তান্ত্রিকার কোপে
তান্ত্রিকার কোপে


মাঝদিয়ার কাছেই গোবিন্দপুর গ্রামের ছেলে সমিত। সবুজ শ্যামল এই গ্রামেই ছোটবেলা থেকে বড়ো হওয়া সমিতের। ছোটবেলা থেকেই তার দিকে নাকি তান্ত্রিকার নজর ছিল। সেজন্যই তার মা তাকে সবসময় আগলে রাখতেন,মাদুলি পরাতেন,পারতপক্ষে শনিবার ও মঙ্গলবারের বারবেলায় বেরোতে দিতেন না। তান্ত্রিকা বা ভৈরবী কি জিনিস,পারতপক্ষে সেই ছোটবেলায় বুঝত না সমিত। বড়ো হয়ে কোলকাতায় চাকরি করতে গেছে,তান্ত্রিকা বা ভৈরবী নিয়ে যতো পড়েছে,যতো জেনেছে ততো শিউরে উঠেছে। পিশাচসিদ্ধ ভৈরবীরা অভীষ্টসিদ্ধির জন্য পারেন না,এমন কোনো কাজ নেই। শহরে গিয়ে সমিতের জীবনে আগমন ঘটেছে সুন্দরী অর্চনার। উদ্ভিন্নযৌবনা অর্চনা প্রথম দর্শনেই মন কেড়ে নিয়েছে সমিতের। এরপরে দুজনায় আবদ্ধ হয়েছে প্রেমের বন্ধনে । অর্চনার মা বাবা কি করে,অর্চনা কোথায় থাকে কিছুই জানে না সমিত। সমিত শুধু জানে অর্চনার রূপে সে পাগল। অর্চনাকে নিয়ে নিজের গ্রামের বাড়িতে এসেছে সমিত। এখানে সে অর্চনার পরিচয় দেবে নিজের সদ্যবিবাহিতা স্ত্রী রূপে। শনিবার রাতে চাঁদের আলোয় অর্চনার রূপের পরিবর্তন লক্ষ্য করছিল সমিত। কিভাবে সুন্দরী রূপসী পরিণত হল শতবর্ষিণী ভৈরবীতে। সমিতের গলায় চেপে বসেছে সেই তান্ত্রিকার নখরযুক্ত দুহাত সাঁড়াশির ন্যায়। যে গভীর কালো দুচোখ দেখে প্রেমে পড়েছিল সমিত,সেই হলদেটে দুচোখে এখন নারকীয় বিভীষিকা। আজ সমিতের আয়ু কেড়েই নিজের যৌবনকে অক্ষুণ্ণ রাখতে চায় তান্ত্রিকা। দুচোখে অন্ধকার নেমে আসার সময় সমিত বুঝতে পারল যে তান্ত্রিকার কোপে পড়লে আর নিস্তার নেই।