এক মুঠো বালি
এক মুঠো বালি
আশা যেন একমুঠো বালি, হিরের স্বপ্ন দেখাবে!
বেশী চাপলে পাথর হবে, বেশী তাপে কাঁচ হবে,
আবার মনযোগ না দিলে ঝুর ঝুর করে ___
আঙুলের ফাঁক গলে সব বেরিয়ে যাবে।
মানুষ কাঁঠাল এর বীজ দিয়ে রান্না করে,
দেয় যে নানান রকম ডাল-তরকারি তে।
এমন কি কাঁঠাল - বীজের ডাল ও বানায়,
ডালের অভাব না হলেও শখে সে ডাল দেয় পাতে।
আলুর মতো এই বীজকেও সেদ্ধ দেয় তারা ভাতে,
তেল নুন কাঁচা লঙ্কা দিয়েও মন্দ নয় এটি খেতে।
গাছের আশায় বীজ লাগায়, মানুষ ভিটা মাটিতে,
গাছ তো বিনা যত্নেও বাড়তে থাকে কোনোমতে।
হয়তো সেই গাছের ফল সে পায়না খেতে।
তাতে কি! এই ভিটাতেই থাকবে যারা,
জানা কথা, কাঁঠাল খেতে হয়তো পাবে তারা।
বিনা পারমিশনে পাখিরা কুটো দিয়ে বানাবে বাসা,
করবেই তারা দিব্যি ছানাপোনার আশা।
মুখে করে খাবার এনে দেবে তাদের মুখে তুলে,
ওড়া না শিখতে চাইলে, দেবেই তাদের ঠেলে ফেলে।
এরই নাম যে সত্যিকারের ভালোবাসা।
ছেলেপুলে মানুষ করতে গিয়ে একটু শাসন জরুরী,
তবেই হবে হয়তো মা-বাবার আশা পুরণ,
দরকার নেই বেশী জোরাজুরি।
ছাগলের আশা যেমন শুধুই কাঁঠাল পাতা,
শেয়ালের আশা তেমন পাকা কাঁঠাল।
একের পিঠে আরেক শেয়াল উঠে উঠে,
পায় কাঁঠাল গাছের ফলের নাগাল।
চেষ্টার কোনো বিকল্প নেই, কর্ম করা চাই,
চুপ করে বসে স্বপ্ন দেখলে, মিটবেনা কোনো আশা।
"পিরিতী কাঁঠাল এর আঠা" শুনেছে সবাই একথা,
প্রেম ভালোবাসা তো আর খারাপ নয়,
যদি তা শুদ্ধ রয়, যদি রয়ে সয়ে বুঝে এগোয়,
মাথায় যেন থাকে সকলের সর্ষের তেলের কথা।
সময়ের সাথে তাল রেখে চেতন ভাবে চললে,
থাকবেনা এঁচোড়ে পাকা হবার সম্ভাবনা।
তা না হলে, হাজার আশা থাকলে পরেও,
হিরের টুকরো ছেলে-মেয়েরা তৈরি হতে পারবেনা,
সমাজের বা নিজের কোনো কাজেই তা লাগবেনা।
বিস্বাদ কাঠাল শেষে লাগে শেয়াল এর ভোগে,
পেটের জোগাড় না করে কেউ পড়োনা প্রেম রোগে।