পুরুষ দেহব্যবসা (দ্বিতীয় পর্ব)
পুরুষ দেহব্যবসা (দ্বিতীয় পর্ব)
পুরুষ দেহব্যবসা
প্রশান্ত এবং রাজা অঙ্কুর
দ্বিতীয় পর্ব
আজ খেলার ছলে দূরদিগন্তে
যাই হারিয়ে চল,
আজ খেয়ালখুশি মনের হাসি
আপন মনের কথা বল।
আজ প্রভাতফেরী করব আমি
দেখব পূবের রবি,
রামধনু রঙ মাখব চোখে
আজ আঁকব মনের ছবি।
আকাশপটে ভাসব আজি
প্রসারিত করি দুটি হাত,
জ্যোৎস্না মেখে আদুল গায়ে
কাটুক না হয় সারারাত।
মহানন্দে নাচব আমি
আমার স্বর্গসুখ,
ভুলেছি আমি সকল কষ্ট
বাঁচব হাসিমুখ।
“আমি আপনার কথায় ওকে ভর্তি করছি।”
“অনেক ধন্যবাদ স্যার। আপনি আমাকে দেখলে আমি আপনাকে দেখব। একটু সময় পেলে ওয়াটসআপ চেক করে নেবেন কিছু ভালো ডিজাইন পাঠিয়েছি।”
পরেরদিন পলাশদার সাথে সাত্ত্বিক ভর্তি হলো কলকাতার অন্যতম সেরা কলেজে। কলেজ থেকে বেড়িয়ে সাত্ত্বিকের মনে হলো এই পলাশদা হয়তবা নামকরা কেউ নাহলে এতো খাতির। ব্যবসাদার কিংবা অন্যকেউ হতে পারে। ফেরার পথে একটা শপিং মলে পলাশদা ওকে দামী জামাকাপড়, জুতো আর একটা স্মার্টফোন কিনে দিলো।
“শোন সাত্ত্বিক। তোকে কাল থেকে জিমে যেতে হবে। পড়াশুনার পাশাপাশি চেহারার একটা কদর আছে। অনলাইনে ইংরেজি শিখবি। তোর সামনে কাঁটা বিছানো রাস্তা আর তোকে জিততেই হবে। জিম আর কলেজে সাত্ত্বিকের কয়েকজন বন্ধু হলো। আসলে এই সবকিছু হাতে চাঁদ পাবার মতন।
মহানন্দে দিন কাটছিল সাত্ত্বিকের। সকালে উঠে পলাশদার সাথে জগিং, সেখান থেকে জিম। আলাদা গাড়ি করে কলেজ। দামী পোশাক পড়ে গাড়ি থেকে নামতে অনেকের চোখ টেরিয়ে যায় তাছাড়া সাত্ত্বিক দেখতে সুন্দর আর জিম করে চেহারা খুলছে।
চেহারার সাথে মানানসই পোশাক, দামী জুতো, চোখে সানগ্লাস। পেশীবহুল সুন্দর চেহারা অনেক মেয়ে এমনকি ছেলের রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। অনেকেই আসে প্রেম নিবেদন করে আবার অনেকে নিয়ে আসে যৌনতার আহ্বান কিছু সাত্ত্বিক হাসিমুখে সবাইকে এড়িয়ে যায়।
“জানিস সাত্ত্বিক আমি যদি রঙধনু হতাম আমি তোকে আলাদা আলাদা করে সাতরঙে রাঙিয়ে তুলতাম।”
“আমি কিন্তু আমার প্রেমিক বিভাবনকে আমার খুশী আমার প্রাণের হাসিতে ভরিয়ে দিতাম।”
“আমি তোকে সকালের নতুন আলোয় আমার নতুন ভোর আমার সাত্ত্বিককে সাজিয়ে রাখতাম।”
“আমি রাত হলে তোকে কোলে নিয়ে নীলাকাশের অজানা দেশে পাড়ি দিতাম।”
“সাত্ত্বিক তুই আমার নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ আমার বাঁধভাঙা নদী...”
