Kumar Archita

Abstract Drama Others

1.5  

Kumar Archita

Abstract Drama Others

দ্য লাস্ট মেরিগোল্ড

দ্য লাস্ট মেরিগোল্ড

8 mins
84


বলো দুগ্গা মাইকি জয় বলো দুগ্গা মাইকি জয়....


 তখন চারিদিকে এই জয়ধ্বনিতে পুরো সাহাপুর পাড়া মেতে উঠেছিল ।ছোট-বড় অলিগলিতে বাড়ির বারান্দায় শঙ্খ বাজছে আর বাড়ির ছেলেমেয়েরা নতুন জামা কাপড়ে সেজেছে । আর পাড়ার কাকু কাকিমা বয়স জ্যেষ্ঠরা প্যান্ডেলের দিকে রওনা দিল ।


 উমা তখন কলেজ থেকে সবে ফিরছে ,

এমন সময় পিছন থেকে ডাক এল ! এই যে মেয়ে শোনো তুমি কি এই ঠিকানাটি কি চেনো ?

 

উমা খুব শান্ত এবং মিষ্টি স্বভাবের মেয়ে যেমন জ্ঞানী তেমন সাহসীও তার সাহসিকতার পরিচয় গল্পে একটু পরেই পেয়ে যাবেন আপনারা ।


উমা বলল হ্যাঁ বলুন ,উমার গলার মিষ্টতা লোকটিকে যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে তুলল সে যেন কোন এক আবেগের বশে তার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে থেকে গেল ।


 উমার চোখ দুটো যেন রাতে চন্দ্রিমার মত উজ্জল আর সমুদ্রের মতো গভীর তার দিকে তাকালে সব ক্লান্তি ঘ্রাণ মুছে যায় অন্যরকম শান্তির অনুভূতি হয় ।সে যাক গে উমার কথা বলতে গেলে আর যেন ফুরায়না আমি গল্পটি কে আগে বাড়ালাম ।


উমা বাড় তিনেক লোকটিকে ডাকলো কিন্তু একটি রিকশার আগমনে তার চমক ভাঙলো । রিকশাটি প্রায় অনেক দূর থেকেই হর্ন বাজাতে বাজাতে আসছিল তাই তখন শুনতে পায়নি কিন্তু কাছাকাছি আশাতে লোকটি নিজের মধ্যে ফিরল ।তাড়াহুড়ো করে চিঠিতে দিয়ে রাস্তার মধ্যিখান থেকে একটু সরে দাঁড়ালেন । উমা একবার চোখ বোলাতেই বুঝতে পারল উনি কোন বাড়ির কথা বলছেন !উমা সেই লোকটির দিকে এগিয়ে গিয়ে আঙুল তুলে বাড়িটা দেখিয়ে দিয়ে বলল ,"আপনি ঠিক সোজা গিয়ে বাঁ দিকে চলে যান বাঁদিকে যে বড় লাল বাড়িতে সেটি হল মুখার্জিদের বাড়ি । লোকটি ধন্যবাদ বলে চলে গেল ।


 উমার বাড়ির ভেতরে ঢুকতে গিয়ে দেখতে পেল তার বাড়িটা বেশ ভালো করে বিভিন্ন রকমের আলো আর কমলা হলুদ গাঁদা ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে । সে হন্তদন্ত হয়ে বাড়ির ভেতর ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে উঠতে উঠতে জিজ্ঞেস করতে লাগলো যার সঙ্গে তার দেখা হচ্ছিল ।

 উমার কাকিমার সঙ্গে দেখা হতেই সে তাকে জাপ্তে জরিয়ে ধরে জিজ্ঞেস করল ,


ও কাকিমার বাড়িতে এত আলোকসজ্জার আরম্ভর এর কারণটা কি ?

কাকিমা একটা মুচকি হেসে বলে উঠলো ,


 ওরে আমাদের বাড়িতে দুর্গাপূজা হচ্ছে রে ! দুর্গাপুজো.....  দুগ্গা মা আসবে বলে তাই এত আরম্ভর ।


উমা হতবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল দুর্গাপুজো কিন্তু দুর্গাপূজা তো কোনদিনও হয় নাই বাড়িতে আমি ছোট থেকে পাড়ার প্যান্ডেল এ গিয়ে পুষ্পাঞ্জলী দিয়ে এসেছি । তাই হঠাৎ করে আয়োজন এর কারন কি তুমি কিছু জানো ? 


