একদিন এক ঝড়ের রাতে
মন বারান্দায় তিন কোণাতে
বসে বসে হয়ত তুমি করছ লেখালেখি,
বই পত্তর ফেলে দিয়ে
স্বপ্ন দেখি তোমায় নিয়ে
কাগজ কলম নিলাম হাতে তোমার দেখাদেখি।
মেঘমন্দ্র ছন্দে তুমি ঝরছ অঝোর ধারে,
বারেক ফিরে চাইলে নাকো,
দিয়েছি পেতে হৃদয় সাঁকো,
শুনব বলে নূপুর ধ্বণি দিয়েছি খুলে দ্বারে ।
টুটটুপ ওই দু''চার ফোঁটা
বৃষ্টি এল কয়েকশোটা ,
কান্না হয়ে ঢাকল আমার আঁখি পল্লব দামে,
বিভোর হয়ে ভিজছি তখন তোমার দেহের ঘামে ।
হঠাৎ করে উঠলে ডেকে
কলম দিয়ে কাগজে লেখে,
মনের ভাষা প্রকাশ করে সাধারণত কবি,
এই দেখ দু' চোখের তারায়,
কবি কেমন কাব্য ঝরায় ,
আমার মত জলের ফোঁটায় -ফোটায় এমন ছবি ।
রামধনু নয় ; রামের তনু,
বক্ষ চিরে দেখায় হনু ,
প্রেমের ভাষা লুকিয়ে থাকে এমন গোপন থানে,
আমায় ভালো বাসবি যদি,
ভরাও দেখি মরা নদী ,
আমার মত স্রোতের ধারা বইতে কে বা জানে !
পাই না খুঁজে এমন ভাষা ,
এমন শক্তি কীর্তিনাশা ,
হয়তো এবার বলবে তুমি এমন কি আর দিবি ,
তার চেয়ে তো মরণ ভালো ,
ভাষায় যখন ফোটে না আলো ,,
চোখের তারায় ভেসে আসে ছন্দ এক পৃথিবী ।
কবিতা নয় কাব্য লিখি -
তাকে দেখে যা যা শিখি ,
খাতার পাতায় প্রতি পৃষ্ঠায় প্লাবণ বয়ে আনে
হোক না উঠোন উঁচু নীচু,
পাথুরে জমি, বালির কিছু ,
কাঁকর ভেঙে নাচতে পারে নৃত্য যে জন জানে ।,