যৌবন যখন জীর্ণ
যৌবন যখন জীর্ণ
সময় এগিয়ে চলে কালের নিয়মে কিন্তু জীবন ?
বিশেষ করে শিক্ষিত নিম্মবিত্ত ছেলেমেয়েদের জীবন…
সেদিন এসেছিল যৌবন সময়ের সাথে দেখা করতে
অনেক মান অভিমান বুকে নিয়ে একেবারে বিদায় জানাতে
নির্ধারিত দিনের আগেই চায় চলে যেতে আর না ফিরতে
সময়ের অনেক আগেই পাঠিয়ে দেবে বার্ধক্য কে
যেখানে সঠিক মূল্য নেই কি বা হবে সেখানে থেকে।
সময় কোনো উত্তর দেননি শুধুই কথা গিলেছে বোবা হয়ে
অবাক চোখে তাকিয়ে থেকেছে ফেল ফেলিয়ে
সে নিজেও জানে না এর শেষ কোথায় উত্তরই কি হবে
যেখানে তাকে নিজেকেই মাথানত করতে হয়েছে পরিস্থিতির আগে ।
শুরু দিনগুলোএমন ছিল না শৈশব জীবন সুন্দর কাটিয়ে
কৈশোর ও খুব একটা খারাপ ছিল না বাকিদের মতোই ভালো
তারপর কালের নিয়মে কৈশোর যখন বিদায় জানায়
জীবনে সব থেকে সুন্দর মুহূর্তে ডালি নিয়ে দরজায়
বারবার কড়া নেড়েছিল যৌবন কিন্তু সে নিজেই
এড়িয়ে গিয়েছে অপেক্ষা করতে বলেছে একটু সময়
যাতে পড়াশোনা করে জীবনে সফলতা পেয়ে অর্থ কষ্ট ঘুচিয়ে
সাদরে আমন্ত্রণ জানাতে পারে যৌবনকে দুহাত বাড়িয়ে।
ভেবে ছিল ছোট থেকে কষ্ট করে এসেছি আরও একটু সহ্য করে নেই
তার পর চাকরি পেয়ে জীবন যৌবন কে সুন্দর বানিয়ে নেবে
কিন্তু হায় জীবন যে সবার পরিকল্পনা মতো চলে না
বিশেষ করে নিম্ম মধ্যবিত্ত শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের জীবন
এদের জীবন সময় আর পরিস্থিতির জাঁতাকলে আবদ্ধ
দু পা এগিয়ে গেলে পাঁচ পা পেছিয়ে আস্তে বাধ্য হয়।
কথায় আছে অবহেলা করলে নাকি মুখ ফিরিয়ে নেয়
এদের সাথে সেটাই হয়েছে যৌবন মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে
জীবনের সব থেকে সুন্দর মুহূর্ত জীবনে না এসেই জীবন থেকে বিদায় নেবে চুপিসারে জীবনকে ফাঁকি দিয়ে।
এর জন্য দায়ী কে,নিজে? অন্য কেউ? কেউ জানে না..
মেনে নিয়েছে ভুলটা ,তাদের ভুল হয়েছে ভুল সময়ে জন্ম নিয়ে ।