 উমার কাকিমা বোলে উঠল ,

না রে বাপু ! আমি জানি না তুই তোর মাকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর গে ! তোর মা বরণ ভালো করে বলতে পারবে ,আমি চললুম আমার অনেক হাতে কাজ আছে ।  


এই বলে উমার কাকিমা গরগর করে সিঁড়ি দিয়ে নেমে ওপাশে চলে গেল, মানে যেইদিকে প্যান্ডেল টি তৈরি হচ্ছে ,যেখানে দুর্গামূর্তি স্থাপন করা হয়েছে ।


 উমা সিঁড়ি দিয়ে উঠে ডান দিকের ঘর দিয়ে সোজা রান্না ঘরের দিকে চলে গেল কারণ সে জানে তার মা রান্নাঘরে পুজোর জন্য কিছু না কিছু বানিয়ে থাকে ।


 হঠাৎ এক আচমকায় উমার মায়ের হাত থেকে থালাটি পড়ে যায় ।সে ঘুরেই দেখতে উমা দাঁড়িয়ে রয়েছে ....।


উমার মা শিঞ্জিনী দেবী বলে উঠল, ওমা তুই কখন এলি ? কিছু জানতে পারলাম না তো ! উমা বলল... 

 হ্যাঁ! একটু আগেই এসেছি ...

এসব কথা ছাড়ো ,বাড়িতে দুর্গাপূজা হচ্ছে এই কথাটা কি সত্যি ?

উমার মা শিঞ্জিনী দেবী বলল ,হ্যাঁ ! এটা সত্যি তোর বাবা কাল রাত্তিরে এক স্বপ্ন দেখেছেন, যে মা দুর্গা এই বাড়িতে পূজিত হতে চান।  


তোর বাবার স্বপ্নাদেশ পেয়েছেন বলেই তার মান্য তাই তিনি এইবারে দূর্গা পূজার আয়োজন করেছে ।


 উমা বলল সে না হয় ঠিক আছে ,কিন্তু এত কম সময়ে দুর্গাপুজোর এত বড় আয়োজন কি করে সম্ভব হবে ।

 এইসব কথা শুনে শিঞ্জিনী দেবী বলে উঠলেন, শুরু হয়ে গেছে বাকিটা আমরা সবাই মিলে সামলে নেব আর তুই তো আছিস ...! তুই কাজ সামলালে আমাদের আর চিন্তা কি। উমা বলল বাহ! বেশ ভালো তো, তোমরা আমার কাধেঁর উপর সব দায়িত্ব দিয়ে তোমরা নিশ্চিন্ত হয়ে যাবে।


 এটা কিন্তু একদম ঠিক কথা নয় ।


 উমার মা হাসতে হাসতে বলল , পারবি পারবি তুই সব পারবি ....! 


উমা বলে উঠলো ,আমার কি মা দুর্গার মত দশটা হাত আছে নাকি যে একেবারে দশটা হাত দিয়ে সব কাজ সামলিয়ে নেব । 

উমার মা বলল তাহলে বলছিস তুই পারবি না ? তাহলে গতবারের কালীপুজোয় যখন আমাদের  পের্তৃক ঠাকুরের সোনার ঘটটা খুঁজে পাচ্ছিলাম না তখন তুই বুদ্ধি করে ঘটটা খুঁজে বার করলি ...! এবারের সরস্বতী পূজোয় কাশি থেকে মহারাজ আদিনাথ শাস্ত্রী কে আনা হয়েছিল তখন আমাদেরকে উনি তিনটে প্রশ্ন করেছিলেন যে প্রশ্নের উত্তর আমারা কেউ দিতে পারিনি কিন্তু তুই নিজের জ্ঞান দিয়ে সেই সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছিলিস ।


আর তুই কিনা বলছিস তুই পারবি না ....? 


উফ্ মা আবার সেই কথাগুলো কেন তুলে ধরছো ...! এই দুর্গাপুজোর সঙ্গে ওই কথাগুলো কোথায় মিল আছে আমাকে একটু বলবে কি প্লিজ.... ।


 ও আচ্ছা ! আমি বুঝলুম ,তুমি এসব কথা বলে বলতে চাইছো যে আমিই সব পারবো ।


ঠিক আছে.. ঠিক আছে ...আমাকে বোঝাতে হবেনা আমি চললাম...। আমি গিয়ে দেখি কোন কোন কাজটা এখনও বাকি রয়েছে ... !


