ভূত মাঝি ।
ভূত মাঝি ।
ও মাঝি ভাই যাবে নাকি -
নদীর অপর তীরে?
এই বুঝি ঝড় উঠলো ,
মেঘ যে আকাশ জুড়ে ।
পার করে দাও না আমায় -
ওই পাড়েই মোর বাড়ি ,
না হয় একটু বেশিই নেবে -
ভাড়ার টাকা কড়ি।
অন্ধকারও ঘনিয়ে আসছে -
চারিদিক হচ্ছে ঘন কালো ,
মাঝে মাঝে ঝলসাচ্ছে চোখ -
বিদ্যুতের তীব্র আলো ।
অনেক কষ্টে রাজি হলো -
নৌকা মাঝি ভাই ,
কি অদ্ভুত গলা তার !
শুনে কাঁটা দিলো মোর গায়।
কিছু দূর যাওয়ার পর -
পৌঁছালাম নদীর মাঝে ,
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি -
প্রায় আটটা গেছে বেজে ।
ভীত স্বরেই বললাম তাকে -
মাঝি ভাই,একটু তাড়াতাড়ি চলো ,
হটাৎ ঢেউ জোড়ে ধাক্কা মারায় -
নৌকা হলো টলোমলো ।
বেশ কিছু দূর এগিয়ে যেতেই -
মাঝি ভাইকে বললাম ডেকে ,
তুমি তো খুব আজব মানুষ -
মুখ এইভাবে কেন রেখেছো ঢেকে !
গম্ভীর স্বরে বললো মাঝি -
আমি এইভাবেই থাকি ,
চুপটি করে বসো তুমি -
আর কিছুটা পথ বাকি ।
দমকা হাওয়া ছুটে এসে -
সরিয়ে দিলো তার চাদর ,
তারপর যা দেখলাম আমি -
কেঁপে উঠলো মোর অন্তর ।
অন্ধকার এ জ্বলজ্বল করছে -
লাল দুটি চোখ ,
হাতের থেকে ঝুলছে তার -
ধারালো বড়ো বড়ো নখ
দৃশ্যখানি দেখার পর -
গলা শুকিয়ে কাঠ ,
ইতি মধ্যে এসে পড়েছি -
বাড়ি ফেরার ঘাট ।
বললো মাঝি চেনা সুরে -
নেমে পড়ো এসে গেছি ,
জিগ্যেস করলো বাড়ি কোথায় !
আমি বললাম কাছাকাছি ।
নামার পর পিছন ফিরে -
ভাড়া দিতে যাওয়ায় ,
দেখলাম মাঝি উধাও হয়েছে -
মিলিয়ে গেছে হওয়ায় ।