বৃদ্ধ বাড়িটা
বৃদ্ধ বাড়িটা
ফেলে আসা জীবনের অজানা ভালোবাসায় টানে
আবার ফিরে এলাম আমার প্রিয় সেই বাড়িটায়
যেটার সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক ছিল একদিন
কিন্তু বিশেষ অধিকার ছিল না কোনো দিন।
ছেলেবেলার আনন্দ দুঃখের সাক্ষী হাজার স্মৃতির
বাবার বোকুনি থেকে শুরু করে মায়ের মার
বড়দের সাথে রাগ অভিমান হাসি খুনশুটি
ভাই বোনদের সাথে মারপিট আর ঝগড়া ঝাটি
বাড়িটা এক কথায় গমগমিয়ে থাকতো নিয়ে যৌথ পরিবার
সুখ- দুঃখ, হাসি- কান্নার এই নিয়েই কাটত দিন রাত্রি
তারপর গুটি গুটি পায়ে এগিয়েছে দীর্ঘ সময় বছর
সবার জীবনেই ঘটেছে অনেক সুখ দুঃখের ঘটনা
বৃদ্ধরা চিরতরে চলে গিয়েছে না ফেরার দেশে
মেয়েদের বিয়ে ছেলেরা কাজের সূত্রে বাইরে এখন।
আর আগের মতো নেই সেই প্রিয় বারান্দার কোন
যেখানে ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে যেত কারনে অকারণে
যেখানে স্কুল বইয়ের নিজ গল্পের বই রেখে শিখেছিলাম গল্প পড়া
ছোট্ট বেলায় এটাই ছিল আমার মন ভালো করা পৃথিবী
সময় বদলেছে বদলে গিয়েছি আমরা ও কিন্তু বাড়িটা বদলাতে পারে নি
তার সেই পুরনো স্বভাবেই দাঁড়িয়ে আছে কঙ্কাল সার শরীরে
চাল ফুটো দেয়াল থেকে মাটি অবিরত পরছে ঝরে
তবুও যেন কারো ওপর একফোঁটা অভিমান নেই তার
এখন শুধুই বাড়িটা যেন দিন গুনছে অজানা অপেক্ষায়
প্রতি মুহুর্ত চেনা মানুষের একটু স্পর্শ পাওয়ার আশায়।