Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Action Thriller

3.0  

Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Action Thriller

One Trip (পর্ব - সাত)

One Trip (পর্ব - সাত)

8 mins
202


রুমা অর্চনা স্বপ্নার কাঁধে হাত রাখতেই ও হু হু করে কেঁদে ফেলল। অর্চনার মনটা খুব নরম, সে কান্নাকাটি দেখে বললো "ওই এমন করে কাঁদছিস কেন? বলনা কি হয়েছে তোর? দেখ আমিও তো সবটা বলে দিলাম, তুইও মন খুলে বল, দেখবি হালকা লাগবে মনটা।"

স্বপ্না তেমনি করেই নীরবে কাঁদতে লাগলো।

রুমা বুকে টেনে নিলো স্বপ্নাকে। "তোর যত ইচ্ছে কাঁদ স্বপ্না, কেঁদে নে, আমি বারণ করবো না। "

মালা কিছু বলতে যেতে শান্তা বাঁধা দিয়ে ইশারায় চুপ করতে বললো। স্বপ্না শিশুর মতো কেঁদে চললো।

কাঁদতে কাঁদতে ওর হেঁচকি উঠে গিয়েছিল, শান্তা জল এগিয়ে দিয়ে বললো " জলটা খেয়ে নে স্বপ্না। "

স্বপ্না জলটা খেতে খেতেও কাঁদছিল। কোনো মতে জলটা খেয়ে কিছুটা শান্ত হলো ও। শান্তা ওর মাথাটা কোলে শুইয়ে দিয়ে বললো "তুই ঘুমো আজ, থাক কিছু বলতে হবে না। সময় রয়েছে। "

স্বপ্না শান্তার কোলে মাথা রেখে চোখ বুজলো। তখনও ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কেঁদে চলেছে, আর ওর তপ্ত অশ্রুতে শান্তার কোল ভিজে যাচ্ছে।এমন করে থাকতে থাকতেই স্বপ্না সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলো "তোরা আমাকে বলবি ভালোবাসা কি আদেও রয়েছে? কতটা ত্যাগের বিনিময়ে ভালোবাসা পাওয়া যায়? "

স্বপ্নার মুখে এমন প্রশ্ন শুনে সবাই একে অপরের দিকে তাকালো।

" জানি তোরা এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবিনা, আমি আজও খুঁজে পেলাম না জানিস। "

তারপর একটা নিস্তব্ধতা, স্বপ্না আবার নিজের মনেই বললো "জানিস আমি কিছুটা জেদ করেই চলে এসেছি, জানি এ নিয়ে বাড়িতে অশান্তি হবে। তবুও চলে এলাম, কম তো অশান্তি জীবনে সহ্য করিনি, এবারটাও না হয় করে নেবো, তবুও তো মনে হবে আমি খুশি পেয়েছি একটা অশান্তি সহ্যের বিনিময়ে। "

মালা বলতে গেল "এতো অশান্তি সহ্য করে এলি কে...?"

সীমা ইশারায় ওকে থামিয়ে দিল। অবশ্য থামিয়ে না দিলেও হয়তো অসুবিধা ছিল না,কারণ স্বপ্নার কানে যেন কোনো কথায় ঢুকেনি।

