পৌর মন্দিরের শিশুকন্যা।
পৌর মন্দিরের শিশুকন্যা।
পৌর এক মন্দির -
চারিদিক টা শান্ত ,
মাঝে মাঝে ডাকছে ঝিঁ ঝিঁ-
বাতাসও যেনো ক্লান্ত।
চারিদিকে অন্ধকার খুব -
কুচকুচে কালো ,
গমটানি ভাব একখানি -
নেই জোনাকিরও মিঠে আলো ।
এখানে ওখানে ভাঙা চড়ার স্তূপ-
ক্ষীন পাওয়া যায় দেখা ,
মস্ত বড় বটের নীচে -
মন্দির টি আছে ঢাকা ।
জঙ্গলের মধ্যিখানে এখন -
সঙ্গী বলতে শুধু টর্চ ও লাঠি ,
ভয়াবহ পরিস্থিতি ,
রহস্যের উত্তেজনা খাঁটি ।
অনেক কিছুই শুনেছি -
এ মুখে ও মুখে নানা কথা ,
অন্যতম তার মধ্যে ,এলে পরে এখানে-
কাটা পড়ে মাথা।
শিশু আত্মার বাস নাকি এখানে -
কন্যা টি বেশ ফুটফুটে,
মানুষ জন দেখলে পরে -
মিষ্টি সুরে ডেকে কাছে আসে ছুটে।
চমকে উঠলাম রুদ্ধ হলো কন্ঠস্বর-
কেউ যেন দাঁড়িয়ে মন্দিরের পিছনে,
মিষ্টি সুরে ডাকছে সে আমায়
এক দৃষ্টি ও এক মনে।
প্রচন্ড ভিতিতে আমার -
শর
ীর হয়েছে শীতল ,
আবার ওই ,ওই ভেঁসে এলো সেই সুর -
হারালাম যেনো সব শক্তি-বল।
সে যেনো হি হি করে মৃদু হেসে বলে উঠলো -
কি গো তোমাল টাছে কি চকলেট আছে ?
আমায় না বাবা -মা গেছে ফেলে!
তুমি নিয়ে যাবে তাদের কাছে ?
কথাটি শেষ করেই সে ,তার পুতুল টি নিয়ে হাতে-
ছুটে আসতে লাগলো আমার পানে ,
প্রচণ্ড একটা চিৎকার করে আমি-
দিলাম ছুট প্রানপনে ।
জোরে জোরে পড়ছে নিঃস্বাস -
মানছি না লতা পাতা ,
বাবা গো বলে চেঁচিয়ে উঠে অজ্ঞান হলাম -
ফুরালো রাতের কথা ।
সকালে উঠে বুঝলাম কিছু লোক -
তুলে কুটিরে নিয়ে এসেছে আমায় ,
ছিটে ফোটা রক্তের দাগ দেখলাম -
এখনো লেগে জামাই।
একজন এসে বললেন বাবু-
দ্রুত যাবেন ফিরে ,
যার উপরে পরে নজর ওর
তাকে সহজে না ছাড়ে।
কথাখানি বলে পরে -
তিনি যেই গেলেন বাইরে -,
জানলা হতে কার যেন ছোটো ছায়া-
পড়লো এসে ঘরে !।