5ই এপ্রিল-করোনা না আর্থ আওয়ার
5ই এপ্রিল-করোনা না আর্থ আওয়ার
গতকাল ছিল 5ই এপ্রিল। এমনিই করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকেই আতঙ্ক,তাও লড়ছে দেশ,লড়ছে মানবসভ্যতা। আগেও মানবসভ্যতা বহু মহামারীকে পর্যুদস্ত করেছে আর নিকট ভবিষ্যতে এই রোগকেও পর্যুদস্ত করবে।
চিকিৎসকেরা যথাসাধ্য প্রয়াস করে যাচ্ছেন,কিন্তু সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এখন আশাব্যঞ্জক ব্যাপারটা হল আরোগ্যের হারও বাড়ছে। কিন্তু COVID 19 ভাইরাস জনিত রোগ বিস্তার লাভ করছে মানুষের জনসচেনতার অভাবে। সকালে টিভি খুললাম,তো নিজামুদ্দিন দরগার তবলিগি জমায়েত,বাজারে জমায়েত, খাবার বিতরণ হচ্ছে সেখানে তো অসংখ্য লোকের জমায়েত তো আছেই,যতো সরকার থেকে বলা হচ্ছে জনসমাগমের ফলে এই রোগ ছড়াতে পারে,ততো যেন বেশি করে জমায়েত হচ্ছে।
যাই হোক,গতকাল 5ই এপ্রিল গোটা দেশ রাত 9টা থেকে 9 মিনিটের জন্য এক অপূর্ব দৃশ্য দেখল। আগে থেকেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে রেখেছিলেন। 9 টা বাজতেই নিভে গেল বাড়ির বৈদ্যুতিন আলো আর জ্বলে উঠল প্রদীপ আর মোমবাতি। আকাশে উড়ল ফানুস। লক ডাউনে যারা হাঁসফাঁস বোধ করছিলেন,তারাও জীবনে অভিনবত্বের স্বাদ পেলেন। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনেকে পেলেন মনোবল। ফাটল চকোলেট বোম,উড়ল বাজি। সারা দেশে এ যেন অকাল দীপাবলি।
কিছু মানুষ বলছেন মূর্খতা। আবার কিছু মানুষ জয়গানও করেছেন। দীপাবলি উৎসব চালু হয়েছিল পুরুষোত্তম রামচন্দ্রের লঙ্কাবিজয়ের পর অযোধ্যা ফেরার সময়,আর অকাল দীপাবলি হল মোদিজির কথাতে। অনেকে বলছিলেন,করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সেলিব্রেশন। আমার মনে হল,আর্থ আওয়ার উদযাপন। যেমনটা হয়েছে গতকাল সারা পৃথিবী জুড়ে। সভ্যতা আবার জিতবে,পৃথিবী আবার রোগমুক্ত হবে। 'সত্যম শিবম সুন্দরম'। তবে জনসমায়েত কিছু কিছু জায়গায় যা হল( আমি নিজেই প্রত্যক্ষদর্শী) তাতে প্রধানমন্ত্রীর এ সদিচ্ছার সুফল মিলবে না কুফল ,উত্তর সময়ই দেবে। জনসাধারণের মূর্খতা সারা দেশের জন্য অভিশাপ। যাই হোক,আশা করি সচেতনতার জন্ম হবে। "ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন লবে।"