ্ট দিতে।”
“কষ্ট!!!”
“হ্যাঁ কামড়াবে, শরিরে ছ্যাকা দেবে, জ্বলবি-পুড়বি-দগ্ধাবি আর এই মুখোশ পড়া সমাজকে নতুনভাবে চিনবি।”
“কি ভয়ঙ্কর।”
শুরু হলো সাত্ত্বিকের নতুন লড়াই। ছোটবেলা থেকে জীবনের লক্ষ্য ছিলো উচ্চশিক্ষা-চাকরি আর আজ থেকে সমাজকে শারীরিক সুখ বিতরণ। আজ থেকে জীবনের একমাত্র লক্ষ্য নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সুখ দেওয়া, অর্গাজম। আনন্দ বেশী দেওয়া মানেই আরো বেশী রোজগার আর এই দেহব্যবসার লাইনে ওপরে ওঠা।
“বুঝলি সাত্ত্বিক। একটা কথা মাথায় রাখবি।”
“বলো দাদা।”
“রাতের শহরের আদিম শারীরিক সুখের আনাচেকানাচে টাকার বান্ডিল উড়ছে।”
“আমাদের কাজ সেটা কুড়িয়ে নেওয়া।”
“প্রথমদিকে খারাপ লাগবে। নিজের শিক্ষাদীক্ষা বিবেকার সাথে একটা লড়াই চলবে কিন্তু শেষ পর্যন্ত জিততেই হবে।”
আমার ডি.এন.এর মধ্যে ইনসোমনিয়া
সকালে দেখলাম গোলাপ ক্ষত দেয়
দেখলাম সমপ্রেমী সত্তার পাশ দিয়ে গড়ে উঠল রক্তপলাশ
দেখলাম পৌরুষ পায়ুর গা বেয়ে রক্তের দাগ
সমাজ নীল ছবির শীৎকারে হস্তমৈথুন করে আর টাকার বিনিময়ে কেনে পারফিউম মাখা পুরুষ নষ্ট সত্তা।
পলাশদা ঠিক করে দিলো এই লাইনের অন্যতম সেরা ‘খেলোয়াড়’ একজনকে। দুরন্ত দেখতে সেইরকম জিম ফিগার। বাজারে বিশাল দাম এই ‘পুরুষ পতিতার’। সেই স্যারের কাছে সাত্ত্বিক শিখল কিভাবে বিছানায় আর একটা শরীর নিয়ে খেলতে হয়। কিভাবে অন্যকে কামের অতল সাগরে হাবুডুবু খাওয়াতে হয়।
সাত্ত্বিক শিখল কামুক শরীরের প্রতিটি ভাঁজের ইতিকথা, শিখল অর্গাজম। অনেকটা গিনিপিগের মতন সাত্ত্বিককে ব্যবহার করে তিনি শেখালেন সবকিছু, শেখালেন সারা শরীরে জ্বলন্ত মোম নেবার ব্যথা সহ্য করবার কৌশল, শেখালেন সিগারেটের ছ্যাকা কিভাবে হাসিমুখে নিতে হয়।
প্রথমদিকে সমস্যা হতো সাত্ত্বিকের। প্রতিনিয়ত নিজের বিবেক নিজের সত্ত্বার সাথে দ্বন্দ্ব চলত আবার পরের মুহুর্তে মনে পড়ত মায়ের কথা, ‘আমার বাবু একদিন অনেক বড় হবে অনেক রোজগার করবে।’
“একটা কথা বলছি সাত্ত্বিক।”
“হ্যাঁ রাজীবদা বলুন।”
“সমাজের এই মেকি-ভন্ড মানুষগু সর্বনাশা নেশাতে ডুব দিতে চাইবার আসক্তিতে ভাসবে...”
“তাদের খেলিয়ে তুলতে হবে কারণ নেশাতুর রাত নামে মায়াবী চোখের গহিনে...”
“একদম।”
“তুমি আর পলাশদা শিখিয়েছো।”
“কামের আকুতির পারদ যখন গলনাঙ্ক পেড়িয়ে শরীরের রোমকূপে জাগাবে আদিম উন্মত্ততার লাভা উদ্গিরন...”
