আমি একখানি কবিতা লিখেছি…
আমি একখানি কবিতা লিখেছি…
একখানি কবিতা লিখেছি…
তোমার জন্য নয়,
তোমার দেশের মাটির জন্য।
যে মাটির রঙ তামাটে নয়,
সবুজাভ ঘাসের গালিচা বিছানো,
গাঢ় সবুজ নয়, সে তো কচিকলাপাতাময়।
হলুদ ফুলরাশি পাপড়ি মেলে স্বাগত জানায়
প্রজাপতি, ভ্রমরের নিত্য আনাগোনায়,
আমার চঞ্চল মন নিমেষে ছুটে চলে যায়,
সবুজ-হলুদ প্রান্তর যখন দুলে ওঠে মৃদু হাওয়ায়,
তারা তোমারই শেখানো কথা বলতে থাকে...
বলে, “ভালোবাসি তোমায়...”
আমি যে কবিতা লিখেছি...
তোমার জন্যে কখনোই নয় সে,
ঐ নীল আকাশের জন্যে,
সাদা মেঘের টুকরোয় যে
সামিয়ানা সাজিয়েছে...
তার নীচেই শুয়ে তুমি রাতের তারা দেখো, তাই না?
কোটি কোটি নক্ষত্র পুঞ্জের মধ্যে,
আমাকেই কি তুমি খোঁজ...? বলো না...
আমি একখানি কবিতা লিখেছিলাম,
তোমার জন্যে ছিল না সে তো,
গানের কলি হয়ে ধরা দিয়েছিল তবুও...
মন-মাঝি’র দো’তারার সুরে সুরে
একাকী নাও তখন বাঁধা ছিল তীরে।
স্বপ্নে দেখেছিলাম তোমায় নৌকার মাঝি-রূপে,
এক কণা ভালোবাসার বিনিময়ে,
নদী পার হয়েছিলাম...
আমার কবিতায় সেই কথাই লিখেছিলাম।
আমি যেন তোমার দেশের ঐ ছোট্ট নদী,
এঁকেবেঁকে বয়ে চলেছি...
অচল, অটল সেই বয়ে চলা, ঠিকানাহীন।
তুমি তার পাড়েই বসে আছো...
স্বচ্ছতার আয়নায় নিজেকেই দেখছো...
আর মনে মনে না জানি
কত শত শব্দরেখার আহরণ করছো...
আমার হৃদয় তোমার সে শব্দ শুনেছে,
তাই সে নতুন কবিতা রচনা করেছে।
তবে সে কবিতা তোমারও নয়, আমারও নয়।
প্রেম, ভালোবাসা, বিপ্লবের নামে উৎসর্গ করেছি...
রোমাঞ্চকর সে কবিতা, আমি লিখতে পেরেছি।।