Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Inspirational

4  

Shyamasree (শ্যামশ্রী)

Inspirational

অনন্য ফুল

অনন্য ফুল

8 mins
443


" বাবু যাচ্ছিস কেনে? বলনা কত দিবি?"

" বললাম পাঁচশো দেবো, এর বেশি সম্ভব না।"

" দে না হাজার। "

" আমি বলছি তো হলে চল।"

চাঁপার একদম ইচ্ছে ছিল না ওই মানুষটার সাথে যায়। মোষের মতো শরীর, পিষে ফেলবে ওকে। কিন্তু হাতে একটা পয়সা নেই, কাল যে ওর কিছু টাকা চাই। 

কি রে যাবি তো চল। চাঁপা দোমনা করে রাজি হয়। সত্যি ঘন্টা দুয়েক ধরে লোকটা ওকে যেন পিষে ফেললো। তারপর হাসতে হাসতে বললো "তুই বেশ মাল রে, নে হাজার টাকাই দিলাম। আবার আসবো।"

চাঁপার শরীর ব্যথা হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু খদ্দের, সেসব তো বলা যায়না, তাই হেসেই বললো "তা বাবু আসিস আবার, সারারাত থাকিস।"

" তোর যা খাই, সারারাত কত নিস?"

" তিন হাজারের কম হবে না। বাকি খদ্দের যে নিতে পারি না।"

" আচ্ছা আসব তিনই দেবো।"

চাঁপা টাকাটা সরিয়ে রাখতে রাখতে দালাল এসে ঢুকে বলে "কি রে কত পেলি? দে আমার ভাগটা।"

" যা এখান থেকে, নিয়ে আয় একটা খদ্দের ঠিক ভাগ পাবি?"

 বল্টু চাঁপাকে দেওয়ালের সাথে ঠেসে ধরে বলে "বেশি উড়িস না, অনেক নতুন নতুন মাল এসেছে, তোর আগের মতো বয়স নেই।"

চাঁপা বল্টুকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বললো "মর হারামজাদা, ঘাটের মরা।"

পাশের ঘরের মেয়েরা আসতেই বল্টু ঘর ছেড়ে বেড়িয়ে যায়। চাঁপা তক্তপোশের একপাশে মুখে হাত ঢেকে কেঁদে ফেলে। 

চাঁপার বয়স এখন বছর ছত্রিশ, অবশ্য দেখে বেশি মনে হয় না।

চাঁপার কথা বলতে গেলে অতীত সামনে আসে। না, চাঁপাকে কেউ বিক্রি করে নি, সে নিজেই বেঁছেছিল, মানে বাধ্য হয়েছিল বাঁছতে এই জীবন। মা বাপের সংসারে অভাব ছিল, তবে পেটের ভাতের অভাব হয়নি কখনো। গ্রামের একটা ছেলে ফেরি করে বেড়াতো জামা কাপড়, গ্রাম দুই পরে বাড়ি। প্রেম করে পালিয়ে তাকে বিয়ে করে। এই বাড়ি এসে বুঝতে পারে অভাব আরও কতটা কঠিন হয়। বাড়িটাও ঠিক মতো নেই। মাটির বাড়ি একদিকে প্রায় ধ্বসে গিয়েছে। যেসব কাপড় বিক্রি করে সেসব থেকে মালিক খালি পার্সেন্টেজ দেয়। ওই নিয়ে নিজের পেট চলে না তো বৌয়ের পেট। বছর ঘুরতেই বাচ্চা পেটে চলে আসে। জীবন আরো দুঃসহ হয়ে ওঠে। পালিয়ে বিয়ে, বাপের বাড়ি ফেরার মুখ নেই। এদিকে স্বামী শামসুলের সেদিকে তাল নেই। কি করে সংসার চলে সে জানেনা। সকালে বেড়িয়ে সন্ধ্যার মুখে ফেরে। আয় সেই তিমিরেই। সবিনা, যা চাঁপার আসল নাম, বছর ঘুরতে না ঘুরতে আরেকটা বাচ্চা। স্বামী বললে শুনে না, ওপর আলার দান বলে, তিন বছরের সংসারে তিন বাচ্চার মা হয় সে। বাচ্চার কান্না সহ্য করতে পারে না, বাচ্চারা তো বাপের কাছে খাবার চায়না। মায়ের কাছে চায়।