“তাহলে আমি সেই আমার দামাল প্রেমিক বিভাবনের ছলাত ছলাত শব্দ।”
“আমি আর তুই উৎস থেকে মোহনা অবধি বয়ে যাবো একই ছন্দে, একই গতিতে একই শব্দে।”
কলেজে একবছর হাসতে খেলতে কেটে গিয়েছে। এই সময়ে আরও স্মার্ট আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে সাত্ত্বিক কিন্তু যে কারণে সে ঝিলিকের প্রতি কোন অনুভূতি পেতো না সেই একইকারনে কলেজের অনেক মেয়ে থার্টথ্রব হয়েও একজনের বাহূডোরে বাঁধা দিয়েছে। সমপ্রেমী সাত্ত্বিক খুঁজে পেয়েছে তার প্রেমিক বিভাবনকে।
“আমার অতীত জানলে আমাকে ঘেন্না করবি না তো?”
“আমি মানুষ সাত্ত্বিককে ভালবেসেছি। আমার সত্তার তোকে চেয়েছে...”
“তবুও শোন আমার কথা।”
“বল শুনছি...”
“ঝাড়গ্রামের অদূরে রুক্ষ্ম জঙ্গলমহলে আমাদের গ্রাম, নাম আড়ংবাড়ি। গ্রামের বেশীরভাগ মানুষ কৃষক হলেও আমার বাবা ছিলেন রাজমিস্ত্রি। গ্রামের চারপাশ ছিলো সবুজের সমাহার। মাঠঘাট, ক্ষেত-আল। ধানের আগাতে যখন সোনালী আভা লাগে ওই মাঠের পাশে দাঁড়িয়ে দেখলে মনে হবে চারপাশের সুর্যের আলো লেগে যেন আগুণ ধরেছে।”
“তাহলে তো দুরন্ত আর মোহিত করা দৃশ্য।”
“জানিস বিভাবন, বর্ষাকালে পাট হয় যখন তখন চারপাশ বড় বড় গাছে ভরতি।”
“এই কি হলো তোর। এই সাত্ত্বিক?”
“বাবার কথা মনে পড়ছে।”
“বাবা মারা গিয়েছিলেন...”
“তখন আমার ১০-১১ হবে। ওই উঁচু বিল্ডিং...”
সাত্ত্বিকের কথা শেষ হয়না বিভাবন সিক্ত করে তার ঠোঁট দিয়ে।
“কাঁদবি না তুই।”
“জানিস মা বাড়ি বাড়ি মজুরি আরও কতো কাজ করে আমার পড়াশুনার খরচ জুগিয়েছে আমাকে মানুষ করেছে।”
“কুর্নিস জানাই তোর মাকে। তোর গ্রামে ফিরতে ইচ্ছে করেনা?”
“ইচ্ছে করলেও উপায় আছে কি বিভাবন?”
“কিন্তু এই এক বছরে কি আর সত্যিটা চাপা থাকবে?”
“মাকে কথা দিয়েছিলাম নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিয়ে আসব আর আমি সেইদিকেই এগোচ্ছি।”
“হ্যাঁ তুই তো কলেজের টপার।”
“আমাকে জিততে হবে বিভাবন।”
“আমিও চাই সব বাধা পেড়িয়ে তুই অনেক ওপরে ওঠ। শুধু আমাকে ভুলে যাস না।”
“আমি তোকে ছাড়া অসমাপ্ত বিভাবন।”
“আমিও।”
একটা ‘আমিকে’ খুঁজতে এসেছি আজ...
না পেলে ফিরে যাবো কৃষ্ণচূড়ার পথে,
শুধুমাত্র চাই একটু প্রশ্রয়।
আমার মানঅভিমানের দল আস্তানা গড়বে তোমার মনের ক্যানভাসে।
তোমার জন্য শিরোনাম দিলাম ‘সমপ্রেমের অন্তহীন প্রেম’।
শব্দগুলোকে পরশ দিও সুখের তাপে,
মনের ঝোলা বারান্দায় মেঘবালিকার আদরমাখা আলো এসে পড়লে
স্বপ্নগুলো আঁকিবুঁকি কেটে আদুরে কোলাজ আঁকে।
তুমি কি গুছিয়ে নেবে তোমার এই খামখেয়ালী সমপ্রেমিককে রঙ-তুলিতে?
