হানিমুন
হানিমুন
নব বিবাহিত দম্পতি অনিমেষ আর রিয়া তাদের হানিমুনের জন্য চেরাপুঞ্জি যাচ্ছে। সদ্য বিবাহিত রিয়া আর অনিমেষর প্রথম প্রেমে পড়ার পর তাদের বিয়ে তারা তাদের হানিমুন নিয়ে খুবই উৎসুক।ঘোরার জায়গা নিয়ে রিয়ার মনে বাঁধছে নানান জল্পনা কল্পনা।তারা হানিমুনে গিয়ে কিভাবে প্রেম করবে পরস্পরের হাত ধরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের কাঁধে মাথা রেখে সারা দিন কাটাবে।এইসবে ভাবনায় ভাবিয়ে তুলছে বারংবার অতঃপর পরে তারা ঠিক করলো যে তারা তাদের মনে সব গোপন ইচ্ছা গুলোকে প্রেমের রসে ডুবিয়ে তাদের হানিমুনটা জমিয়ে ফেলবে তারা দুজনে ভেবেছে রিয়া....।
রিয়া আর অনিমেষ বিয়ের আগেই ঠিক করে ফেলে বিয়ের পরের দিনই তার হানিমুনের জন্য বেরিয়ে যাবে।তাড়াহুড়ায় করে তারা রওনা দেয় চেরাপুঞ্জির জন্য।চেরাপুঞ্জি পৌঁছতে পৌঁছতে তাদের দুপুর হয়ে গেল তারা তাদের ঠিক করা স্থানে গিয়ে উঠল। তাই তারা ব্রেকফাস্ট না করে গরম জলে
স্নান সেরে গরম ভাত ধোকার ডালনা, ছোলার ডাল, আর মাংসের ঝোল দিয়ে দুপুরের খাবারটা সেরে ফেলল। টানা চার-পাঁচ ঘণ্টা জার্নি করে রিয়া বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছে তাই তারা আর সেদিনকে কোন জায়গায় না বেরিয়ে হোটেলের রেস্ট করতে লাগলো।পরের দিন খুব ভোর বেলায় তারা দিয়ে পরে সাইট সিং এর জন্য....।এমনভাবেই তিন-চার দিন কেটে গেল রিয়া আর অনিমেষের হানিমুনের চতুর্থ দিন তারা অনেক ভেতরে যাওয়ায় খুব বৃষ্টিতে আটকে গেল। তারা একটা ছোট্ট বাড়ি তলায় গিয়ে আশ্রয় নিল। ছোট্ট বাড়ির ভেতরে থাকা লোকগুলো এসে বলল....
মা তোমরা মনে হচ্ছে খুব ভিজে গেছ ভেতরে আসো তোমাদের আমি গামছা দিচ্ছি তোমরা মাথাটা টা মুছে একটু চা বিস্কুট খাও....। তো ওরা ভেতরে এসে বসল তারপরে হাত-পা-মাথা গামছা দিয়ে মুছে গরম গরম চা, বিস্কুট, মুড়ি আর তেলেভাজা খেয়ে তাদের সঙ্গে গল্প করতে লাগলো। বাড়িতে লোকজন বলত কেবলমাত্র দু'জন লোক।