হঠাৎ পাশের বাড়ির ভাবী কোথায় যেন চলে গেল। নেই নেই খোঁজ, একদিন একবেলার জন্য এলো। সবিনার সাথে ভালো সখ্যতা ছিল, ওর সাথে দেখা করতে এলো গোপনে। তখনই জানতে পারে সুলেখার স্বামী তাকে কাজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক টাকা নাকি, টাকা দিতে এসেছে , নিজের ছোট দুটো বাচ্চাকে দেখতে এসেছে, শ্বশুর বাড়ির লোকেরা ওকে বাড়িতে ঢুকতে দেবেনা দেখে অশান্তি করছিল। যাবার সময় সবিনাকে একটা ফোন নাম্বার দিয়ে গেল। আর বলেছিল দরকার হলেই যোগাযোগ করতে। তবুও দাঁত চেপে আরও পাঁচ বছর থেকেছে ও। আর কোনো পথ না পেয়ে সেই তেইশ বছর বয়সে এখানে এসেছে, আজ এক যুগের উপরে হয়ে গেল এখানে। প্রথম প্রথম ভালো আয় হতো বরের কাছে পাঠানোর সাথে সাথে বাপেরবড়িও পাঠিয়েছে ছোট দুই ভাইয়ের জন্য। তারা সবিনার সাথে সম্পর্ক রাখতে চায়নি কিন্তু ওর টাকা নিতে অস্বীকার করেনি। বছর তিন পরে কি মনে হতে গিয়েছিল বরের কাছে। গিয়ে শুনে বর একজনকে বিয়ে করেছে, ওই দেওয়া টাকায় বাজারে কাপড়ের দোকান খুলেছে। সবিনা বরের সামনে যাবে না যাবে না করে ভেবেও গিয়েছিল, আর বলে এসেছিল মেয়েটার পনেরো বছর বয়েস পর্যন্ত টাকা পাঠাবে। ছেলে দুটোর দায়িত্ব বাপের।।আর খোঁজ নেবে ঠিক মেয়ের যত্ন নেওয়া হচ্ছে কিনা। শেষ পর্যন্ত মেয়েকে হোস্টেলে পাঠিয়ে শান্তি পায় সবিতা। মেয়েটা পাশ করেছে, বছর তিনেক হলো বিয়ে দিয়েছে। সবিনা তখন থেকে আর টাকা পাঠায় না। তবুও তার অনেক টাকার দরকার। এদিকে আয় কমে এসেছে। 

" কি রে জুঁই বসে আছিস কেনে? এই লে নতুন মাল মনে হচ্ছে। দেখে নে। তবে আমার কথাটা ভুলিস না।" 

জুঁই চোখ মুছে দরজাটা বন্ধ করে পাশে বসে গায়ে হাত দিতে যেতেই চমকে পিছিয়ে যায়। যেন সে একটা বৈদ্যুতিক ঝটকা পেয়েছে। 

ছেলেটি জুঁইয়ের পায়ের হাত দিয়ে প্রণাম করে। 

জুঁই চমকে উঠে বলে "কি করছো ভাই?"

" কেউ চিনতে না পারলেও আপনি আমাকে চিনতে পেরেছেন দিদি আমি আপনার চোখ দেখে বুঝতে পেরেছি। দিদি আপনি না থাকলে আমি কোথায় ভেসে যেতাম কে জানে? এই নরকেই দালাল হয়ে জীবন কেটে যেতো। আজকে আমি আর্মিতে চাকরি পেয়েছি। আজ সকালেই Appointment letter পেলাম।ভগবানের মন্দিরে পুজো করার পরে ভাবলাম আমার দেবীকেও প্রণাম করে আসি।"

জুঁই অস্ফুটে বললো "দেবী!!!"

 "আপনি আমার লেখাপড়া থেকে চাকরির প্রস্তুতি, Form fill up এর টাকা সব দিয়েছেন। আপনি বলেছিলেন এখানে আমি যাতে কখনো পা না দিই, আপনার কথা ভেঙেছি তা কিন্তু নয়, আমি নিজেকে কথা দিয়েছিলাম চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত এখানে পা দেবো না। চাকরি পেয়ে আমি আসবো আমার দিদির কাছে দিদির আশীর্বাদ নিতে।"

