চৌঠা মে
চৌঠা মে
হে পথিক, সোজা পথে যেও নাকো আর।
সে পথের প্রান্তে, উঠিয়াছে মরুর হাহাকার !
গুঞ্জন ওঠে দিকে দিকে আজ,
অন্তিম পথে নামছে ফন্দিবাজ!
আজ পৃথিবীর সোনার ধানের ক্ষেত,
কৃষকের বুকে হানছে লোহার বেত!
মজুরের ঘাড়ে মজার অত্যাচার,
হে পথিক আজ পথ্যের দরকার।
বেঁকে গেছে আজ যুদ্ধ জয়ের পথ।
অর্থের ভারে ডুবছে লোভির রথ!
সে পথের বাঁকে জমেছে অন্ধকার,
করুনার স্বরে ভাঙছে বন্ধ দ্বার!
হে পথিক আজ শিকল মুক্তি চাই,
হেথা, পরাধীনতা বিফল যুক্তি ভাই।
আজ পথের শুরুতে শান্তির বলিদান,
হে পথিক, তোরে ক্রান্তির আহ্বান ॥
ওই শোনো ধ্বংসের কলরব,
পথের দু ধারে বিছিয়ে চলেছে বিদ্রোহীদের শব!
একে একে শেষ একশো একটি সাল,
তবু ছেঁড়েনিকো অত্যাচারের জাল!
আজ, যে পথের নিচে মানুষের কঙ্কাল,
সে পথেই চলে অর্থলোভীর পাল।
আজও প্রভাতে কান্নার রোল ওঠে
অভুক্ত সব কঙ্কালসার ঠোঁটে!
তাই শেষ মেষ আবারও প্রয়োজন,
শতকের পরে আজকে আবার বিদ্রোহী আয়োজন।
হে পথিক তুই পথের অলংকার,
তপ্ত মরুর ঘূর্নীপথে মুক্তির হুঙ্কার!
ফের দলে দলে নামব মোরা,
উঁচিয়ে লাঙল কুঠার ছোরা,
করি আহ্বান,
এসো আজ ফের প্রানের রুদ্র হে,
ফিরেছে আবার সঙ্গে আমার সাধের চৌঠা মে! ॥