কলকাতার বই পাড়া
কলকাতার বই পাড়া
ছোট্ট ছোট্ট পায়ে উঁকি দিচ্ছে সাহিত্য, কলা, ডাক্তারী, কারিগরি, বিজ্ঞান। সাথে ডাই করা কিলো দরে খাতা।
গল্পের বইয়েরা র্যাকে উশখুশ করছে কখন তাদের একটু বাইরে বেরোতে দেবে।
এ ক’দিনে বন্ধ ঘরে সঞ্জীব, শঙ্কর, শীর্ষেন্দু স্মরণজিৎ, শঙ্খ, মন্দাক্রান্তা সবাই মিলে কত মিটিং করেছেন,
যতটুকু আলো ঘরে আসে তা কিভাবে সব বইয়েদের উপর ছড়িয়ে পড়ে।
তাঁরা হাওয়াকে অনুরোধ করেছে সবার সাথে দিনে যেন একবার দেখা করে।
সেদিন তুমুল বৃষ্টিতে শরৎ, রবীন্দ্র, সুনীল, অবনী আগলে রেখেছেন বাকীদের
যখন জলের ঝাপ্টা আসছিল কোণের ভাঙ্গা জানা
লাটা থেকে।
দশ আরো বারো ক্লাস তো একদিন খুব কান্নাকাটি, তারা কবে যাবে বাড়ী, তার সাথে কান্না জুড়ল সেই খাতারা।
সেরাতে মাঝরাতে এলেন বিদ্যাসাগর, অরবিন্দ, নজরুল, গান্ধীজী, নীলরতন, এসে বোঝালেন বই খাতাদের।
বললেন ভেঙ্গে না পরতে, ঝকঝকে রোদ আসবেই এর পর।
পরদিন বৃষ্টি ভেজা আকাশে বইয়েরা দেখল অপূর্ব এক রামধনু।
আর ভেজা আকাশে যেন আগমনীর হাল্কা সুর। সেই দেখে ধীর পায়ে বইয়েরা এল ঘরের বাইরে।
কান পেতে শুনলো সেই পরিচিত পায়ের একটা দুটো শব্দ।
ভাদ্রের ভ্যাপসা গরমে ও মন উঠল নেচে বইদের বাড়ী যাবার অপার আনন্দে।