" ভাই রে এভাবে এলে.." বলে অস্ফুটে কেঁদে উঠে। 

অনলের আপন দিদি এখানেই কাজ করতে এসেছিল মা-ভাইয়ের জন্য, অবশ্য এখানে আসবাব আগে জানতো না যে এই নরকে এনে ফেলছে পাড়াতুতো কাকা, সেও আদতে একজন দালাল। অনল যখন মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয় সেবার অনলের মা মারা যায়। অনল কোনো পথ না পেয়ে এই নরকে এসে দাঁড়ায় সেই মানুষের হাত ধরে, যার হাত ধরে ওর দিদি এই নরকে এসেছিল। ওই দিদি আসল নাম ছিল অনিতা। এখানে এসে নাম হয় মালতী। ওর মা কিছুটা আন্দাজ করলেও বছর আটের ছোট ভাইকে কোনো দিনও জানতে দেয়নি ও কি কাজ করে। যখন ওর ভাই এসে দাঁড়ায়, লজ্জায় গলায় দড়ি দেয় মালতী। দরজা ভেঙে যখন বের করা হয় তখন অল্প অল্প প্রাণ রয়েছে, প্রাণের সখী জুঁইয়ের হাতে ভাইয়ের হাত তুলে দিয়েই প্রাণ হারায় মালতী। সদ্য মাতৃহারা অনল দিদিকে হারিয়ে কেমন হয়ে যায়, নিজেকে দিদির হত্যাকারী মনে করতে থাকে আর ঘৃণা করতে শুধু করে প্রাণপ্রিয় দিদিটাকে। এখানকার কিছু দালাল ওকে নিজের দলভুক্ত করতে তালিম দিতে শুরু করে।।বাড়ির মালকিনের তাই ইচ্ছে, কারণ ওর দিদিকে টাকা দিয়ে কিনেছিল। সেটা অনলকে শোধ করতে হবে। জুঁই সবার চোখ এড়িয়ে যতটা পারে খেয়াল রাখে। একদিন সবার অলক্ষ্যে অনলকে কাছে ডেকে বোঝায় "অনল জানি তুমি আমাদের আর তোমার দিদিকে ঘৃণা করো। কিন্তু কেউ স্বেচ্ছায় এখানে আসেনা। সেসব না হয় ভিন্ন বিষয়, বড় হলে বুঝতে পারবে। তোমার দিদির তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তাই সে তোমাকে এই নরকে সইতে পারেনি। তুমি এখান থেকে চলে যাও। স্কুলে ভর্তি হও। চাকরির চেষ্টা করো।আমি আছি তোমার জন্য। যা খরচ আমি দেবো।"

" না আমি আপনার কাছে থেকে কিছু নেবো না।"

" ধার হিসেবে নাও। ফিরিয়ে দিয়ো পরে। আমাকে ঘৃণা করো অসুবিধা নেই। টাকাটায় দোষ নেই সেটা নিও।"

অনল গোঁজ হয়ে বসে থাকে। জুঁই অনলের গায়ে হাত দিতেই হাত সরিয়ে দেয়। 

" অনল আমাদের প্রতি এই ঘৃণা বজিয়ে রেখো, কোনো দিনও এই নরকে পা দিও না। তোমরা যদি পা না দাও এই নরক তৈরি হবে না। আমার জন্য না হলেও তোমার দিদির জন্য নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টা করো।"

সেদিন অনল কথা না বলে চলে যায়।

অনেকদিনের সাধ্য সাধনার পরে রাজি হয় অনল। জুঁই শুধুমাত্র কথা আদায় করে এখানে যাতে কোনো দিনও না আসে। অনল কথা রেখেছিল, একবারও আসেনি এখানে। তারপর থেকেই অবশ্য জুঁই ওর জন্য টাকা পাঠিয়েছে। পরশু ফোন করেছিল হাজার টাকা দরকার form fill এর জন্য। কালকেই শেষ দিন, তাই আজকে টাকাটার জন্য মরিয়া ছিল।

" দিদি আপনি আমাকে অনেক দিয়েছেন, তবুও আপনার কাছে থেকে আমি একটা জিনিস চাইবো?"

জুঁই অবাক গলায় বলে "আমার কি দেবার ক্ষমতা? "

" আপনার ক্ষমতা রয়েছে, কিন্তু.. "

" আচ্ছা বলো।"

কথাটা শুনেই অনলের মুখ উজ্জ্বল হয়ে যায়।

" দিদি আমি সাথে করে রাখি এনেছি। আজ রাখীপূর্ণিমা, আমাকে রাখী পড়াবেন? দিদি যতদিন বেঁচেছিল ভাইফোঁটা আর রাখীপূর্ণিমাতে ঠিক আমার কাছে যেতো। ও চলে যাবার পরে থেকে কেউ আমাকে রাখী পড়ায়নি ফোঁটা দেয়নি। আপনিও বারণ করেছিলেন। আজকের আজকে Appointment letter পেলাম আর রাখীপূর্ণিমাও। পারলাম না নিজেকে আঁটকে রাখতে। পড়াবেন আমায়?"

জুঁইয়ের চোখ জলে ভরে আসে। তারও দুই ভাই রয়েছে, তারা আয় করতে শেখার পরে চিঠি লিখে জানিয়ে দিয়েছিল যাতে আর সম্পর্ক না রাখে। তাতে নাকি ওদের মান যায়, আর স্বামী সন্তানদের কথা যত না বলা যায় ভালো। তবে ওর সবিনা সত্তা বাঁধা দিতে থাকে। ওদের ধর্মে এসব জায়েজ নয়।

অনল জুঁইকে চুপ থাকতে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে বলে "দিদি বুঝি বেশি চেয়ে ফেলেছি, আমাকে ক্ষমা করবেন।"

অনলকে চলে যেতে দেখে যেন সবিতা জুঁই সব পেরিয়ে দিদি সত্তা জেগে উঠে। বলে উঠে "ভাই যেও না। "

গলায় এমন আঁকুতি ছিল যে থমকে দাঁড়িয়ে যায় অনল। 

" ভাই আমি যে এসবের কিছু নিয়মই জানিনা। আমি যে মুসলমান। আমার হাতে রাখী পড়বে তুমি ভাই?"