" আমি তোদের মধ্যে সবচেয়ে লম্বা ছিলাম, তোরা আমাকে লম্বু বলে ডাকতিস। আসলে আমি আমার বাবার ধাঁচ পেয়েছিলাম, বাবাও ছিলেন ছয় ফুট লম্বা, আমার বাবা পুলিশে চাকরি করতেন। আমরা চারবোন এক দাদা। আমি বাড়ির ছোট বোন ছিলাম। ছোট থেকে শাসনে বড় হয়েছি, বাবা বড় রগচটা ছিলেন, কথায় কথায় মায়ের আর আমাদের গাঁয়ে হাত তুলতেন। তবে মন্দের ভালো তিনি বেশির ভাগ সময় বাড়ির বাইরে বাইরে কাটাতেন। ছোট থেকেই মায়ের আর দাদা-দিদিদের আদর শাসনে বড় হয়ে উঠেছি। আমি সবে উচ্চ মাধ্যমিক দিয়েছি। বাবা অবসর নিলেন। আমার বড় দুই দিদির বছর দুই হলো একই দিনে একই লগ্নে বাবার অন্তরঙ্গ বন্ধুর দুই ছেলের সাথে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন বাবা। দুই ছেলেই পুলিশ, ভালোই রয়েছে তারা। এদিকে দাদাও স্কুলে চাকরি পেয়েছে বছর খানেক আগে। দাদা আমার চেয়ে বছর দশেকের বড়। দাদা বিয়ে করার জন্য উঠে পড়ে লাগলো। তখনও আমি আর ছোটদি রয়েছি। বাবা কিছুতেই রাজিনা, শেষে বাধ্য হলো রাজি হতে। বৌদি এলো। কিন্তু আগের মতো কিছু রইলো না। বাবা কেমন যেন বৌদির কথায় উঠতে বসতে লাগলো। ছোটদি আর আমাকে বকত কাজ করা নিয়ে,এমনকি মাকেও। কিন্তু বৌদিকে কিছু বলতো না আর কাউকে কিছু বলতেও দিতো না। আমরা তিনজন রাতে শুয়ে কাঁদতাম।বাবা বরাবর একাই শুতেন তাই রক্ষা। ছোটদির কলেজ যাওয়া বন্ধ হয়ে গিয়েছে বৌদি আসার মাস তিনেকের মধ্যে আর আমি কলেজ যাচ্ছি কোনো মতে। এরই মধ্যে বৌদি ছোড়দির একটা সম্বন্ধ আনল ওর বাপের বাড়ির এক আত্মীয়ের নাকি ছোড়দিকে দেখে ঘরের বৌ করার সাধ হয়েছে। আমার ছোড়দি খুব সুন্দরী ছিলো। মা বারবার করে বলল দাদা আর বাবাকে ভালো করে খোঁজ খবর নিতে। কিন্তু ওরা বৌদি যা বলে তাই মেনে নেয়, এদিকে ছোড়দিও এই বাড়ি ছেড়ে যেতে পারলে বাঁচে এমন হয়ে উঠেছিল। সে তাই এক রাতে মায়ের বুকে মুখ গুঁজে কাঁদতে কাঁদতে বলেছিল 'মা তুমি অমত করোনা, ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ায়, জানি কম বেতন। আমি ঠিক চালিয়ে নেবো৷ একটু শান্তি চাই মা।' মায়ের চোখে জল দেখেছিলাম, কিন্তু মা রাজি হয়ে গিয়েছিল। দিদির বিয়ে হয়েছিল বালুরঘাট হিলি বর্ডারের কাছে, দুর্গোপুজোয় বার দুই গিয়েছিলাম। গিয়ে বুঝেছিলাম অবস্থা খুব ভালো না হলেও দিদিকে জামাইবাবু বোঝেন, যত্নও করেন। তবে শ্বাশুড়ি রাগী মানুষ খুব ছিলেন,উনার নির্দেশেই সব হতো বাড়ির। জামাইবাবুর একটা স্বভাব আমার বাজে লাগত, তিনি আয়ের সব টাকা যেমন মায়ের হাতে দিতেন আর ভুল হোক কি ঠিক মায়ের উপর কোনো কথা বলতেন না তিনি। দিদির কিছু প্রয়োজন হলে শ্বাশুড়িকে বলতে হতো, সেটা যতই সামান্য হোক না কেন। সব দেখে আমার মনে হয়েছিল আমাকে চাকরি পেতে হবে। এরপর খাটতে লাগলাম, ভোরে উঠে দৌড়াতে যেতাম। কলেজের ফাঁকে গিয়ে গ্রন্থাগারে বসে চাকরির প্রস্তুতি নিতাম। হ্যাঁ পেলাম পুলিশের চাকরি, কিন্তু জয়েন্ট করতে পারলাম না। কারণ বাবা সই করলেন না। কারণ তিনি চান না আমি পুলিশের চাকরি করি।তখন আমি জানতাম না অভিভাবকের স্থানে মাও সই করতে পারেন। প্রতিবাদ করলাম না যতই কষ্ট হোক। এদিকে বৌদি বাবাকে আমার জন্য পাত্র দেখতে বললেন। আমি কিন্তু আবারও চেষ্টা করতে লাগলাম, আবারও পুলিশে পেলাম, এবার অভিভাবক হিসেবে মা সই করলেন। বাবা ক্ষেপে গেলেও মুখে কিছু বললেন না। বুঝতে পারলাম কেন বললেন না। কারণ তিনি আমার এক জায়গায় বিয়ে ঠিক করে ফেলেছিলেন। ছেলের আমার রাস্তায় দেখে পছন্দ হয়েছিল।আমাকে বিনা পণে বিয়ে করতে চায় সে। বাবাকে এসে জানালে তিনি খুব বেশি খোঁজ খবর নেননি, এমনকি মাকেও জানাননি। জয়েনিং এর মাস ছয়েকের মধ্যে আমার বিয়ে দিয়ে দেন। এই বাড়িতে এসে ভালো লাগছিল। আমাকে যত্ন করে, আমার ভালো মন্দের খোঁজ করে। আমাকে যখন তখন দেখতে আসে। হাতে করে এটা ওটা নিয়ে আসে। মাঝে মাঝে আদর সোহাগে ভরিয়ে দেয়। আমি মনের সবটা জুড়ে স্বামীকে ভালোবেসে ফেললাম কয়েকদিনেই। এদিকে বিয়ের জন্য ছুটি নিয়েছিলাম, তা ফুড়িয়ে এসেছিল। সব মিটে যেতে আমি চাকরিতে যোগ দেবার কথা বলতে কেমন মুখ ভাড় হয়ে যায় ওর। আমি অনেক বুঝিয়ে মানিয়ে গুছিয়ে জয়েন্ট করি। এরপর দেখি মাঝে মাঝেই স্বামীকে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে। আমার খুব ভালো লাগত।সবাই ক্ষেপাত।