STORYMIRROR

DR.GAUTAM MANNA

Action Others

2  

DR.GAUTAM MANNA

Action Others

ASTHMADR GAUTAM MANNA

ASTHMADR GAUTAM MANNA

2 mins
79



নূর আলি বড্ড গরীব পরিবারের জন্ম গ্রহণ করেন। নূর আলির মা,জাহানারা বিবি তার স্বামীকে হারিয়েছেন প্রায় চল্লিশ বছর আগে। তিনি সাতটি সন্তানের মা। ছেলেমেয়েরা খুব ছোট ছোট ওদেরকে কি ভাবে মানুষ করবেন তা তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না, কারণ ছোট্ট ছেলেটির বয়স মাত্র দেড় বছরের। আর বড়ো সন্তান হলো নূর আলি, সবাই ছিলো খুব খাটোগোছের মানুষ। নূর আলির মা জাহানারা বিবিকে দেখে মনে হয় না তিনি এতো গুলো সন্তানের মা। নূর আলির বাবার মৃত্যু কালে খুব একটা বয়স হয়নি, কিন্তু তাকে দেখলে মনে হবে যেন প্রায় একশত বছরের বয়স্ক মানুষ। নূর আলির বাবা ছিলেন একটি মাছের নৌকায় ভাগীদার হিসেবে কাজে যুক্ত হয়েছিলেন। সেখানে সর্ত ছিল যে কাজের ফাঁকি বাজী হবে তিনার অর্ধেক টাকা কেটে নেওয়া হবে মুল বেতনের মধ্যে থেকে। এই সর্ত যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য তিনি কখনো কাজের অজুহাত দেখাতেন না। বরং OVERTIME কাজ করে বেশী টাকা উপার্জন করতে পারলে হয়তো সংসারে কিছুটা অভাব নিবারণ করতে পারবেন এটাই ছিলো তিনার ধারণা ! অতি কোন জিনিসটা ভালো নয়। আমরা সবাই জানি।খনার বচনে তিনি উল্লেখ করে গিয়েছেন। অত্তপর বিষয়টি বাস্তবে তা প্রোযয্য। নূর অলি বাবুর বাবা অধিক পরিমাণে পরিশ্রমী হওয়ার কারণে,অনেক সময় না খেয়ে তিনি, বেশীরভাগ সময় বিড়িটা বেশি করে টানতেন। এক কথায় ধূমপায়ী মানুষ বলা যায়। CHANGESMOKER । দীর্ঘ দিন না খাওয়া আর বেশি ধূমপানের কারণে উনার ফুসফুসের একটি অসুখের সৃষ্টি হয়েছে। যা ঔষধ দীর্ঘদ

িন ধরে সেবন করে যেতে হতে পারে! নূর আলির বাবা গফুর মিয়া কোন দিন কারোর কোনো উপদেশ তিনি নিতেন না। তিনি নিজেই যেটা বোঝেন সেটাই ঠিক ভেবে এসেছেন। কিন্তু সময় এর পরিবর্তে রোগের লক্ষণ চিকিৎসার ও পরিবর্তন হয়েছে। ঔষধ না খেয়ে ভালো থাকা সম্ভব নয়! ফুসফুসের অসুখ বিভিন্ন ধরনের আর শ্বাসকষ্ট মানেই যে হাঁপানি রোগ তা বলা সম্ভব নয়। ফুসফুসের রোগকে হাঁপানি বলা হয় তেমনি ফুসফুসে ক্যান্সার হলে রোগীর শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ফুসফুসে টিভি হলে তাঁকে TUBERCULOSIS  বলে। এতে ও বুকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট হয়। আবার ঠান্ডা গরমে দেখা গিয়েছে ফুসফুসে কফ জমে গিয়ে প্রচন্ড কাশি হতে হতে সে সময় বুকের মধ্যে শ্বাসকষ্ট এসে যেতে পারে। এই শ্বাসকষ্ট বেশি পরিমাণে হতে থাকলে এক সময় রোগী হার্টের অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে কোন এক সময় রোগী হার্ট ফেল বা কখনো কখনো হার্ট অ্যাটাকে মারা যেতে পারেন। তবে কোনো ভাবে ধূলো, ধোঁয়া, ফুলের পরাগ রেণু,ডাষ্ট,স্নোপাউডার, তুলোর খুদ্র খুদ্র কনা যেন নাকের মধ্যে দিয়ে প্রবেশ না করে। সে বিষয়ে নিজেকে খেয়াল রাখতে হবে। ঠান্ডা থেকে বিরত থাকুন। এখন যে হেতু করোনা মহামারীতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যাচ্ছে। বেশী আক্রান্ত প্রস্ফুটিত হয়ে দেখা গিয়েছে ফুসফুসে শ্বাসকষ্ট আকারে। আবার সব শ্বাসকষ্ট করোনা রোগী নয়। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন হতে হবে। তাই মাক্স পরুন । দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করুন । দেখবেন করোনা শুরু নয় ,যে কোন শ্বাসকষ্ট থেকে আপনাদের কে সুরক্ষিত রাখবেন।



Rate this content
Log in