অদ্ভুতুড়ে
অদ্ভুতুড়ে
আমি তখন নিতান্ত নির্বোধ
পৌঁছে গেছি অজানা বাড়ির কাছে,
ওই বাড়ি নিকষ আলোয় ঘেরা
আমি বললাম এই বাড়িতে কেউ কি আছে?
আমার ডাক যখন উঠল রণরণিয়ে
সে বাড়ির মিনার থেকে উড়ল পাথির দল,
কারা যেন অবাক চেয়ে আমার পানে
তাদের সে চোখে তখনও বিষ্ময় সম্বল৷
আমি যে সেথায় আসতে পারি একা
ভাবতে পারে নি রাতের আঁধারের তারা,
তারাও নিশ্চুপ থেকে থেকে এতকাল
মুক্তির খোঁজে উন্মুখ আর দিশে হারা৷
সারা বাড়ি গাছগাছালিতে ঢাকা
তবুও সেথায় তাদের পদচারণার ধ্বনি,
আমার হৃদয়ে ত্রাসের উথাল পাথাল
সেথায় জীবন বুঝি যায় গো তখ্খুনি৷
তবুও খানিক সাহস এনে আমার মনে
আবারও সুধাই রয়েছো কি কেউ এখানে,
যদি থাকো একটিবার বলে দিও তারে
আমি হেথায় এসেছিলেম সে ও যেন জানে৷
বলেই দিলেম, গতি আমার দ্বি-চক্র জানে
ছাড়লাম সেই অদ্ভুতুড়ে বাড়ির কঙ্কর পথ,
অদৃশ্য অশরীরিরা রইল সে ঘরে তখনও বদ্ধ
মুক্তির পথে, ভিড়লো না তাদের সাধের রথ!