লেডিজ কামরা
লেডিজ কামরা
বহুদিন আগে খবরের কাগজে পড়েছিলাম লেডিজ কামরা থেকে একজন ভদ্রলোককে ধাক্কা মেরে ফেলে দেবার ঘটনা।
বিশ্বাস করাটা ছিল আমার পক্ষে একটু কঠিন। নারী, পুরুষ যেই হোকনা কেন একটা মানুষকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়া!
নিয়ম তো বানানো হয়েছে মেয়েদের সুরক্ষার কথা ভেবে। কোনও মানুষ যদি কখনো বিপদে পড়ে বা ভুল করে শেষ মুহুর্তে লেডিজ কামরায় উঠেই পড়েন
তাহলে তাঁর অবস্থা এতটাই মর্মান্তিক হতে পারে ?
তো, সেই থেকেই একটা কৌতুহল ছিল লেডিজ কামরার ব্যাপারে।
একবার এক মহিলা সঙ্গীর সাথে সুযোগ এলো লেডিজ কামরায় ভ্রমণের। প্রথমে তো খুব ভালো লাগছিলো এই ভেবে যে নিশ্চিন্তে যাওয়া যাবে সারাটা রাস্তা। দুজনেই জানালার ধারের সিট পেয়েছি মুখোমুখি। ট্রেনে কোথাও যাবার সময় এমনিতেই আমার ঘুমোতে ইচ্ছে করেনা। ভাবলাম জানালা দিয়ে বেশ বাইরেটা দেখতে দেখতে যাওয়া যাবে।
খুব বেশি ভীর সত্যিই ছিলনা। তবে রাস্তার মাঝখানে
দরজা খুলিয়ে কেউ কেউ তাঁদের পরিবারের মহিলাদের দিয়ে যাচ্ছিলেন। এভাবেই একটু ভীর হলো। কিন্তু কোনো পুরুষ উঠতে চাইলে তাকে অনুমতি কিছুতেই দেওয়া হয়নি।
গন্ডগোল শুরু হলো কেউ কেউ শোবার চিন্তা করাতে। কেউ কারও জায়গা ছাড়তে রাজি নয়।
এ নিয়ে প্রচুর ঝগড়া, একই বার্থে বিপরীতমুখী হয়ে একদম অচেনা মহিলার পাশে জবরদস্তি শোয়া। শুধু হাতাহাতি টুকুই বাকি ছিল ওদের। ভগবানের নাম নেওয়ার পাশাপাশি আমি তো ওদের একজনকে ইশারাতে হাতজোড় করে থামতে অনুরোধও করছিলাম, বেশ মনে আছে।
শেষে একটা কথা বলে শেষ করবো লেখাটা। আমাদের এখানে লোকাল ট্রেন কেন এতো কম বুঝিনা। যদি থাকেও তা বিহারের কাটিহার এর সাথে সংযুক্ত। আমাদের সবচেয়ে কাছের শহর মালদা। ট্রেন লাইন থাকলেও লোকাল ট্রেন চলেনা এই লাইনে।