FRIENDS FORM THE PAST
FRIENDS FORM THE PAST


অতীতের বন্ধুরা
ডাঃ গৌতম মান্না
তোমরা আসবে বলেই আমি একা একা বসে রয়েছি আমাদের সেই ভাঙাচোরা স্নানের ঘাটে, কী দারুণ দেখতে হয়েছে কচুরিপানা গুলো এবং তাদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়ে গিয়েছে ছোট ছোট মাছেদের সঙ্গে। ওরা উভয় উভয়কেই কীভাবে যে সাহায্য সহানুভূতির সঙ্গে দেখে চলেছে আপন গতিতেই। কী জানি ? জেলেরা এসেছে দেখেই ওদের কে কেমন করে আড়াল করে রাখে আর মানুষ শ্রেষ্ট জীব জগতের এক বিষন্নতা নিয়ে চলতে থাকে! কে যে কখন আসবে ? সেই ঠিকানা আমাদের মধ্যে থাকে না খুব একটা। পুরনো দিনের সেই স্মৃতি চারণ আজ আমাকে খুব ভালো বাসায় পরিনত করে দিয়েছে । বড়িংএর ছেলে মেয়েরা এবং যারা প্রতি নিয়ত ক্লাসের মধ্যে আসা যাওয়া করতে থাকে, তাদের অনেকেই আমাদের সঙ্গে সঙ্গী হয়ে গিয়েছে অজান্তেই। সবাই সবাইকে না দেখলে কেমন একটা অভাব সৃষ্টি হয় এবং এক জায়গায় বসে টিফিনের সময় আড্ডা দেওয়া এ গুলো ঠিক স্মৃতি চারণ হয়ে থাকে। দূর দুরান্তের বন্ধুরা যদি এক দিন না এসে থাকেন ! তাহলে তার খবরাখবর নেওয়া থেকে তার বাড়ীতে পৌঁছে যেতাম, আমরা ব
েশ কিছু বন্ধু বান্ধবরা । সেদিনের সেই সব বন্ধুদের মনের নগ্নতা কখনই নোংরা ছিলই না; সেই সময় আমরা নিজেদের কে নিয়ে বেশী ব্যস্ত হয়ে পড়তাম । এখনো পর্যন্ত আমাদের সেই সব বন্ধুদের সঙ্গে পুরনো দিনের মতো করেই আড্ডা হয়ে থাকে, তবে সেটা আর স্কুলের সেই স্নানের ঘাটে নয়, এখন আড্ডা হয়ে থাকে সাধারণত চায়ের দোকানে কিংবা কোথাও বেড়াতে যাওয়ার সময়। ফিরে পাওয়া আর হলোনা আমাদের সেই স্কুলের স্মৃতি বিজড়িত অবাধ স্বাধীনতা জীবনের মুহূর্ত। সেই চাপ হীন খোলা আকাশের নীচে হাসতে হাসতেই লুটিয়ে পড়া জীবন ! এখন আছে শুধু বেঁচে থাকার লড়াই আর অগত্যা সংসার জীবনে ঘৃণিত ঘাণি! মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় স্মৃতি নিয়ে কিছুটা সময় জীবনের শেষ কালে এসে পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে দিতে বৃদ্ধের দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছি,,,। শেষ বারের মত আড্ডা দেওয়া হবে আমাদের জীবনের এক এক জনের কাঁধে চেপে শববাহী নাগর দোলায় কিংবা প্রিজাপভেনে চেপে শ্মশানের অগ্নিকুণ্ডের সেই লেলিহান শিখায়।।
**************************************************************************সমাপ্ত**********************************************************************************