একটা চিঠি না ফেরার দেশে #১
একটা চিঠি না ফেরার দেশে #১


প্রিয় মা,
কেমন আছো না ফেরার দেশে?
আশা করি ভালো আছো।
আমরা সবাই ভালো আছি ।
শুধু জীবনে চলার পথ টা একটু কঠিন হচ্ছে তোমাকে ছাড়া।
জানো মা আজকাল প্রায়, ঠিক ঠাক খাওয়া দাওয়া হয় না,
আসলে কাজের চাপে হয়ে ওঠে না সময়।
মাঝে মাঝে না খেয়েই চলে যেতে হয় ক্লাসে।
কতদিন অন্যের হাতের রান্না খাইনি, নিজের হাতের রান্না র স্বাদ আর যেনো ভালো লাগে না।
আজ কাল দেরি হয়ে গেলে, ভাত মেখে খাইয়ে দেওয়ার কেউ নেই।
জানো মা আমার বন্ধুদের মায়েরা আজ ও ওদের খাইয়ে দেয়।
তুমি ও দিতে মা, কত রাগ দেখতাম তখন বলো, তোমার উপর।
না খেয়ে ক্লাস যেতাম, বার বার বলতে খেয়ে যাবার কথা।
কিন্তু আজ আর খিদে পেলেও কেউ বলেনা খাওয়ার কথা।
জানো মা কাল রাতে ঘুম আসে নি, বড্ড মন খারাপ ছিল ।
আজ হঠাৎ কাক ভোরে ই ঘুম ভেঙে গেছে।
কিন্তু পাশ ফিরে শুয়ে তোমার গায়ের গন্ধ টা আর পাই নি।
তোমাকে জড়িয়ে ধরে আবার ঘুমের দেশে পারি দিতে পারিনি ।
মন খারাপে আজ আর মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়ার কেউ যে নেই মা।
কখনও কখনও আমার খুব কাঁদতে ইচ্ছে করে, তোমাকে জড়িয়ে ধরে, সেটা ও যে আর পারি না।এমন কি কথা ছিল... বলো... ?
জানো মাঝে মাঝে আমি বড় ক্লান্ত হয়ে পরি, আর হাসতে পারি না।
ইচ্ছে করে চিৎকার করে কাঁদি, কিন্তু উপায় নেই।
আচ্ছা কেনো বলতো মায়েরা সারাজীবন সাথে থাকে না?
তুমি কি একটু বড্ড তাড়াতাড়ি চলে গেলে না মা?
আমি যে এখনও এতটাও বড় হয় নি,সব কিছু সামলে নেবো।
খুব কি দরকার ছিল এতো টা একা করে দেওয়ার?
আমার ঘরে তোমার ছবির কাছে রাখা শুঁকিয়ে আশা রজনীগন্ধার গন্ধ টা বার বার মনে করিয়ে দেয়,তুমি নেই ।
আচ্ছা মা , আজ এই টুকু থাক , তুমি ভালো থেকো... ।
কথা দিতে পারছি না তবে আমিও রোজ চেষ্টা করে যাবো ভালো থাকার ।
ইতি
.....................