এক আঁজলা সমুদ্র
এক আঁজলা সমুদ্র


প্রিয়তম পুরুষ,
আজ তোমার হাতেই তুলে দিলাম,
আমার সমুদ্র থেকে এক আঁজলা জল।
লবনাক্ত কান্না দিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়া
গভীর খাতের কিছু সম্পদ...করছে ছলছল।
তার নিজের কোন রঙ নেই।
কখনো সে আকাশের মতো নীল...
কখনো ডুবন্ত সূর্যের আবির রঙে হয় বিলীন
কখনো বা সোনালি রোদ ঝিকমিক করে
তাকে কনের সাজে সাজায়...
আছে সে দীর্ঘ প্রতীক্ষায়। তোমারই...
তাই কখনো আপত্তি করি নি ।
জানি তো যে এরা সকলেই পথসাথী।
কিছুটা পথ একসাথে চলবে।
কিছু ধনের আদান প্রদান ঘটবে।
তারপর কোন বাঁকে হারিয়ে যাবে
অথবা কোন চৌমাথায় পথ বদল করবে।
আমাকে তবুও চলতে হবে...আরো।
অনন্তকালের সে চলা।
ভেসে চলা...ও বলতে পারো...
ঐ পালতোলা নৌকাটির মতো,
আমার স্বপ্ন জমা করেছে যত।
সেজেছে অনুভব আর সংবেদনশীলতায়
দেখো...তাকে ডুবতে দিও না যেন।
তাকেও স্থান করে দিও তোমার আঁজলায়।
আর ঐ যে...ঐ চাতক পাখিটা; নিদারুন অসহায়।
তৃষ্ণার্ত সে, তবুও জল পান করতে আসতে তার ভয়।
আমার উলোট পুরান স্রোতকে দেখে উড়েই পালায়!
তোমার উপর নির্ভর করেছি দেখে আজ এসেছে...
নিয়মের বেড়াজালে বুঝি সেও ফেঁসেছে!
একাকীত্বের চাদরে লুকিয়ে থাকা বড়োই কঠিন।
ভালোবাসার মানুষটি আসবে...
আমার প্রেমাঞ্জলি দুহাতে তুলে নেবে...
তা নইলে যে আমি অসম্পূর্ণা...হলেও বা স্বাধীন।
জানি আজ তোমায় যা দিলাম
গড়িয়ে পড়তে পড়তে...একটু একটু করে
তা আমার কাছেই ফেরৎ আসবে।
আমার হৃদয় তোমার প্রেমে পরিপূর্ণ হবে।
দেয়া নেয়ার এই সম্পর্ক শর্তের অধীন।
রোমাঞ্চকতার আবডালে একদিন হবেই মলিন।
তবুও...তবুও আমি তোমার হাতেই তুলে দিলাম
আমার সমস্ত ঐশ্বর্য্য...ধরে রাখবে জানি...
আমার ভাষা...আমার বানী...আমার প্রেম...আমার কাহিনী
আর ঐ অবুঝ মন সাগরের এক আঁজলা পানি।।
-তোমারই প্রিয়তমা নারী