গল্পদাদুর আসরে নস্টালজিয়ার সুর বেঁধেছি রোজ,
না মানতে চাওয়া বাসনাগুলো তোমাকে আঁকড়ে ধরে বারবার
আমি দিশেহারা তিলোত্তমার গতিবেগে,
একাকার কাব্যের প্রতিবিম্বে,
আমাকে খুঁজে নিও আগামীর ভালোবাসার ঠিকানায়,
সাতরঙা উপন্যাসটা শুধু তোমার অপেক্ষায়...
“ওই মেয়েলি ছেলেটা কে সাত্ত্বিক?”
রাতে রুমে আছে সাত্ত্বিক এমন সময়ে পলাশদা ঢোকে।
“কোন ছেলে দাদা?”
“একদম ন্যাকামি নয়। তোকে কি পড়াশুনার জন্য টাকা খরচ করছি নাকি এইসবের জন্য।”
পলাশদা কাছে আসতেই মুখ থেকে মদের গন্ধ বেরয়।
“আমি কি পড়াশুনায় ফাঁকি দিয়েছি। আমি কলেজ টপার। কিন্তু আমি বিভাবনকে ভালোবাসি।”
আচমকা হেসে ওঠে পলাশদা।
“সাত্ত্বিক। এইসবের জন্য আমি টাকা খরচ করছি না। তুই জীবনে এইসব প্রেমের কথা মাথায় আনবি না। তুই শুধু আমার, শুধুই আমার কথা শুনবি। আমি যা বলব সেটা করবি। আয় এজ তোর সাথে তোর কাজের পরিচয় করাই।”
কথাগুলো বলতে বলতে পলাশ সাত্ত্বিকের হাত মুড়ে পেছনে নিয়ে কিছুদিয়ে আটকে দিয়ে তাকে উলঙ্গ করে ওপরে বসে।
হ্যাঁ,
আজ আমি নগ্ন
আমার পুরুষ নগ্নতা এই শরীর দিয়ে হালকা লাইন লিখে বাঁচে।
হ্যাঁ,
আজ আমি নগ্ন
আমি রোজ বাঁচি এই পুরুষ শরীর বেচে।
শীৎকারের অনুভূতি
শরীর নিয়ে কাটাকুটি
কখনও একপ্রস্থ আবার মাঝেমাঝে সারাদিন।
আজ নাম নিলাম বেশ্যা
আমি পুরুষ বেশ্যা।
কামোত্তেজনার চরম শিখরে আমার অবস্থান
শুধুই অন্ধকার
অবশিষ্ট শারিরি পরিভাষা।
“কিন্তু আজ এরকম বলছো কেন দাদা? আমি সমপ্রেমী বলে তোমার রাগ? সেইজন্য এই ব্যবহার দাদা? আমার অপরাধ বলো?”
“আজ তোর ট্রেনিং। তোর এই শরীরটা ভোগ করব বলে একবছর অপেক্ষা করেছি সাত্ত্বিক। তোকে কাজে লাগাব বলে ট্রেনিং দেবো বলে অপেক্ষা করেছি। আজ আর নয়।”
কথাগুলো বলতে বলতে সাত্ত্বিকের মুখ বন্ধ করে যৌনসঙ্গমে লিপ্ত হয় পলাশ। চিৎকার করে চোখ বন্ধ করে সাত্ত্বিক। সঙ্গমের শেষে পলাশ তার মুখ খুলে একটা সিগারেট ধরায় কিন্তু লজ্জা আর ঘেন্নায় সাত্ত্বিক চোখ খোলে না। পলাশ রুম থেকে বেড়িয়ে গেলে হাঁটুতে মাথা গুঁজে কাঁদতে থাকে সাত্ত্বিক। এখান থেকে পালিয়ে কোথায় চলে যেতে ইচ্ছে করছে তার যেখানে সে অপরিচিত। একটা জায়গা যেখানে শ্বার্থপর কেউ না। একটা দূরদেশ যেখানে তার দিকে কেউ আঙুল তুলে বলবে না, ‘তুই একটা বাজে ছেলে’।
“না মা না। আজ আমি খারাপ, আমি নষ্ট। আমি তোমার সেই সাত্ত্বিক না, আমি পাপী পারবে আমাকে ভুলে যেতে।”
কিছুক্ষণ বাদে খাবার নিয়ে ঢোকে পলাশদা। এতক্ষণ জানলা দিয়ে দিগন্তহীন আকাশের তারার দিকে তাকিয়ে চোখের জল ফেলছিলো সাত্ত্বিক। ভাবছিলো মায়ের স্বপ্ন...
