বেচারা রাজা
বেচারা রাজা
মন শান্ত রাখতে না পারলে কিস্তিমাত তো অনেক দূরের ব্যাপার, দাবা খেলতে আসাই উচিত নয়। তাও যদি কেউ জবরদস্তি খেলতে আসে তাকে নাকানি চোবানি খেতেই হয়। যদিও খেলাটা যেন অনেকটাই যুদ্ধের ময়দান, কিন্তু এ খেলায় মাথা ঠাণ্ডা রাখাটা খুব জরুরী বলেই মনে হয়।
ঘুটি ছোঁয়ার আগেই কোন ঘুঁটি চালতে হবে তা চিন্তা করে নিতে হয়। রাজার ক্ষমতা অতি সীমিত। তাই সবাই মিলে রাজাকে খুব যত্নে আগলে রাখতে হয়।
দেখতে আঁকার ভিন্ন ভিন্ন হলেও কারোর ক্ষমতা এখানে কম নয়। সামান্য সৈনিকের পরিস্থিতির কারণে এখানে মন্ত্রী হতেও কোনো বাধা নেই। হাতি, ঘোড়া, নৌকা হতেও কোনো বাধা নেই। আর অসীম ক্ষমতার অধিকারী মন্ত্রী হতে কে না চায় ! সোজা, কোনাকুনি যতদূর ফাঁকা পাওয়া যায় যেতে তো কোনো বাধা নেই।
আর ঘোড়ার তো টপকে লাফিয়ে চলাই স্বভাব। ঘোড়ার এই আড়াই ঘরের চাল বেশ কাজেও লেগে যায়।
তাই হয়তো বাংলায় এই খেলার নাম ছিল চতুরঙ্গ!
পলাশীর যুদ্ধে জেতার পর বাঙালীর এই খেলাটা ইংরেজদের হয়েছিলো ভারি পছন্দ। নিয়মকানুন একটু অদল বদল করে বিশ্ববাসীর কাছে নতুন নামে খেলাটা পরিচিত হলো। ফ্রান্স সহ পুরো ইউরোপের মানুষের মন জয় করে নিলো।
বাঙালীর তীক্ষ্ণ বুদ্ধি দিনে দিনে কি কোনঠাসা হয়ে পড়লো! নাকি জগৎ শুদ্ধ মানুষকে এমন খেলার আইডিয়া দিয়ে এভাবেই কিস্তিমাত করলো !