আরে আরে...!! আমি এক্ষুনি যেতে বলিনি বাড়িতে সবে এসেছিস একটু হাত পা মুখ ধুয়ে নিয়ে কিছু খেয়ে নিয়ে তারপরে বিশ্রাম করে করে তারপরে যা । তোর বাবা কাকা সবাই আছে তো ওখানে ওরা সব ঠিক দেখে নেবে । উমার মায়ের কথা শেষ হতে না হতেই তার আগেই সে নিচে চলে গিয়েছে।


 দেখতে দেখতে কদিন পরেই মহালয়া চলে এলো। উমা সহিত পুরো চ্যাটার্জী পরিবার সাক্ষী রইল মায়ের চক্ষুদান পর্বের ...।


তারপর ভোরবেলা সকলের সঙ্গে বীরেন্দ্র কৃষ্ণ ভদ্রের মহালয়া শুনে গঙ্গা দিকে পাড়ি দিল চ্যাটার্জী পরিবার ।


 তর্পণ হল কলাবউ স্নান করানো হলো তারপরে বাড়িতে ফিরে বাড়ির মেয়েরা রান্নাঘরে ব্যাস্ত হয়ে পড়লো কারণ আজ মহালয়া তাই বাড়ির কর্তাদের হুকুম লুচি আর কড়াইশুঁটি দিয়ে আলুর দম । 


যেমন কথা তেমন কাজ ...


 লুচি আলুর দম তার সঙ্গে মিষ্টি সবাইকে পরিবেশন করলো উমা নিজে ।


আর ক'টা দিন পরেই সপ্তমী ...


তাই উমা ঠিক করল, মহালয়ার বিকেলে বেরিয়ে যা কেনাকাটা বাকি আছে সব সেরে নেবে ।


পুজো শুরুর মুখে তাই উমা একটা তাঁতের শাড়ি পড়ে সেজেগুজে নিল তার মা ও একটু সেজেগুজেই বিকেলের দিকে বেরিয়ে পড়ল ।


 গড়িয়াহাট পৌঁছে তাদের একটা সমস্যার মধ্যে পড়তে হল।


 মহালয়ার দিনটা আমরা মানে সব বাঙালিরা ছুটির দিন বলেই মনে করি তাই সব বাঙালিরাই সেদিন বেরিয়ে যা টুকটাক কেনাকাটা বাকি থাকে এসব সেরে নেয় ।


মোটামুটি বেশ ভালোই ভিড় হয়েছে গড়িয়া হাটের রাস্তায় আর ছোটখাটো দোকানগুলিতে ।

 খুব ধাক্কাধাক্কিতে উমার মা অন্যদিকে উমাকে খুঁজতে চলে যায় আর উমা নিজের মাকে অন্যদিকে খুঁজতে চলে যায় ।কেউ কাউকে দেখতে না পেয়ে একে অপরকে ফোন করতে থাকে ।

কেউ কাউকে ফোনে পায় না খালি ,

ওপাশ থেকে এক ভারী কন্ঠস্বর কেবল বলতে থাকে যাকে আপনি ফোন করছেন সে এখন ব্যাস্ত আছে ....।  


উমার খুব টেনসনে পড়ে হাতে থাকে সে বাবাকে ফোন করবে, কিন্তু সে সিদ্ধান্ত নেয় সে নিজেই একা নিজের মাকে খুঁজে বের করবে ।সে হাঁটতে থাকে ।


অনেকদূর হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে দেখতে পায় একটা বড় মন্দির সে দৌড়ে ওই মন্দিরের সামনে পৌঁছায় ...।


  মন্দিরের সামনে গিয়ে দেখতে পায় তার মা বসে আছে । উমার যেন ধরে প্রান ফিরল সে দৌড়ে গিয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে থাকে উমার মায়ের চোখের কোনা দিয়ে অশ্রুবারি ঝিলিক দেয় ।


 উমার মা বলে উঠলো ...ওরে পাগল মেয়ে আমি ঠিক আছি আমি তোকে খুঁজে না পেয়ে আমি এই মন্দিরে এসে বসেছিলাম .... আর জানিস একটা ভারী আশ্চর্য জিনিস ঘটল কিছুক্ষণ আগে ।


 উমা চোখ মুখ মুছে বলে কি জিনিস ঘটেছে আমায় বল ...? 


