DR.GAUTAM MANNA

Children Stories Classics

4  

DR.GAUTAM MANNA

Children Stories Classics

পূজার ছুটি

পূজার ছুটি

4 mins
20


পূজার ছুটি

ডাঃ গৌতম মান্না

আমরা যারা এই বয়সের কিংবা কম বা বেশী বয়সী তাদের ক্ষেত্রে একটু আলাদা। আর বাকি সকল মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহের পথ অনুসারে পুজোর ছুটি একটু অন্য ভাবে তারা কাটাতে চান। যেমন ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েরা তাদের স্কুল 🏫 জীবনের প্রতি নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলেছে। আবার উঁচু ক্লাসের সময় ঠিক এই একই নিয়মে সমস্ত ছাত্র ছাত্রীরা সারা বছর ধরে অপেক্ষা করে থাকেন। এই দেবী দুর্গার আগমনী সময় থেকে কবে আসবে ভাত্রীদ্বিতীয়া পর্যন্ত একটি দীর্ঘ ছুটির নিদান মেলে। যারা বিভিন্ন পেশার মানুষ তাদের প্রত্যেকের কাজ অনুযায়ী ছুটির নিদান মেলে। সমস্ত কাজের এবং চাকুরীরত মানুষ জন, আর ছাত্র ছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই সব ছুটির কথা মাথায় নিয়ে ভেবে থাকেন। আমরা কখন এই ছুটিকে কী ব্যবহার করবো সে নিয়ে আগাম চিন্তা ভাবনা হয়ে গিয়েছে আমাদের মধ্যে। ছুটি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি মানুষের মনের মধ্যে লেখা জায়গায় এসে পৌঁছে যান। তার পর পৌঁছে যাওয়া গন্তব্য স্থল থেকে একটুখানি চিন্তা ভাবনা করে বিভিন্ন জায়গায় পূজোর ছুটিকে উপভোগ করতে থাকি। এই পূজোর সময় ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা যেমন বাবা মায়ের সঙ্গে হাত ✋ ধরে বিভিন্ন পূজো মন্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ঘুরে বেড়ান। তেমনি করে যারা একটু বড়ো হয়েছে। যেমন বাড়ীর বড়ো বড়ো ছেলে মেয়েরা তারা তাদের বন্ধু বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে সারা রাত 🌃 ধরে দেবী দুর্গার মুখ দর্শন করে থাকেন। আবার ওরা সবাই মিলে কিংবা প্রেমিক,প্রেমিকা মিলে একটি চাউমিন,এগরোলের দোকানে দাঁড়িয়ে কিংবা যদি একটু খানিক টেবিলের এপার ওপারে মুখোমুখি বসে পড়া। আবার যদি নেহাতই বসার জায়গা না পাওয়ায়, তখন পাশাপাশি খুব কম দাঁড়িয়ে গল্প করি না। শত হলেও চেষ্টা করবো যাতে আমরা দুজনে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে এ ওর মুখের মধ্যে একটুখানি ফুচকা কিংবা এগরোলের কিছু অংশ কামড়ে নিয়ে খাওয়া। এই সব আনন্দ লাভ এবং লাভারদের মধ্যে ঘটনা গুলো সাধারনত ঘটে থাকে। সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এই সব এর মূল্য একটু অন্য রকমের হয়ে থাকে। আবার যিনারা একটু নতুন বিবাহ করেছেন। তাদের দিক একটু অন্য রকমের ভঙ্গী দেখা যায়। নতুন বিবাহের কিছু দিন কিংবা সবে বিবাহ 💒 করেছেন। তিনারা ছুটি টাকে