“ঠিক তখন মুখোশ খুলে কামুক সভ্যতা এগিয়ে আসবে পুরুষ নগ্নতার পায়ুর ভাঁজে।”
“যৌনতার লোলুপ দৃষ্টিতে চুপচাপ স্বাদ নেবে এই নরম শরীরের আর পান করবে সুন্দরতা-যৌবনের নির্যাস।”
“ঠিক তখনই ঝাঁপিয়ে পড়ে ক্ষুদার্থ কামের জ্বালা মেটাতে কামড়াবে-দগ্ধাবে স্তন থেকে শিশ্ন...”
“তৃষ্ণার্থ যৌনাঙ্গ কয়েক লহমার মধ্যেই রক্তাক্ত করবে পায়ুদ্বার আর টাকার বান্ডিল দিয়ে শারীরিক তৃপ্তির সুখ খুঁজবে বুকের গভীরে।”
“পরেরদিন কাজ শেষ আর ফেলে দেবে বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে।”
“বুঝবে না, শুনবে না, জানবে না, টাকার বান্ডিলের আড়ালে চাপা কান্নার আওয়াজ, কষ্টের কথা...”
“মোমবাতি মিছিল করবে আর সোশ্যাল মিডিয়াতে ‘বেশ্যার’ তকমা দিয়ে শরীর খুঁজবে ডেটিং অ্যাপে।”
“কেউ জানতে চাইবে না ভয়ঙ্কর অতীত...”
আস্তে আস্তে গ্রামের সহজসরল দুইচোখে স্বপ্ন দেখা সাত্ত্বিক হয়ে ওঠে... ‘ইয়াং হ্যান্ডসাম টপ’... অর্থাৎ নির্ধারন হয় শরীরের চাহিদার দাম। দাঁতে দাঁত চেপে সে ভাবে মায়ের হাতে টাকা দিয়ে সেই সুন্দর হাসিটা সে ফেরত চায়। সাত্ত্বিক আজ তিলোত্তমার বুকে একটা নাম, একটা পণ্য।
সাত্ত্বিক দেখল, দগ্ধালো জ্বালা-যন্ত্রণায়। সে জানল এই সমাজে অনেকে টাকা দিয়ে তাদের কষ্ট দিতে চায় কারণ তারা পুরুষ ঘেন্না করে, আবার অনেক মেটায় শরীরের খিদে। অনেকেই আবার প্রেমে প্রত্যাখ্যাত হয়ে এই ‘পুরুষ বেশ্যার’ প্রেম পেতে চায়।
লাগামছাড়া বাসনাগুলো গানের আসরে সামিল
উপমাতে সাজিয়ে তুললাম কবিতা-মননের ক্যানভাস...
ক্ষতবিক্ষত শব্দগুলোকে পরম আদরে আগলে রেখেছে অন্ত্যমিল।
অক্ষরের ফাঁকে ফাঁকে ধাক্কাধাক্কি করছে পরাভব!
নবজাতক ভোরকে সাক্ষী রেখে
সমপ্রেমের ছন্দেই হোক মোদের পরিচয়।
বিভাবনের সাথে আর যোগাযোগ করেনি সাত্ত্বিক এবং তাই সে তার ফোনের সিম বদলে নিয়েছে। কলেজ না গিয়ে অনলাইনে ক্লাস করছে সবকিছুর মাঝে। বিভাবন আজ একবছর বাদে হয়ত অপেক্ষা করতে করতে সাত্ত্বিককে শ্বার্থপর ভেবে অন্য কারোর সাতরঙা ক্যানভাস।
মাঝেমাঝে মায়ের কথা মনে পড়ে সাত্ত্বিকের। এই একবছরে সাত্ত্বিকের নিজস্ব ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স হয়েছে, সে নিজের একটা গাড়ি আর ই.এম.আই দিয়ে বাড়ি কিনেছে। পলাশদাকে বলেছে সে তার মাকে কলকাতাতে নিয়ে আসবে আগামী সপ্তাহে। মায়ের মুখে হাসি ফোটাবে তার এই নষ্ট ছেলে।
দামী শাড়ি পড়ে মাকে সে নিয়ে যাবে শহরের নানান জায়গাতে, যাবে তারা দামী রেস্তোরাতে। আজ সাত্ত্বিকের এই বাড়ি দেখে মা হয়ত খুশী হবে। তিন-চার বছর হলো মাকে দেখেনি সাত্ত্বিক, কোন যোগাযোগ নেই মা কিংবা সেই অভিশপ্ত গ্রামের কারোর সাথে। আর ঝিলিক আজ হয়ত কোন বড়োলোকের বউ।
সেইরাতে জানলার গারদে হাতরাখা মায়ের মুখ অনেক মনখারাপের মুহুর্তে চোখের সামনে ভাসে তার। মা সাত্ত্বিকের এই বৈভবের পেছনের আসল ব্যাপার কোনদিন জানবে না। থাক না কিছু গোপন সিন্দুকে ভরা।
মা এখন ভালো আছে কি?