ভাবতাম কত ভালোবাসে আমায়। প্রথম পোস্টিং আমার মালদায় হয়েছিল। এখানে দেখেই পছন্দ করেছিল ও। আমি মাঝে মাঝে এসে অনুযোগ করতাম। সে কিছু বলত না। ওদের হার্ডওয়্যারের পুরনো ব্যবসা, আর ওই সময় আমার শ্বশুর মশাই সামলাত দেখে ওর চাপ ছিল না। এমন করে চলতে চলতে আমার মোহ ভাঙ্গলো আমি বুঝতে পারলাম ও আমাকে দেখতে যেতো না, ও পাহারা দিতে যেতো আমাকে। একদিন আমার অফিসের একজন সহকর্মীর সাথে হেসে কথা বলায়, সে বাইক নিয়ে বাড়ি ফিরে যায় আমাকে না নিয়েই , আর আমি বাড়ি ফিরতেই আমাকে নোংরা নোংরা যেমন অপমান করতে শুরু করে। এমনকি গায়ে হাত তুলে সে আমার। আমি ততদিনে ওকে খুব ভালোবেসে ফেলেছিলাম। তাই বোঝানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ও অনড়। সারারাত সেদিন ঘুম হয়নি। পরের দিন সকালে উঠতে দেরি হওয়ায় দেখি ও বেড়িয়ে গিয়েছে বাইরে তালা লাগিয়ে। অনেক বলাতে শ্বাশুড়ি জানালেন তিনি আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঢুকতে চান না। আমার ননদ দাদাকে ফোন করে ডাকিয়ে এনে দরজা খুলিয়ে দিলো। সেদিন আমি কেমন বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছিলাম। সারাদিন কিছু খেলাম না, একবারও ও জিজ্ঞেস করল না। পরের রাতে ভয়ে আমার ঘুম হলো না, আমি ভোর বেলায় আমাদের ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে গেলাম। ও ঘুম থেকে উঠার আগেই পুলিশ স্টেশন চলে গেলাম। হয়তো অনেকে বলবে পুলিশ হয়ে কেন প্রতিবাদ করিনি? সত্যি বলতে কি পুলিশ হওয়া আর না হওয়াতে কিছু এসে যায়না। ছোট থেকে মানুষ যে শিক্ষায় বড় হয়, সেটাই মনে বসে যায়। আমার মাকে সইতেই দেখেছি, প্রতিবাদ করতে দেখিনি। আর শিখেছি স্বামী পরমগুরু, তাই মনে ওটাই বসে রয়েছে। পুলিশ স্টেশনে মা ফোন করে জানায় শ্বশুর বাড়ি থেকেও আমাদের বাড়িতে ফোন করেছিল, মা ধরেছিল ফোন তাই রক্ষা। মা বলেছিল আমার শ্বশুর বাড়ি নাকি আমার বাড়ি, আমাকে সবার কথা শুনে এখানেই থাকতে হবে। সেদিন মনে হয়েছিল কি দরকার আমার জন্ম নিয়ে, একটা বাড়ি আমার নেই। যাইহোক সেদিন অফিস থেকে বাড়ি অনেক ভয়ে ভয়ে ফিরলাম।দেখি মা-বেটা বসে রয়েছে। আমাকে দেখেই আমার স্বামী বলে 'বাইরেই থাকো ঘরে আসার প্রয়োজন নেই, চাকরি করতে চাইলে এই বাড়িতে তোমার ঢুকবার অধিকার নেই। ' শ্বাশুড়ি শুনেনে কিন্তু নীরব থাকেন।আমি কি করব বুঝতে পারিনা সেই মুহুর্তে। আমি কোথায় যাব বুঝতে পারিনি। এখন মনে হয় সেদিন বাড়ির বাইরে চলে আসা উচিত ছিল৷ চাকরি করতাম, ঠিক কিছু ব্যবস্থা করে নিতাম। আর আমার চাকরি করতে যাওয়া হলো না। এতো কষ্টে পাওয়া চাকরিটাও ছাড়লাম যে শান্তি লাভের আশায় পেলাম না আজ পর্যন্ত। চাকরি ছাড়ার পরে ভাবলাম এবার বুঝি ওর সন্দেহবাতিক মনটা ঠিক হবে। কিন্তু হলো না, উত্তরোত্তর বেড়েই চলল। আমাকে একরকম ঘর বন্দী করে ফেললো।বাপের বাড়ি যাওয়া তো বিয়ের পরে থেকেই বন্ধ হয়েছিল, এবারে সর্বত্র যাওয়া বন্ধ হল। সামান্য দুধ দিতে আসলে দুধ নিতে যেতে পারতাম না, সামনের মুদির দোকান থেকে কিছু কিনতে যেতে পারতাম। সবকিছুতেই সন্দেহ করত আমাকে, মাঝে মাঝে সন্দেহে এমন বেড়ে যেত গায়ে হাত তুলত আমার। একমাত্র সঙ্গী ছিল আমার ননদ সে আমাকে বুঝতো,কিন্তু লাভ তাতে কিছু হতো না কারণ পরিবারে বিরুদ্ধে সে কত যাবে? আমার সময় কাটতে চাইতো না। আমার সন্তান আগেও এসেছিল, আমাকে না জানিয়ে ওষুধ খাইয়ে নষ্ট করে দেয়, ওর সন্দেহ ছিল বাচ্চাগুলো ওর ছিল না। আমি জেনে কতটা কষ্ট পেয়েছি, কত কেঁদেছি। মনে হয়েছে মরে যাই, কিন্তু সাহসে কুলায়নি। ওর সব কাণ্ডের কথা শ্বাশুড়িকে বলেও লাভ হয়নি। ওর এসব কাণ্ডজ্ঞানহীনতা দেখেও আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়িকে শাসন তো দূর সামান্য কিছু বলতে দেখিনি। সব জেনেও আত্মীয়দের সামনে আমাকে বাজা বলতে কিন্তু ছাড়েননি। আমি কেমন রোবটের মতো হয়ে গেলাম, খালি কাজ করে যাই। শ্বশুর চলে যাওয়ার পরে ও কেমন হয়ে গেল, শ্বশুর মরবার আগে খুব নাতি নাতনির মুখ দেখার জন্য ছটফট করত। কিন্তু ওর কাণ্ডের জন্য আগে থেকেই গর্ভ নিরোধক ওষুধ খেতে শুরু করি। একবার ও কেঁদে পড়ে যে ও বাবা হতে চায়, আমি রাজি হই। কারণ আমিও যে মা হতে চাই। আমি মা হই, আমার কোল জুড়ে আসে অভ্র আর শুভ্র। ওদের মধ্যে ডুবিয়ে দিই নিজেকে। কিন্তু বাড়ির বাইরে বের হতে পারি ছেলেদের জন্য। তবে আর ইচ্ছে করে না, মনে হয় দুটো চোখ আমাকে দেখছে। আর আমাকে যে follow করে আমি তা জানি। ছেলেদের সামনে দুই একবার এমন কথা বলেছে আমার মনে হয়েছে ধরিত্রী ফাঁকা হও, আমি তাতে সমাহিত হই।"

