ধর্ষিতা নারী
ধর্ষিতা নারী
অনেক রাত,
একা রাস্তায় হেঁটে হেঁটে বাড়ি ফিরতে হত। বাবার অসুখ মার বয়স তা প্রায় 55 ছুঁয়েছে।
একা ভর্সা আমি সংসারটা যে আমাকে টানতে হয়। শখ-আহ্লাদ সেসব কবে গিয়েছিলে ভুলে, সংগ্রাম করতে হয়েছে জীবনটা কে ঘিরে। মিতুন বতুন এরা ছিল আমার বন্ধু,তারা এখন কলেজে পড়ে শুনেছি সেখানে বড়লোকদের ছেলেমেয়েরাই যায় ফস্টি-নস্টি করতে, আমার মা আমাকে তাই বোঝাতেন হয়তো সত্য গোপন করতেন।
বড় যন্ত্রণা এ বুকে কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকতে হত। ভাবতাম কি লাভ ?? কী এসে যাবে মরে যেতে ইচ্ছে করতো।কিন্তু বুড়ো বাবা মাকে রেখে যাব কোথায়??নিজেকে আটকাতাম।নিজেকে মনে হতো বড়ই স্বার্থপর।
তাই কাজ শেষ করে একা বাড়ি ফিরে আসা। সেদিন রাস্তায় আলো ছিল না অনেকটা পথ ঋনা দির বাড়ি থেকে হঠাৎ কালভার্ট টা পেরিয়ে দেখি কতগুলো চেনা অচেনা মুখ অন্ধকার ফুঁড়ে বেরিয়ে এলো বুকে হাত রেখে কারা যেন তুলে নিল আমাকে।হাত-পা ছোড়ার বৃথা চেষ্টা যন্ত্রণায় কাতর আমি,চোখ ফুঁড়ে কান্না বেরিয়ে এলো আমার।এলোমেলো আমি তখন ছিন্নভিন্ন। চোখের সামনে আধার সবকিছুই।আমার শরীর আমাকে ত্যাগ করেছে, আমার আত্মা আমার শরীর কে ত্যাগ করেছে।কতগুলো নরপিশাচ আমাকে তাদের যোঞ্জাহতির জন্য প্রস্তুত করছে। আমার বস্ত্র তাড়া করে দিচ্ছে ছিন্নভিন্ন।আমার মন কুঁকড়ে পরছে,আমি কোন কিছুই মেনে নিতে পারছিনা।প্রতি মুহূর্তে তারা তাদের রক্তলোলুপ দৃষ্টি দিয়ে চেটে খাচ্ছে আমার অর্ধনগ্ন শরীরটাকে।
আমার অসহায় জীবনটাকে শেষ করে দিচ্ছে। আমি অনুভব করছি আমার শেষ লজ্জাটুকু কেড়ে নিল তারা।কি করবো এখন??আমি অনুভব করলাম তারা ধীরে ধীরে প্রবেশ করছে ক্রমশ আমার শরীরে।যন্ত্রনায় কুঁকড়ে যাচ্ছে আমার শরীর।কি লজ্জা!!কি লজ্জা!!শর সহ্যায় আমি।
এক সময় শেষ হলো সবকিছু,আমি একা তখন রাস্তার ধারে ওরা একে একে ছেড়ে গেল। আমাকে কেউ দয়া করে মুখের উপর ছুড়ে দিয়ে গেল ওড়নাটা।যেন বলে গেল এই তোর শেষ যদি পারিস তো করে নে লজ্জা-নিবারণ।
কেটে গেছে অনেক সময় রাস্তায় শুয়ে আছি আমি। অনেক কষ্টে নিজেকে সামলে উঠলাম আমি ধর্ষিতা নারী।