“খেয়ে নে...”
“আমার ইচ্ছে নেই...”
“শোন সাত্ত্বিক। আমার দিকে তাকা।”
সাত্ত্বিককে নিয়ে বসায় পলাশ।
“তুই চাস না অনেক টাকা, অনেক নাম-পরিচিতি?”
“কিভাবে?”
“আজ আমি যা করলাম তোর সাথে সেইভাবে। তুই আজ থেকে জিগোলো বা পুরুষ পতিতা। আমার মতন তুই সুখ দিবি সবাইকে।”
“কি বলছো পলাশদা!!!”
“সাত্ত্বিক, আজ বাজারে মেয়েদের মতন ছেলেরাও পণ্য, সেখানে বিক্রি হয় পুরুষের দেহ। তোকে ভাড়া করে নিয়ে যাবে মেয়ে, বউ এমনকি সমাজের উঁচুতলার সমকামী, উভকামীরা। আসলে এটা হলো ‘কল বয়’ কিংবা ‘পুরুষ দেহব্যবসা’। তুই তোর কাজ অনুসারে টাকা রোজগার করবি। যতবেশি সেক্সুয়াল তৃপ্তি দিবি ততো টাকা সাত্ত্বিক। দশ-পনেরো-কুড়ি আবার অনেকসময়ে আরো বেশী। টাকা-গাড়ি-বাড়ি সব হবে। একবার ভেবে দেখ সাত্ত্বিক সেই সুখের জীবনের কথা। তুই বা তোর মা যা ভেবেছিলো তার থেকেও বেশী। আর তোর কাজের কথা কেউ জানতে পারবে না।”
“না না না পলাশদা। আমি দেহ বেচে রোজগার করব না। আমি এই নোংরা কাজ করব না। আমি সমপ্রেমী আমি কলঙ্কিত করব না আমার প্রেম।”
“একদম চুপ।”
পলাশ আজকের সঙ্গমের ছবি দেখায় সাত্ত্বিককে।
“এইসব ছবি দেখবে তোর মা, তোর কলেজ, তোর গ্রাম আর তোর ভালোবাসা।”
“দাদা!!!”
“আমার কথা মেনে নে সাত্ত্বিক। আমি তোকে আগামিদিনে এই লাইনে নামাব বলে ভালো কলেজ, জিম এমনকি ইংরেজি ক্লাসে ভর্তি করেছিলাম।”
“রোজ যারা আসে তারা?”
“সবাই পুরুষ বেশ্যা। কেউ কেউ আবার নেশার পেডলার। আমার কোন অফিস বা কারখানা কিছুই নেই। আমি এই রাজ্যের এক নম্বর কল বয়দের মাথা আর ড্রাগ-নেশার দ্রব্যের পেডলার। মন্ত্রী-আমলা-পুলিশ- ব্যবসাদার-নায়ক সবাই আমার কাস্টমার। কাস্টমারদের পছন্দ অনুসারে ছেলে পাঠাই। সন্ধ্যেবেলা যাদের আসতে দেখিস তাদের ঠিকানা আর কাজের টাকা দিয়ে দিই। সব পেমেন্ট অনলাইনে হয়।”
কে দেখবে তোমার নরম মনের ব্যথা?
সবার চোখ ঝুলে আসে পুরুষ স্তনের সুডৌলে।
শোনার কে আছে তোমার আকুতি?
