যন্ত্রণা
যন্ত্রণা
কর্পোরেট হাসি নিয়ে,
বেঁচে আছি রঙ্গিন মুখোশের আড়ালে।
আমার ভেতরের যন্ত্রণা গুলো লুকাতে
হয়ে উঠেছি যেনো দক্ষ এক কারিগর।
অনুভূতি আর ইচ্ছা গুলো মাটি চাপা দিয়ে,
নিজেকে সঁপে দিয়েছি এই ব্যাস্ততার শহরে,
শুধু নিজেকে ভালো রাখবো বলে।
তবে কি আমি ভুলে গিয়েছি আমারো যে যন্ত্রণা আছে?
নিজেকে হারিয়ে ফেলতে চেয়েও বার বার আটকে যাচ্ছি অদৃশ্য কোনো যন্ত্রণার কাঁটাতারে?
নাহ আমি কিছুই ভুলি নি, সবকিছু হৃদয়ে ধারন করেই উন্মাদ হয়ে ভালো থাকার খেলায় মজেছি।
নিজেকে মানিয়ে নিতে ছুটেছি প্রতিনিয়ত।
অতঃপর ব্যাস্তময় রঙ্গিন দিন শেষে,
আমি ফিরে আসি আমার নিজ বাসস্থানে।
রাতের ঘুম গুলো যেনো আমাকে অসুস্থ করে তোলে,
আমাকে ভালো থাকতে দেয় না বিভৎস রাত গুলো।
ক্লান্তি মাখা রাতে আমিও অসহায়,
যেনো যন্ত্রণা আমায় আকরে ধরে ,
আমি শ্বাস নিতে ভুলে যাই।
বুকের বা পাশটায় যেনো রক্তক্ষরণ শুরু হয়,
কি বেদনাময় এই রক্তক্ষরণ!
যেনো এ যন্ত্রতা আমাকে অন্ধকারে বন্ধ করবে।
প্রতিটা রাত শেষে ভোর হতে সহস্র অপেক্ষার প্রহর শুরু হয়!
এই যন্ত্রণায় কাতর হয়ে নিজেকে ভেঙে দিয়ে, আবার খুচরো করে জমা করি ।
এই ভাঙা গড়ার মধ্য দিয়েই আমি নিস্তেজ হয়ে পরবো ।
কর্পোরেট এর হাসি টাও আমাবস্যার রাতের আধারে হারিয়ে যাবে।
রচনা হবে কোনো এক নক্ষত্র ঝরে গিয়ে কৃষ্ণচূরা হওয়ার গল্প।
এমন এক ঘুমন্ত রাতে মৃত্যু হবে যে রাতে আকাশ কাঁদবে অঝোরে।
অতঃপর আমি হেরে যাবো ভালো থাকার উন্মাদ খেলায়।