একটু অন্য রকম বলতে, ছেলের শশুর বাড়িতে গিয়ে পূজোর সময় সমস্ত আত্মীয় স্বজনদের সঙ্গে বেরিয়ে পড়লেন। কিন্তু দুজন দুজনে চলার সময় হাত ✋ ধরে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা অনুভুতির সৃষ্টি করে। আবার যদি কোথাও নির্জন নিহারিকায় পাড়ী দিয়ে মনের মতো করে দুজনে ঘুরে বেড়িয়ে আসা যায়। ঐ সময় যদি পুরীর সমুদ্রের জলে দুজনে মিলে সেই বালুকাময় জলরাশি কে বেশ কিছু সময় ধরে উপভোগ করতে পারাটা একটুখানি অন্য রকমের হয়ে থাকে। সেই সময় সমুদ্র সৈকতের জলে দাঁড়িয়ে দুজন দুজনকে জড়িয়ে ধরে একটা ছবি তুলে ধরলাম। আবার কখনো কখনো ঐ জায়গায় অনেক ফটো তোলার কেমেরার মানুষ জনদের দিয়ে একটা ফটো অ্যালবাম তৈরি করে রাখা যায়। সে আর কথা বলতে আছে। যখন তখন একবার করে ওই সব ফটো অ্যালবাম থাকা ছবি গুলো কে মনের আঙ্গিনায় মেলে ধরা। এই সব ছবি প্রতি বছরের ন্যায় একবার করে মনে পড়ে যায়, ঠিক এই সময় বছর ঘুরে আসলেই তবে,,,। এরপর যারা সংসারের মাঝ পথে কিংবা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ভরা সংসার হয়ে গিয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে একটু খানিক অন্য প্রকৃতির অনুভব সৃষ্টি হয়ে থাকে। পূজোর ছুটি কবে পাবে বাড়ীর ছেলে মেয়েরা যেমন ভাবে, তেমনি করে বাবা মায়ের ছুটি থাকলে আর বলতে হবে না। কেন না তারা ভাবে পূজোর সময় সপরিবারে মিলে বিভিন্ন জায়গায় পূজোর প্রতিমা দর্শন করা এ এক আলাদা অনুভূতি সৃষ্টি হয়। পরিবারের সঙ্গে যখন আমরা দেবী দুর্গার দর্শন করতে করতে একটি সময় বাড়ী ফিরে আসতে হবে সবাইকে নিয়ে। আর যদি কোনো ছেলে মেয়ের সৃষ্টি থেকেই চির বঞ্চিত হয়ে থাকে। তাদের মধ্যে এই সব পূজো পার্বন এতো খানিক আনন্দের সহানুভূতিশীল মনো নিবেদনের একটা আচ্ছাদন টুকরে টুকরে খেতে থাকে। যখন অন্য মানুষ জনের সঙ্গে থাকা একক পরিবার বর্গের সমানুপাতিক হারে তাদের চলাফেরা। এবং বিভিন্ন কথোপকথন এর মাজা গুলো বান্ধত্বের চির নিকৃষ্টতম বলে মনে হতে থাকে। এরা কখনো পূজোর সময় একাকৃত্ব জীবনের জন্য একটি নির্জন নিহারিকায় পাড়ী দিয়ে থাকে। যেখানে শুধু দু জন আর দুজন। পৃথিবীতে শুধু আমরা দুজন মিলে একটুখানি পিছিয়ে থাকা সত্ত্বেও কোনো ভাবে আমাদের কে কেউ কখনো ভুল বুঝতে না পারে। এরপর শেষ এবং অন্তিম স্টেশন থেকে একটু দূরে থাকার জীবন। এই বয়সে এসে আমাদের কে একটু একটু করে সমস্ত ছুটির দিক থেকে এড়িয়ে চলতে পারাটা একটুখানি আলাদা অনুভুতির সৃষ্টি হতে হয়। এই সময় আমাদের মনে হয় পূজোর ছুটি অন্য এক জগতে কাটাতে পারলে, তবেই আমরা সস্থির নিঃশ্বাস নিতে আর কষ্ট সহ্য করতে হতো না। এই ছুটাটা যেন আমাদের অন্তিম জীবনের শেষ স্টেশনে কাটিয়ে নিতে পারলে, জীবনকে ধন্য বলে মনে হতো।।



Rate this content
Log in