নাকি দুশ্চিন্তায় অসুস্থ ?
মা ঠিকমতন খাওয়াদাওয়া করে কি?
মা নিশ্চয়ই রোজ দাওয়াতে অপেক্ষায় থাকে সাত্ত্বিকের গলায় ‘মা’ ডাক শোনার জন্য। রাতে জেগে শুয়ে থাকে সাত্ত্বিক হয়ত এখুনি দরজা ধাক্কা দেবে সেই বাসনায়।
কাজ থেকে ফেরার সময় মা হয়ত রাস্তার মোরে দাঁড়িয়ে ভাবে একতুবাদেই আসবে তার বাবু। কিন্তু লোকজনের আনাগোনা কমে আসে কিন্তু সাত্ত্বিক ফেরে না। গভীর রাতে জানলার পাশে এসে কেউ বলে ‘দরজা খোলো মা আমি তোমার বাবু’।
প্লাবনের যদি শুকিয়ে যায় নদীর খাত
সেইক্ষেত্রে মরুভূমির কোন দোষ আছে কি?
জ্বরের জ্বালাতে পুড়ছে কয়লা,
স্নিগ্ধ শীতলতা পায় শুধুই কোণ।
ছেলেটার নগ্ন শরীরের অনেক দাবী,
সেই কারণে বিক্রিত আজ সে।
আদালত চত্বরে হয় স্বপ্নের নিলাম,
কারণ সেও অভিশপ্ত মেয়ে।
যারা বলছে নষ্ট পুরুষ সত্ত্বা, পতিতা
চাইছে সততার প্রমাণ,
তাদের কারণে কোণঠাসা আজ
একাধিক সমপ্রেমির প্রাণ...
আচমকা সাত্ত্বিকের চোখের সামনে ভেসে উঠল একজন কাস্টমারের সাথে কাটান সময়...
“গুড ইভনিং স্যার।”
“প্রিন্স?”
“ইয়েস।”
“এসো।”
সাত্ত্বিক বা ‘প্রিন্স’ ঢুকল এক অভিজাতের ড্রয়িং রুমে।
“উইক্সি ওর অন্যকিছু।”
“যা ইচ্ছে।”
“তোমার বয়স কতো?”
“২৪। আমার প্রোফাইলে দেওয়া আছে।”
“সেটা জানি। এই প্রফেশানে কতদিন হলো?”
“এক বছর হয়ে গিয়েছে। একটা সিগারেট ধরাবো?”
“অবশ্যই। তুমি নিশ্চয় রেগুলার জিম করো।”
“আসলে শরীর কথা বলে।”
“সেটাই। এই সমাজে দাম আছে শরীরের সেটা নারী হোক কিংবা পুরুষ কিন্তু মনের কথা কেউ শোনে না।”
“একবার ব্লোজব আপ করব না পড়ে।”
“সিনেমা দেখবে?”
“সিনেমা!!!”
“কিংবা চলো একসাথে সাউথ সিটিতে ডিনার করি।”
“আমি কিছু বুঝতে পারছি না।”
“পাগল লাগছে আমাকে?”
“না!!!”
“আসলে আমি সেক্স করবার জন্য তোমাকে ডাকিনী।”
“তাহলে?”
“আসলে এই ৩৬ বছর বয়সে আমার কাছে গাড়ি-বাড়ি-টাকা সবকিছু আছে কিন্তু...”
“কিন্তু?”
“সাথে থাকার মতন কেউ নেই। কেউ নেই যার সাথে এই চার দেওয়ালের মধ্যে একটু সুখ-দুঃখের কথা বলব। সকাল শুরু হয় একলা আর দিন শেষ হয় একাকীত্বের মধ্যেই।”
“আপনি কাউকে ভালোবাসেন নি?”
