STORYMIRROR

DR.GAUTAM MANNA

Horror Fantasy Others

2  

DR.GAUTAM MANNA

Horror Fantasy Others

FORMLESSDR GAUTAM MANNA

FORMLESSDR GAUTAM MANNA

4 mins
54


 


তোরা এসেছিস,,,,,,,? —আ,,,আ,,,, আপনি কে,,কে,,,এ,,এ ? — শালা তোর বাবা ! — এতো গভীর রাতে আমার কাছে কেন ? — আমার সমস্ত জমি জায়গা সব কিছুকে আমি অশরীরী মতো করে ধরে রাখতে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছি! বেশী চালাকী করলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে কেবলা ? তোর বন্ধুকে সাবধান করে দিবি। তোরা এখন খাওয়া দাওয়া সেরে নিতে পারিস! —রাম,,রাম,,,রাম,,, আমার কোন কিছুই দরকার নেই বাবা! কেবলা ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলো। এমন সময় রমেশ এসে দরজায় ধাক্কা দিতে লাগলো কিন্তু কেবলা আর প্রতি দিনের ন্যায় দরজাটা আর খুলছে না দেখে এবার সজোরে ধাক্কা মারলাম। ব্যাস দরজা খুলে গেল কিন্তু ঘরের চারিদিক অন্ধকার,কেবলা তখনও পর্যন্ত কাঁপছে আর বলছে,,,! —- রাম রাম রাম রাম আমাকে কেউ বাঁচাও! — ধূর শালা এই কথা কেউ শুনতে পাবে নাকি ! তোর তো দেখছি ভয়ে গলার স্বর স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছে! কেবলার কথা কেউই শুনতে পাওয়ার কথা নয় এবং খুব আসতে আসতে করে মুখে আওয়াজ করেই চলেছে। আমি শালা একটা গাধা হয়ে রয়েছি, কিছু বুঝে ও বুঝতে পারলাম না! তবে শালা কেবলা এখন বেঁচে আছে। শব্দ শুনতে পাচ্ছি, কিন্তু কোথায় বসে আছিস কেবলা? —ততলাতে ততলাতে কেবলা বলল,,, কে,,এ,,,বা,, বাবা ত,,, তুমি? — দূর শালা আমি রমেশ। অন্ধকার কেন রে? আর তোর ঘরের সুইচটা কোথায় আছে বল? —- আলো জ্বালাতে বা,,বা,,,বারণ করছে? —- কোন শালা বারণ করে রে ? —- আমার বাবা । — তোর আবার বাবা কোথায় ছিল শুনি ? এখানে আমি আর তুই এসেছি আর তো কোনো শালা ছিল না। আলো জ্বালিয়ে দে আমি দেখছি, কোন শালা তোরে আলো বন্ধ করে। শোন কেবলা, এইটা একটুখানি খেয়ে নে ,,। — কী আছে এই বোতলে ? — অমরীত সুধা যা পান করলে শরীরে একটা আলাদা এ্যানার্জী তৈরী হয়। সমস্ত ভয় কেটে যাবে এবং এই ফাঁকা বাড়ীটা এখন আমাদের! — না রে রমেশ এই কথা বলতে নেই আমাদের? —কেন ? — এই কথা ও আগে শুনেছে বলেই আমাকে একা পেয়ে বারণ করে দিয়েছে। — আরে বাবা আমরা তো আর মাথায় করে নিয়ে যাবো না তার উপর যতোক্ষন এই বাড়ীতে থাকবো ততোক্ষণ আমাদের ! — না ! ওসব কিছু বাহিরের থেকে শুনছে। আলো জ্বললেই ও এসে হাজির হয়ে যাবে। ওতো আমাদের ক্ষতি করছে না? — অনেক রাত হয়েছে,আলো জ্বালিয়ে খাওয়ার পর না হয় বন্ধ করে দেবো,তোর কথা মতো। ঠিক আছে? —- আমার ভীষন ভয় করছে রমেশ। —- প্