" দিদি ভাইয়ের সম্পর্কে কখনো কি ধর্ম আসে? কোনো নিয়ম নেই। মন থেকে পড়াও।"

" না তা হয় নাকি? বসো আমি আসছি।"

বলে পাশের ঘরে যায়। দেখে বাইরে থেকে দোর বন্ধ। শেষের মাসির ঘরে গিয়ে প্রদীপ আর চন্দন চেয়ে আনে। মাসি অনেক কিছু জিজ্ঞেস করছিল, কিন্তু জুঁই না বলাতেও বেশি কিছু জানতে চায়নি। পুরনো মানুষ। একটা ছেলেকে পাঠিয়ে মিষ্টি আনায়। মিনিট পনেরো পরে ফিরে এসে দেখে অনল তেমনি করেই বসে রয়েছে। 

জুঁই এসে আসন পাতে। মিষ্টিগুলো পাত্রে সাজিয়ে দেয়। "এসো ভাই।"

তারপর কি ভেবে থমকে গিয়ে বলে। আর একটু অপেক্ষা করো। বলে একটা কাপড় নিয়ে বাইরে চলে যায়। আরও মিনিট পনেরো পরে সিক্ত চুলে পরিস্কার কাপড় পড়ে এসে যখন ঘরে আসে, তখন অনলের মনে হয় কোথায় পাপ? কোথায় অশুচি?

হেসে সামনে বসে বলে "অনেক দেরি করিয়ে ফেললাম না ভাই? কি করি বলো তো, পরিস্কার না হয়ে কি করে এই পুণ্য কাজে হাত দিই?"

বলে কপালে চন্দন পড়িয়ে হাতে রাখী পড়িয়ে দেয়। অনল আবার প্রণাম করতে যেতেই জুঁই কেমন আড়ষ্ট হয়ে গিয়ে বলে "আমাকে প্রণাম করো না।"

" আপনাকে ছাড়া কাকে প্রণাম করব? " একটু থেমে অনল উসখুস করে বলে "দিদি আমি.. " বলে চুপ করে যাওয়াতে জুঁই বলে "কিছু বলবে ভাই?"

" দিদি আপনি আমাকে তুই বলবেন? "

" আমি তুই বলব তোমাকে!! " 

" বলবেন না? দিদি বলত জানেন। খুব ইচ্ছে করে শুনতে।"

" হ্যাঁ ভাই কেন তুই বলব না? তবে আমাকে তুমি বলিস আপনি ছেড়ে। ভাই তুই আমাকে আজ যা সম্মান দিলি, তা..."

" না দিদি আমি কিছুই দিইনি নিয়ে গিয়েছি সব সময়। "

" আমরা যে নোংরা!! "

" আপনাদের নাম শুধু ফুল দিয়ে নয়, আপনারা হলেন অনন্য ফুল। যারা বাকি ফুলেদের অকালে ঝরা থেকে রক্ষা করেন। আপনারা অনন্য তা আপনারা জানেন না, আমরা জানি আপনারা এতোটাই অনন্য আপনাদের মাটি ব্যতীত দুর্গাপূজা হয়না। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ আর অনন্য ফুল আপনি। শেষ দিন পর্যন্ত আপনাকে মাথায় করে রাখবো। আর কিছুদিন সহ্য করেন, আপনার এই ভাই তার অনন্য ফুলকে মাথায় করে নিয়ে যাবে, তার ঈশ্বরের পায়ে সমর্পণ করতে। 

"ঠিকই বলছ ভাই এমন অনন্য একটা ফুল তোমার মতো দিদি হিসেবে যদি আমি পেতাম, তবে বুঝি আমিও এই নরক থেকে মুক্তি পেতাম।" এই কথা শুনে পেছনে তাকিয়ে দেখে বল্টু এসে দাঁড়িয়েছে। চোখে সেই উগ্রতার পরিবর্তে কেমন শান্ত রূপ। 

সবার অবাক চোখের দিকে তাকিয়ে বল্টু হেসে উত্তর দেয় " অবাক হয়ে গিয়েছ আমার কথা শুনে তাই না? আসলে অনন্য ফুলের স্পর্শে এই রূপ পেয়েছি। ভাই তুমি চাকরিতে যোগদান করে এসো, নিয়ে যেয়ো নিজের মুকুট করে তোমার দিদিকে, আমি সাহায্য করব কথা দিলাম।"


~সমাপ্ত ~


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational