মন কেমন
মন কেমন
মাঝরাতে মন কেমন সত্যিই তো হয়েছিলো!
দিন তিনেক আগের কথা,
সকালের তৈরী করা রুটি বেঁচে গিয়েছিলো।
তাতে, রাতে প্রতিলিপিতে বেশ,
আরও একটু বেশিক্ষণ সময় কাটানো গেল।
রাতে খাবার সময় ওগুলোই সেঁকে নেওয়া হলো,
যদিও এখন আবার দাঁত আছে বত্রিশটাই,
কিন্তু সব দাঁতে আগের মতো আর জোড় নেই।
মদন-কটকটি, ছোলা ভাজা বা আঁখ ছুলে খাওয়া__
সে সব তো কবেই গেছি ভুলে,
এখন সাবধানে মুড়ি, চানাচুর, বাদাম খাওয়া চলে।
শক্ত শক্ত রুটি টেনে টেনে ছিঁড়ে ছিঁড়ে,
চিবিয়ে করেছি দুজনেই গলাধকরণ কোনোমতে,
ছিলো কোনও তরকারি পাতে, হয়তো তার সাথে।
দাঁত মেজে, মুখ ধুয়ে, যথারীতি আমি বিছানাতে,
এপাশ, ওপাশ, কখনও পায়ের দিকে মাথা রেখে,
করছি চেষ্টা একটু ঘুমিয়ে পড়তে।
কিন্তু ডান পাশের সবগুলো দাঁত অল্প ব্যথার চোটে,
কিছুতেই ঘুম আসছেনা একেবারে কোনও মতে।
ঘন্টা খানেক পার হবার পর শুনি শব্দ রান্না ঘরে,
বুঝেছি খুটখাট ক'রে নিজের জন্যে মানুষটা চা করে।
হাঁক দিয়ে বলি " হ্যাঁ গো, তোমার কাছে,
দাঁত ব্যাথা কমানোর কোনও ওষুধ কি আছে?"
"হুমম, এই নাও।" দিয়ে দেয় ওষুধটা আমার হাতে।
ওষুধটা খাবার পর ভাবি,কি করে দিলো সাথে সাথে?
নিজেই বলে, "একটাই ছিলো, ভেবেছিলাম খাবো, আসলে ব্যাথার____ ওষুধ খাওয়া তো ভালো নয়।"
জানি তো! তবু হঠাৎ মাঝে মধ্যে এমন দরকার হয়।
তার মানে দাঁত ব্যাথা দুজনেরই হয়েছিলো।
নিজের ব্যাথার কথা ভুলে, ওষুধটা দিয়ে দিলো !
একেই কি সহমর্মিতা বা ভালোবাসা কয় !
মনের টান থাকলে "আমি তোমাকে ভালোবাসি",
এই কথাটা মুখে বলার কি আর দরকার হয়?
মানুষের আচরনেই সবকিছু বোঝা যায়।
গম্ভীর মুখো অনেক মানুষই তো,
এই সামান্য কথাটা বলতে, হয়তো লজ্জ্বা পায়।
অথবা ইগোও থাকতে পারে কোনও সময়,
এই কারণেও কোনও সংসারে ভুল বোঝাবুঝি হয়।
কখনও সংসার ভেঙে গেলেও বা আলাদা থাকলেও,
মাঝ রাতে একে অপরের জন্য করে মন কেমন,
সন্ধি করে নিতে ঐ ইগোটাই বাধা দেয় তখন।