যান্টে প্রস্রাব করা মাল কোথা কার ! — এই বলে রমেশ আর কেবলা দুজনে মিলে অন্ধকার অবস্থায় কোনো রকমে জলপানি আর কিছু খাবার নিয়ে খেতে খেতে কেবলা আপাতত ঠিক হয়ে ওঠে। কিন্তু বুকের ভেতরটা কেমন যেন একটা পরিবেশ তৈরি হয়ে আছে এটা রমেশ অনুভব করতে পারল না। দুজনে মধ্যে কথা হতে হতেই হঠাৎ করে রমেশ ঘরের আলোটা জ্বালিয়ে দেয়। ব্যাস! কিছু সময় পরে দূর থেকে একটা অজানা কন্ঠস্বর ভেসে আসতে লাগলো এবং খুব গম্ভীর গলায়। এই আওয়াজ শুনে কেবলা তো একেবারেই কূপকাত হয়ে গিয়েছে এবং সেই একই ভাবে ততলানো শুরু করে দিয়েছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে বসে পড়ল কেবলা আর ঠক ঠক করে কাঁপতে লাগলো । রমেশ একটুখানি ঘাবড়ে গিয়ে ও নিজেকেই ঠিক রাখার চেষ্টা করেছে, কিছু সময় পরে একটি দমকা হাওয়ায় ঘরের মধ্যে সমস্ত জানালা দরজা খুলে গিয়ে এদিক ওদিক হতে শুরু করে দিয়েছে এরপর ঘরের পাখা গুলো নড়তে থাকে । নীচের সিঁড়ির ঘরে বিকট আওয়াজ হতে শুরু করে দিয়েছে। কিছু সময় চলার পর রমেশের ও একটু খানিক ভয় লাগতে শুরু করেছে কিন্তু সে কিছু না দেখে কখনই বিশ্বাস করতে চায় না ! এরপর রমেশ একটুখানি ঘাবড়ে গিয়েছে, সারা শরীর থেকে দর দর করে ঘাম ঝরছে কিন্তু শীতের রাতে এতো ঘাম তার কখনো হয়নি। রমেশ দুটি চোখ মুছতে মুছতে ভাবলো কিছু না বললে বোঝা যাবে না! —সাহস নিয়ে ,কে শালারে? সামনে এসে হাজির হয়ে দেখা তোর কতো ক্ষমতা ? — ততলাতে ততলাতে কেবলা বলল ওকে ডাকার দরকার নেই, বরং আলোটা নিভিয়ে দে না ভাই,,,,,,! —- তুই শালা বড়ো ভীরু কোথাকার। চুপচাপ বসে আছিস বসে থাক। একটু ধমক দিয়ে বলল। — আমি তোদের বাবা রে হারাম যাদা! —- ধূর শালা আমার কোন বাবা নেই। সব শালা কবেই বিদেয় হয়ে গিয়েছে,বুঝলি? —- ঠিক করে তাকিয়ে দেখ আমাকে ! চিনতে পেরেছিস? —- ওঃ,,, ওঃ,,,,,! —- কী হলরে? ভয়ে কাঁপতে শুরু করলি কেন? তুই তো আমাকে না দেখে চিনতে পারলি না কী ? — আমি কাঁপছি না ! তবে,,,,, আমার খুব,,,,? — তবে আমার খুব কী বলে থামলি কেন ? —- কেবলা বলে ওঠে, তোমার গলাটা ভেবলার মতো লাগছে ! —- এখনও তোদের সন্দেহ রয়েছে বুঝি ? ঘমক দিয়ে। — ভে,,,,,ভে,,,ভেবলা আ,,,,আ,,,,, ! — রমেশ আ,,,আ,,,, করতে করতে দুজনে মিলে মেঝেতে পড়ে যায় এবং কিছু না দেখতে দেখতে এবার কাঁপতে লাগলো। কেয়েক মিনিট পর ওরা দুজনে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।



Rate this content
Log in