“ভালোবাসা আজকাল একটা পণ্য। সবাই চায় আমার টাকা কিন্তু মনের খবর কেউ রাখে না। আমি তাই টাকা খরচ করে বন্ধুত্ব কিনি আর কিছু না। একটু সময় কাটানো এই একাকীত্বকে দূর করা।”
রক্তে আকন্দ মিশেছে
সিগারেটের পোড়া দাগ আজ স্পষ্ট!!!
লালচে নখের আঁচড়ের দাগ সারা পিঠ জুড়ে,
বিছানায় নেতিয়ে পড়ে আছে গোলাপ আর দলাপাকা চাদর!!! অন্যপাশে
অবহেলিত অভিযোগের চিঠি।
চারপাশে দমবন্ধ করা কামুক লোভের গন্ধ,
ইচ্ছে-অনিচ্ছে ভেসে যাচ্ছে প্রাণভোমরা বাঁচানোর জন্য...
নিজের জন্য বরং অসহায় অতীতের ক্ষত মুছতে
ভালোলাগা ভালোবাসা সব একাকার বেঁচে থাকায়,
নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে মনের নিষেধ!!!
বিগত এক বছরের কিছুটা বেশী সময় শরীর বিলিয়ে আর রোজ রাতে নগ্নতা দেখে ‘ভালোবাসা’ শব্দটার ওপর ঘেন্না ধরে গিয়েছে সাত্ত্বিকের। রোজ রাতে এই নোংরা খেলায় মেতে বিয়ে, প্রেম ইত্যাদি বিষাক্ত লাগে আজ।
সব থেকে বেশী বমি পায় রোজ স্নান করবার সময়ে আয়নাতে নিজেকে দেখে। মনে হয় এই সমপ্রেমী মনন আর কারোর ভালোবাসার যোগ্য নয়। কাল বাদে পরশু দেশের বাড়ি মানে মায়ের কাছে ফিরবে সাত্ত্বিক। পলাশদা সেইমতন সব ব্যবস্থা করে দিয়েছে।
“পলাশদা আমি বলেছিলাম এই দুইদিন কাজ করব না।”
“কাস্টমার শুধু তোকে চেয়েছে এবং বেশ কয়েকদিন ধরেই কন্ট্যাক্ট করছিলো। প্লিজ ভাই আমি সব ব্যবস্থা করে দিয়েছি। প্লিজ।”
“ঠিক আছে আমাকে অ্যাড্রেস দাও আমি চলে যাবো।”
“গুড বয়।”
নির্দিষ্ট সময়ে সেই অ্যাড্রেসে চলে এলো সাত্ত্বিক বা ‘প্রিন্স’। দারোয়ান দরজা খুলে দিয়ে কোথায় যেতে হবে বলে দিলো। সিঁড়ি দিয়ে দোতালা উঠে সেই ঘরের দরজাতে নক করল সে।
“কাম ইন প্রিন্স।”
দরজা ঠেলে ভেতরে প্রবেশ করল সুঠাম, সুন্দর এই পুরুষ বেশ্যার বাজারের হটকেক প্রিন্স। সামনে জানলার সামনে দাঁড়িয়ে আছে একজন প্রায় সমবয়সী। প্রিন্স পেছন থেকে এসে ঘাড়ে চুম্বন দিতেই সে আস্তে আস্তে মুখ ঘোরাতে থাকে আর প্রিন্স ঠোঁট বাড়ায়। আচমকা মুখটা দেখে প্রিন্স চমকে ওঠে... চারপাশে একটা নিস্তব্ধতা।
গাড়ির ইঞ্জিনের ধোঁয়াতে দগ্ধ হয়নি কিছু পরিচিতি
এই কল্লোলিনীর ফুটপাতে।
নোংরা রাস্তার পাশের নর্দমায় মৃত যাদের মনন,
কলঙ্কের দাগ লাগেনি তাদের ছবিতে।
এক টুকরো কাপড় লজ্জা আড়াল করে, আর ঢাকে
আধুনিকতার রাতের কেচ্ছা।
নীল বাতি আর কালো কনডম
সামান্য দামে বিক্রি হয় ভালো
সেইদিন থেকে তারা পতিতা।
দাঁত বের করা সারমেয়র দল এতদিন
আঁচড়েছে যাদের, আজ তারা
ডেটিং অ্যাপে বন্দী।
বদনামি ভদ্র সমাজের মেটানো
আসক্তির শেষে নিষ্পাপ সমপ্রেম
আটক করবার ফন্দী???
ক্রমশ...