ক্ষুধা
ক্ষুধা
রং লেগেছে বুভুক্ষূদের মনে,
সান্ধ্য আইন জারি হবার পরে,
কার্ফু - সে তো ক্ষুব্ধ জনগণে,
ঢুকিয়ে দিতে অন্ধকার ঘরে ।
পেটের টানে বন্ধ হলে হাওয়া,
জল আসে না পথের টাইমকলে,
নিত্য যার এমনি আসা যাওয়া,
বিপ্লব কি বিদ্রোহ ছাড়া চলে !
সহিংস হোক; অহিংস হোক সবি,
ক্ষুধার প্রতি জীবের নাড়ীর টান
বিপ্লব তো মেঘের আড়ে রবি,
পীঠ ঠেকানো দেয়ালে লেখা গান।
ভোমরা কালো মনের আলোগুলো,
চোখ ধাঁধানো দালান বাড়ির ভিতর,
প্রভু ভক্ত পোষা কুকুর ভুলো,,
ক্ষিধে পেলেই মানুষ হয় ইতর।
কাঁদে যারা পথের ধূলা মেখে,
নয়ন জলে সিক্ত করে মাটি,
ভাগ্য তাদের কোন কালিতে লেখে,
উদর হল বিপ্লবীদের ঘাঁটি ।
গুলি খেয়ে মুক্ত করে ক্ষিধে,
লুঠের মালে ভাগ বসাতে যেয়ে,
বিদ্রোহ যায় চিরশান্তির নীদে,
জীবন চলে আপন তরী বেয়ে।
বিশ্ব জুড়ে হোক না গবেষণা,
নোবেল আসুক এক একটি ঘরে,
পেটের সাথে ক্ষিধের বনিবনা,
দেখতে চাই হয় তা কেমন করে।
বিপ্লব চাই ; বিদ্রোহ নয়, বুঝলে ?
ডুকরে কাঁদো; ঠুকরে দিয়ে মন,
কুঁকড়ে ওঠা ব্যথার সাথে যুঝলে,
ক্ষিধে আর করবে না জ্বালাতন।
বাঁ হাতটি রেখ না টেবিল তলায়,
দু"হাত ঠেকাও আপন কপাল ধারে,
কেউ দিবে না গামছা তোমার গলায়,
যাবে ক্ষিধে সাগরবেলায় ব্যর্থ নমস্কারে।