গোলাপ কালোও হয়
গোলাপ কালোও হয়
মানছি এ কথাটা যে, অন্ধকারের আছে প্রয়োজন,
অন্ধকার আছে বলেই আসে আলোর দিন।
নিশ্ছিদ্র অন্ধকারেই চেনা যায় নিজের মন,
ইচ্ছে করে অন্ধকারে চললে হোঁচট লাগবে অবশ্যই ,
অন্ধকারে হাঁটতে তাইতো মোটেই রাজি নই।
দাঁড়িয়ে আছে কেউ অন্ধকারে, ভাবতে ভয় করে!
ইশারায় হয়তো আমায় ডাকছে বারে বারে,
কিন্তু তাতে একটুও সাড়া জাগেনা আমার অন্তরে।
বেশ মনে আছে, শুধুমাত্র এই একটা কারণেই,
লেখা পড়তে বন্ধ করেছিলাম সুনীল গাঙ্গুলীর।
জানি তখন এটাও, এমন লেখা পড়তেই কেউ অধীর,
পরে, না জেনেই পড়েছি, মলাট ছেঁড়া "সেই সময়",
অবাক হয়ে শুধু ভেবেছি কেন এমন হয় !
যে মানুষ লিখতে পারে "একা এবং কয়েকজন"
তাঁর হাতেই কিছু অন্ধকারের লেখা কেন বের হয়!
এখনও চলছে লেখার এমন ট্রাডিশন হরদম,
তাই বলে মনে করার কারণ নেই তাঁদের পাঠক কম।
আসলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি সমাজের প্রতি লেখককুলের আছে কিছু দায়িত্ব, করতে হবে উন্নয়ন।
আলোর পথ দিয়েই জয় করতে হবে পাঠকের মন !
পপুলারিটি বাড়াতে অথবা জীবিকার কারণে, কোনও পাঠককে কখনো অন্ধকারে ডাকা ঠিক নয়।
এমনিতেই জীবনে কিছু না কিছু অন্ধকার রয়,
সাহিত্যে তাই অন্ধকার টেনে না আনলেই ভালো হয়।
যদিও লেখা পড়ে নৈতিক চরিত্র বদলানো সম্ভব নয়,
তবু যদি রুচিতে বাঁধে, তা কিছুতেই পড়া উচিত নয়।
চোরাবালি, দলাভূমি এড়িয়ে যাওয়াই ঠিক মনে হয়।
বাস্তবকে বাদ দিয়ে কখনও সাহিত্য নয়,
কিন্তু সেই কঠিন বাস্তবটাকে রুচিসম্মত ভাবে, উপাদেয় করে পরিবেশন করতে হয়।