ভরাডুবি
ভরাডুবি
প্রতিনিয়ত করে চলি জীবনটাকে মন্হন,
মিষ্টি জল পেয়ে গেলে করি বিতরন।
আর নোনা জল, সেও নিতে হবে মাথা পেতে,
তাও যে আমার একান্ত আপন।
কষ্টে ঢোক গিলি, চেষ্টা করি করতে গোপন।
কিন্তু যখন শরীরটাও বিদ্রোহ করে বসে,
এমনিতেই জেনে যায় কিছু লোকজন।
কেউ বা ভাবতে বসে, কেন আমার এমন আচরণ! আসলে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, শুধু বিদ্যা নয়,
দান করলে দুঃখ - কষ্টের ও বৃদ্ধি হয়।
তাই চুপচাপ সহ্য করতে চেষ্টা করি,
কিন্তু একেবারে চুপ থাকতে কোথায় পারি ?
সুযোগ পেলেই শুরু করে দিই, পাঁচালী বা লাচারি।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সমস্ত দোষটা থাকে আমারই,
কার ঘাড়েই বা দেবো দোষ, কাকেই বা কি বলি !
হয় খেতে ভুলে যাই, অথবা বাজে কিছু খেয়ে ফেলি।
"শরীরের নাম মহাশয়, যাহা সহাও তাহাই সয়,"
এই কথাটা, আর যেখানেই খাটুক না কেন,
খাওয়া-দাওয়ার বেলায় মোটেও সত্যি নয়।
নিজের মন বা শরীর, সবটাই এখনও অপরিচিত,
এই নিয়েই চলি, তাতে কোনো ক্ষতি নেই,
রক্ষা পাই শুধু, ওরা পরস্পরকে শত্রু না ভাবলেই।
নোনা জল খুঁজতে তো আর,
একেবারে মাঝ সমুদ্রে যাবার দরকার নেই____
ভরাডুবি হয় তীরেই, যদি থাকে নৌকোয় ফুঁটো।
প্রাণ টা যখন করে আইঢাই, তখন খুঁজি খড় কুটো!
মনে মনে ভেবে নিই এবার ঠিক হয়ে গেলে,
এরকম ভুল করা, আর কখনও নয়,
জানি তো আর ফিরে পাবোনা, এ জীবন চলে গেলে।
কিন্তু কথাগুলো মনে থাকে কতদিন, যাই যে ভুলে!