আর বলিস না আমি তো তোকে খুঁজে না পেয়ে এদিক ওদিক হাঁটছিলাম ...তখন হঠাৎ করে একটা বৃদ্ধলোক আমার কাছে এসে জিজ্ঞেস করল...? মা ! তুমি কি কাউকে খুঁজছো ? আমি বললাম হ্যাঁ বাবা আমি আমার মেয়েকে খুঁজছি ।  


সেই বৃদ্ধ লোকটি অদ্ভুত ভাবে হেসে আমায় বললো ,মা! তুমি সোজা গিয়ে একটা মন্দির আছে সেই মন্দিরটার  সামনে গিয়ে বস তুমি তোমার মেয়েকে ঠিক খুঁজে পাবে ।


 আর আমি যে শুভক্ষণে এসে পৌঁছেছিলাম তখন মা দুর্গার বোধন হচ্ছিল তাই মন্দিরের পুরোহিত আমাকে একটা গাঁদা ফুল দিয়ে বলে মা তুমি মনষ্কামনা জানিয়ে মায়ের ফুলটা বাঁ হাতের মধ্যে রেখে দিও ।


আর তার ঠিক পরক্ষণেই তুই আমাকে খুঁজে পেলি ।

 মা সত্যি তুমি পারো কিছু..! কি বলছো ..! এসব আজগুবি কথা ! তোমার কি মনে হয় এই ফুলের জন্য আমি তোমায় খুজে পেয়েছি।  


উমার মা বলল ,হতেও তো পারে তাই হয়েছে ।


দুনিয়ায় এমন কত কিছুই না অসম্ভব সম্ভব হয় । 


ঠিক আছে ঠিক আছে অনেক হয়েছে এবার এখান থেকেও উঠে পড়ো বিকেল হতে চলে বাড়ি ফিরতে হবে তো ...।


 কিছু পা হাঁটতেই একটা ট্যাক্সি দেখতে পেয়ে উমা ডেকে নিয়ে ট্যাক্সিতে উঠে পরল ।


 ভালোভাবে বাড়ি পৌঁছে সব বলল উমার মা দ্বিজেন্দ্রলাল চ্যাটার্জীকে মানে উমার বাবাকে । রীতিমতো উমার বাবা হাসতে থাকেন এসব আজগুবি কথা শুনে দ্বিজেন্দ্রলাল চাটার্জী । তিনি এমন এক ব্যক্তি যে যতক্ষণ না নিজের চোখে জিনিসটা দেখেন বা উপলব্ধি করেন  তিনি ততক্ষণ বিশ্বাস করেন না । 

তিনি নিজে স্বপ্নে দেখেছেন তাই এ বাড়িতে পূজা হচ্ছে যদি এটা অন্য কেউ বলতো তাহলে কিন্তু এই পুজোটা এই কথাটার মতো হাসিটেই উড়ে যেত ।


 যাই হোক এসব কথাবার্তা মধ্যে দিয়ে আরও কয়েক দিন চলে গেল এসে পড়লে অষ্টমীর সকাল ।


সাত সকালবেলা উঠে স্নান সেরে উমা লালেতে হলুদতে একটা শাড়ি পড়ে মাথায় জুয়ের মালা দিয়ে বেরিয়ে পড়ল বাড়ির পূজা মণ্ডপে অষ্টমীর পুষ্পাঞ্জলি দেবে বলে সিঁড়ি থেকে নেমে ঘুরতেই দেখতে পেল একটা ছোট্ট বাচ্চা মেয়েকে কয়েকটা গুন্ডা কোলে তুলে কি যেন একটা বলছে ...!সোজা গিয়ে গুন্ডাদের সামনে দাঁড়িয়ে বললো এখানে কি হচ্ছে এটা আর আপনারা বাড়িতে ঢুকলেন বা কি করে ....?  তখন ওপাশ থেকে একজন বলল যে বাড়ির দরজা তো খোলাই ছিল আজকে অষ্টমী তাইতো পুষ্পাঞ্জলি দিতে এসেছিলাম ...! এখন নিশ্চয়ই পুষ্পাঞ্জলী দেয়া হয়ে গেছে তাহলে আপনারা এখন যান আর এই বাচ্চাটিকে আমার হাতে দিয়ে যান এসব কথাবার্তা হতে হতেই কথা কাটাকাটি তে পরিণত হল কিন্তু ঢাকের তীব্র আওয়াজে পূজামণ্ডপে কেউ শুনতে পেল না । কথা-কাটাকাটির মধ্যে উমা বলে উঠলো বাচ্চাটাকে নামিয়ে রাখুন আমি বলছি বাচ্চাটাকে নামিয়ে রাখুন । ওই চারটে গুন্ডার মধ্যে একজন রেগে গিয়ে বলল তুই কেরে এখান থেকে যা না হলে তোর কপালে দুঃখ আছে । আমি বাচ্চাটাকে না নিয়ে যাব না রেগে গিয়ে বলল উমা । ঔই গুন্ডাটা আরো একটু গলায় জোর দিয়ে বলল তুই এখান থেকে যা না হলে কিন্তু তোর খুব খারাপ হবে । উমা এবারে ধীর স্থির থাকতে না পেরে বাচ্চাটাকে হাত থেকে কেড়ে নিয়ে নেয়  বাচ্চাটিকে  কেড়েনিতেই গুন্ডা গুলোর উমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে ।


