রামধনুর দেশে
রামধনুর দেশে


ইচ্ছে করে ওই বর্ষার মেঘের
পিঠে চড়ে পৌঁছে যাই
রামধনুর দেশে,
সঙ্গে নেবো আমার মাকে
আর ফেলে আসা শৈশবকে,
সেই সব ছোট্ট ছোট্ট ঘটনা,
যেভাবে বড় হয়েছি
আবার শুনবো মা তোমার কাছে,
সেই যে মা তুমি বলনা
কবে যেন আছাড় খেয়েই
তোমার দিকে বুদ্ধুর মতো চেয়েছিলাম !
কান্না জুড়ে হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলাম
তোমার কোলে উঠবো বলে,
কতদিন তোমার কোলে শুইনা l
দুটো মাছ ছাড়া আমি খেতাম না
আর তুমি আমার সামনেই
একটা মাছ দু টুকরো করে
আমার বায়না মেটাতে,
এখন আর কিছুই আবদার করিনা!!
প্রথম বার তুমি যখন স্কুলে দিয়ে এলে
কেঁদে বাড়িই চলে এসেছিলাম,
পয়লা বৈশাখে তোমার সাথে
পুজো দিতে যেতাম
ফেরার পথে কোল্ড ড্রিংস আমার
চাইই,
জন্মদিনে আমার বন্ধুরা আসতো,
তোমার হাতে তৈরী পায়েস
লুচি আর ঘুঘনি উফ্
তারপর আর গিফটের কথা মনেই হতো না !
এখন কেক কাটি
রেস্তোরাঁয় পার্টি দিই
সেখানে তোমরা অপ্রাসঙ্গিক !!
মা মনে আছে আমরা বন্ধুরা
একসাথে স্কুলে যেতাম,
খেলতাম, কত আনন্দ হতো,
আর সেই ঝুলন, মাটির চাক কাটার ধুম
পাহাড় বানাও, ট্রেন লাইন করো
পুকুর বানাও, তার জন্য এঁটেল মাটি আনা
পরের কাজ তোমার
ঝুলন পূর্ণিমায় খিচুড়ি করা
সবাইকে দেয়া, আমি দেখতাম
সবাই খিচুড়ি পেল কিনা
আজ ঝুলন কেউ করে না l
সেই ছিল আমার সাত রাঙ্গা শৈশব
সেই সব স্মৃতি আবার দেখতে চাই
রামধনুর দেশে সাত রাঙ্গা রঙয়ের
রঙ্গীন আলোতে,
মা তোমার সাথে ll