সুড়ঙ্গে
সুড়ঙ্গে


অন্ধকার গ্রাস করেছিল একচল্লিশ কে একসাথে,
পাচিলের গা বেয়ে নেমে আসছিল অজানা ভয়
কে জানে কখন সতেরোটা দিন পেরিয়ে যাতে-
স্যতসেতে দেওয়ালে ঘুরে বেড়াচ্ছিল কি হয় কি হয়!
চোখের দৃষ্টি খুঁজে বেড়ায় কোথায় কালোর শেষ
দৌড়ে ছুটে মাথা কুটে বাইরে যাবার চেষ্টা বৃথা,
কঠিন দেওয়ালে ঘুরে ফেরে নিজের কান্নার রেশ,
আর কি পাব একটি বার মায়ের দেখা সেথা!
বাইরে গোটা পৃথিবীটা তখন একমনে একসাথে,
আলো আর আলো পাঠাতে চাইছে সেই গুহায়;
পাহাড় ভেঙ্গে সেই আশাতে আবার কালো পথে
গুমরে কাঁদে দুনিয়াটা একচল্লিশের গভীর শঙ্কায়।
এক ফোঁটা আশার আলো কিভাবে যেন তরঙ্গে,
চোখের আলো নয়, প্রাণের আলো জ্বালোরে মন-
জীবন টাকে বাচিয়ে রাখো যেভাবে পারো সুড়ঙ্গে,
তিলে তিলে দুই পৃথিবী অক্লান্ত চেষ্টা করে প্রাণপণ।
যন্ত্র যখন হাঁপিয়ে ওঠে মন তখন ও উন্মুখ
পাহাড় ভেঙ্গে আশার আলো গুটি পায়ে চলে-
ঐ তো সেই আটকে থাকা একের পর এক মুখ,
দুই পৃথিবী তখন একাকার- শুধু আলোর ভাষা বলে।