 উমা তার আগেই বাচ্চাটাকে এক কোনায় রেখে এসে ছিল। উমা যদিও ক্যারাটে জানতো না কিন্তু ওর সাহস আর বুদ্ধিতে ও গুন্ডাদের কে পরাস্ত করতে সফল হয় । শেষমেষে গুন্ডারা হাতজোড় করে উমা আর বাচ্চাটার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে পালিয়ে যায় । 

কিন্তু এই সব শেষ হতে হতে অনেক বেলা হয়ে যায় । বাচ্চাটিকে  কোলে নিয়ে ওমা প্যান্ডেলের দিকে রওনা হয়। 


কিন্তু যখন প্যান্ডেলে গিয়ে পৌঁছায় তখন দেখে বাচ্চাটার মা ঘেমে নেয়ে চারিদিকে বাচ্চাটাকে খুঁজছিল । বাচ্চাটিকে উমার হাতের দেখতে পেয়ে খুশি উমাকে জড়িয়ে ধরে বললো ,থ্যাঙ্ক ইউ ....


সে বাচ্চাটির মা আরও বলল.. আপনাকে যে কী বলে ধন্যবাদ দেবো আমার কাছে ভাষা নেই।


 উমা বলল.. এমা ! না না তার কোন দরকার নেই ...।আমি খুব খুশি যে আমি আপনার বাচ্চাটা কে একদম নিরাপদে আপনার হাতে তুলে দিতে পেরেছি ।


 কিন্তু পুষ্পাঞ্জলী কি শেষ হয়ে যাচ্ছে ....?বাচ্চাটির মা বলল ,হ্যাঁ! শেষ হয়ে গেছে ..। 

কিন্তু এখনো পুরোহিত মসাই আছে উমা বাচ্চাটাকে একটা চুমু খেয়ে চলে গেল পুরোহিত মশাইয়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলী দিতে।


 কিন্তু পুষ্পাঞ্জলী দিতে গিয়ে জানতে পারল যে পুজোর থালা একটাও ফুল অবশিষ্ট নেই ।


 উমা খুবই ভারাক্রান্ত মনে পুজো মণ্ডপ থেকে বেরোচ্ছিল ঠিক তখনই দেখতে পেল উমার সেই মন্দিরে পাওয়া গাঁদা ফুলটা হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওর জন্য । 


উমা কাছে যেতেই ওর মা বলল ...এই ফুলটা নে আর যা গিয়ে পুষ্পাঞ্জলী টা দিয়ে আয় ..।


 উমা অবাক ভাবেই কিছু না বলেই ফুলটা নিয়ে সোজা গিয়ে পুরোহিত মশাই কে বলে সে পুষ্পাঞ্জলি দেবে ।


 খুব ভালো ভাবেই উমার পুষ্পাঞ্জলী সম্পন্ন হয়। কিন্তু বেরোবার সময় হঠাৎ উমার দৃষ্টিতে গিয়ে পড়লো ওই বিশাল আকার সুসজ্জিত মূর্তি তার উপর ।


এক চিলতে হাসি উমার ঠোঁটে ঢেউ খেলালো উমার মনের মধ্যে বলে উঠল ... আজও এরকম আধ্যাত্বিক ঘটনা ঘটে ।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Abstract