জোনাকিরা হেসেছিল
জোনাকিরা হেসেছিল


সৌন্দর্য দেখলেই মন চায়,
তাকে নিজের করি।
অদ্ভুত এই চাহিদা; পারিপার্শ্বিকটাও অদ্ভুত,
চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় প্রতি মুহূর্তে!
চাহিদা গুলো দানব, তোমায় দেখলেই চাগার দিয়ে ওঠে।
সেদিন শুনলাম, সেরমই একটা দৈত্য
সেদিন জ্বালিয়েছিল, মাধবীলতার যৌবন।
প্রমাদ গুনেছিলাম, ভয় হয়েছিল;
আমিও যদি?
না না, তা হয়ে না,
এমন পাষন্ড করে বিধাতা আমায় পাঠান নি।
রোজ বাড়ি ফেরার পথে দেখা;
কেমন আছো, থেকে শুরু হয়ে আজ মোবাইলে চ্যাট,
কিন্তু এখনেই তো শেষ নয়।
ওরা যে শুধু এটুকু তে খুশী নয়,
ওদের দাবী গুলো যে ভয়ানক।
ওরা তোমায় ছুতে চায়, করতে চায় ভোগ।
কিন্তু আমিও বান্দা না ছোড়;
মানুষ হওয়ার অঙ্গীকার
করেছি গ্রহণ;
ছাড়তে তো পারি না।
করুণার পরে এলো রাগের পালা,
খবর এলো তোমার আছে যে এক রঞ্জন।
আগুন লেগেছিল রক্তে, টুকরো করেছিলাম-
তোমায় নিয়ে লেখা সেই সমস্ত কবিতা;
বলিদান হয়েছিল শুধু আমার আর আমার কবিতার।
হোলাম দেশান্তরী, করলাম সাধু সঙ্গ,
ভাবলাম তাতেই বুঝি মুক্তি।
তবে মায়া কী অতো সহজে কাটে?
রবির উপেণ ভুলিয়ে ওঠেনি,
তার মা ভিটে কে, আর এতো প্রেম।
বছর কুড়ি পরে, চেনা স্টেশনে বসে আছি,
আবছায়া চোখে পড়লো, চেনা মুখ,
কিন্ত মলীন শুষ্ক, রুক্ষ।
বহু ঝড় গেছে বয়ে, অনেক যুদ্ধ গেছে হয়ে।
বিশ্রাম নিতে বসলেম পাশে, হাতে রাখলেম হাত;
সে একবার চাইলে আমার দিকে;
জোনাকিরা হেসেছিল।