পুতুল মেয়ে
পুতুল মেয়ে
জোড়াবাগান পাঁপড় গলি, মামার বাড়ি-
নয় বছরের জন্মদিনের মেয়েটা,
ব্যাগে করে পুতুলের সংসার, বাবার দেওয়া
পুতুলটা দুই বেণী, চোখের পাতা খোলে বন্ধ,
কোল থেকে ছাড়েই না সে একবার ও।
ঘিঞ্জি গলি, জমজমাট সন্ধ্যের রাস্তা
দিদির হাত ধরে ফুচকার দোকানে, হাতে দুই বেণী।
ঐ টুকু মেয়ে ঝাল খাওয়া শিখে গিয়েছে ভারি,
মামা আজ পয়সা দিয়েছে, ফুচকা খেয়ে হাতে আলু কাবলি,
দিদি আগে, টুকটুকে ফ্রক পরে ফটর ফটর মেয়ের চটি।
ঐ দেওয়ালে ঝুঁকে বসে মাঝবয়সী লোকটা,
মা সাথে থাকলেই দিদিকে বলে ওর দিকে তাকাবি ও না।
লোলুপ দৃষ্টিতে লোকটা দেখছিল দুই বেণী, খুচ্ছ
িল ফ্রকের ভেতর কিছু।
হঠাৎ হ্যাঁচকা টানে মেয়েটিকে, কালো অন্ধকার বাড়িতে ওর বন্ধ ঘরে,
রাক্ষস টা বুকের ওপর। ফ্রক টা কুটি কুটি, পুতুলের চোখ উপড়ে চিৎকার,
রক্তাক্ত শরীরে মেয়েটি ভাঙ্গা জানালা দিয়ে আলো দেখে হাত বাড়ায়,
শুধু হাত নয়, গলা তে ধারালো ছুরি- ভিজে যায়, চুপসে যায় দেহ টা।
নয় বছরের জন্মদিনের মেয়েটা,
হাতে আনন্দ, মনে আলু কাবলির খুশি।
মেয়ে হয়ে ওঠা কি জানেই না সে।
ঐ জঘন্য লোকটার মুঠিতে, কামড়ে, থাপ্পড়ে, ছুরিতে
সে কি ভয়ংকর ভাবে মেয়ে হয়ে ওঠা;
ঐ নয় বছরের জন্মদিনের পুতুল মেয়েটা।
বাইরে পাঁপড় গলি জমজমাট, দিদি হন্যে হয়ে খোঁজে বোনকে।