কিছুটা থেমে দম নিলো। কখন যে কথা বলতে বলতে উঠে বসেছে ও নিজেও লক্ষ্য করেনি।

পাশের বোতল থেকে জল গলায় ঢেলে আবারও বলতে শুরু করলো "আমাদের অর্থাভাব নেই, প্রতিবছর গহনা গড়িয়ে দেয়, আমার নামে নাকি জায়গা কিনে রেখেছে। কিন্তু কোথায় তা জানিনা। তবে জানিস আমি কোনো দিনও এমন করে দম নিই নি খোলা আকাশে , মন খুলে এমন করে হাসিনি। শান্তার সাথে যদি না আমার দেখা হতো, তবে আসাই হতোনা। আমি জানি আমার গম্ভীরতাকে তোরা ছোট থেকেই অহংকার ভাবতিস , কিন্তু আমার অহংকার নয়, ছিল ভীত হরিণী মতো অবস্থা, কিন্তু সেটাকে আমি গাম্ভীর্যের মোড়কে ডেকে রাখতাম। স্বামী বার দুই ঘুরতে নিয়ে গিয়েছে একবার দার্জিলিং আর একবার পুরী, তবুও ছেলেদের আবদারে। কিন্তু একটা জায়গায়ও কারো সাথে কথা বলতে দেয়নি৷ আমিও বলিনি, গাম্ভীর্যের মোড়কে ঢেকে রেখেছি, আমারও ইচ্ছে হয়েছে মন খুলে হাসতে কথা বলতে। আমার মনে হয় কি জানিস এর চেয়ে জেলের কয়েদিরা স্বাধীন। " স্বপ্না কথা শেষ করার পরে সবাই কেমন একটা মোহাচ্ছন্নর মতো বসে রইলো। সত্যি বুঝতে পারছেনা তাদের মধ্যে প্রকৃত সুখী কে বা কারা?

চলবে..


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Action