অবুঝ শিশুমন
অবুঝ শিশুমন
আমাদের প্রত্যেকের মধ্যেই
একটি শিশু লুকিয়ে থাকে;
একটি অবুঝ শিশুমন।
কখনো সে পাখীর ডানায় ভর করে
উড়ে যায় দূর আকাশে...
কখনোবা নদীর বুকে ছড়িয়ে দেয়
একমুঠো গেরুয়া আবির...
কখনো আবার প্রজাপতির পাখার
রঙ গায়ে মেখে ছুটে বেড়ায়
দারুচিনি দ্বীপের গুল বাগিচায়...।
সন্ধ্যার আকাশে তার ধ্রুবতারা হতে বাধা নেই;
রাতের আঁধারে জোনাক হয়ে পথ দেখাতে মানা নেই;
নেই কোন বাধা ঝড়ো বিকেলে আম কুড়োতে যাওয়ার...
কি যে সুখ ঠাকুমার বয়াম থেকে আঁচার চুরি করে খাওয়ার...!
মানা নেই তার ভঙ্গুর দেবালয়ে সাঁঝবাতি হয়ে জ্বলতে...
বাধা নেই অন্ধের যষ্ঠী হয়ে বিনিদ্র পথ চলতে...
ভালো লাগে...
নীলসাগরে সাদা ঢেউয়ের মাথায় ডিঙি নিয়ে ভাসতে...
আরো ভালো লাগে...ঘুড়ি হয়ে
কালো মেঘের সাথে লুকোচুরি খেলতে...।
অপার আনন্দ খুঁজে বেড়ায় সে সাদা কাশের বনে
রাগে, অভিমান সে বৃষ্টি হয়ে ঝরে কারণে অকারণে।
তবুও সে মন যখন নিঃশব্দে চুরি হয়ে যায়
জীবনের অসম লড়াইয়ে হেরে গিয়ে ডোবে অবসন্নতায়
আর একটি শিশুমন তখন তাকে ঘুম থেকে জাগায়;
সোনার কাঠি, রূপোর কাঠি ছুঁইয়ে বলে,
"ওঠো...জাগো...এসেছি আমি...দেখো...
শুধু ভালোবাসতে তোমায়..."।