নটরাজের হীরা
নটরাজের হীরা
হটাৎ জেগে উঠেছে আজ বিশ্ব সুমেরুর অত্যাচারে
দিকে দিকে মহীরুহের আগমনী বার্তা তাই শুনি বারেবারে।
আমি নজরুলের দূত হয়ে আজ ফিরেছি আবার
লিখে যেতে রক্তকরবীর ন্যায় সত্য।
মোর সময় এসেছে যাবার।
আজ আমারও রক্তে আমি শুনেছি বিদ্রোহী কলতান
সেই রক্তেই তাই ফের লিখে যাব বিদ্রোহীদের গান।
এত মিথ্যার ভারে যদিও নুয়ে গেছে কলম
তবু কঠোর হাতে ভেঙে যাব আজ যত মৃত্যুবাহীর ভ্রম।
এককালে আমিও হারিয়েছি প্রান,গুলির আঘাতে।
তাইত তলোয়ার ছেড়ে আজ কালি কলম তুলেছি হাতে।
দেখেছি নতুন চাঁদ ওই অমাবস্যার মধ্য গগনে,
যেন ছড়িয়ে চলে
ছে ত্রাস একা বিপ্লবীদের মনে।
মরুর উত্তাপে আজ অগ্নি বীণার তারও উঠেছে জ্বলে
বহু যুগ পরে যেন আবার ফিরেছি,
মোর সেই দুঃ’খী মায়ের কোলে।
হায় ওরা যদি আবার কেড়ে নেয় সে মায়ের বস্ত্র
তাই ভীত সন্ত্রস্ত আমি আজ ফিরেই ধরেছি অস্ত্র।
যত কাঙাল যন্ত্রণা জানি মুছে গেছে এক নিমেষে
তবু বিদ্রোহী রনক্লান্ত মন বড় অবুঝ, শুধুই উঠেছে হেসে।
জানি এ সবই কোনও এক মোহের উন্মাদনা
তবু অন্তিমে আমিই করেছি শেষ;
এক বিদ্রোহ ঘোষণা।
বুঝি ছড়িয়ে গেছে বিষ, তরুন শিরায় শিরায়
আজ শেষে তাই আমি কয়লা খুঁজে চলেছি,
নটরাজের হীরায়!