সমাজ কান পেতে শোনে নষ্ট গল্পের ছলে।
মলব লাগাবে কি কেউ তোমার কষ্ট-বেদনা?
সবাই আঁকড়ে ধরে কোমরের মাপ চায়।
পুরুষ তুমি,
আজ তুমি নষ্ট, তুমি পতিতা, তুমি বেশ্যা, তুমি মাংসপিন্ড
তুমি সমাজের রাতের সঙ্গী হলেও মানুষ হতে পারলে হায়?
সে হবে ‘জিগোলো’। সাত্ত্বিক করবে ‘দেহ ব্যবসা’। মেয়েদের নিষিদ্ধপল্লির কথা শুনেছে কিন্তু একই পেশায় ছেলেদের? আজ জানল সে। রোজ দিনেরাতে উচ্চবিত্তের বেডরুমে কিংবা হোটেল। রোজ নতুন মেয়ে, বউ কিংবা ছেলে।
স্বপ্নপূরণের কলকাতায় সাত্ত্বিক এইভাবে করবে তার বাবা-মায়ের স্বপ্ন সার্থক?
এইভাবে সে বৈভবের আড়ালে বিক্রি করবে নিজেকে?
উচ্চশিক্ষা, চাকরির তাহলে কিভাবে?
বিভাবনের কি হবে?
পরেরদিন ভোরবেলা সবার অলক্ষ্যে বেড়িয়ে আসে সাত্ত্বিক। সকাল থেকে শহরের অনেকপ্রান্তে অফিস, শপিংমল, কারখানা ঘুরেও সে কোন কাজ জোগাড় করতে পারেনা। তিলোত্তমা দিনের শেষে খালি হাতে ফেরালো সাত্ত্বিককে।
এতো বড় শহর কিন্তু তারমতন একটা মানুষের জন্য নেই কোন ছোট কাজ কিংবা মাথাগোঁজার স্থান।
তাহলে? শেষ ভরসা সেই পলাশদা?
পলাশদার ওখানে শরীর বেচলে কি সাত্ত্বিক পড়াশুনা করবে পারবে? পারবে মনের মানুষ বিভাবনকে? আচমকা চোখের সামনে ভেসে ওঠে বিভাবনের মুখ... সাত্ত্বিক যেন অদৃশ্য বিভাবনের সাথে কথা বলছে।
“জানিস সাত্ত্বিক আমার একটা সত্যিকারের তুই চাই। সেই তুই জানবে আমার ভেতর।”
“আমার তুই জানবে আমার লুকিয়ে রাখা দোষ, আমার নোংরামি আমার কলঙ্ক... আর সেটা তুই বিভাবন।”
“আমি চাই তুই নিজে থেকেই আমার ভুলের অংশীদার হবি।”
“তুই আমার পাপ আমার অপরাধের অর্ধেক লিখে নিবি তোর মনের খাতার প্রথম পাতায়।”
“আমি আমার সেই তুই সেই সাত্ত্বিককে দেবো আমার সব অনিয়ম, অপারগতা, সব বদভ্যাস।”
“আমি আমার তুই আমার বিভাবনের পিঠে চাপিয়ে দেবো অসহায়ত্বের বোঝা, একাকীত্ব, আমার নিঃসঙ্গতা, আমার দুশ্চিন্তা, হতাশা সবকিছু।”
“আমি হাসিমুখে বলব ভীষণ ভারি কিভাবে বইলি এতো বছর?”
চোখে অন্ধকার দেখার আগে সাত্ত্বিক ভাবছিলো সারাজীবন পাশে থাকার অঙ্গীকার করে এখন তাকেই বাধ্য হয়ে সরে যেতে হবে। সবাই হাসবে, টিটকিরি দেবে বিভাবনকে। সাত্ত্বিক একবার ভাবছে অন্য কোথাও হারিয়ে যাবে বিভাবনকে নিয়ে আবার মনে হচ্ছে মেনে নেবে পলাশদার কথা।
ভাবতে ভাবতে ফুটপাতে মাথাঘুরে পড়ে যায় সাত্ত্বিক।
ক্রমশ
