অতনুকে আর ফিরিয়ে আনা গেল না
অতনুকে আর ফিরিয়ে আনা গেল না
সারা সকাল আমি সংবাদপত্রের অক্ষর মাপি
বিকিকিনির হাটে করি উইন্ডো শপিং,
কিনি না কিছুই
তবু দু একটি শব্দ কিংবা বাক্য--
অনাহূত অতিথির মত স্থান করে নেয় গভীরে
"অতনুকে আর ফিরিয়ে আনা গেল না"।
আমার ক্লান্ত হাত ঝেড়ে ফেলে
তার প্রভাতী অভ্যেস,
আমি উঠে পড়ি
ঝেড়ে ফেলি কালকের বাসি ধুলো,
জানি, ওরা আবার ফিরে আসবে আগামীকাল।
দূর থেকে ভেসে আসে কালকের মিলিয়ে যাওয়া
ফেরিওয়ালার ডাক,
ঝালে ঝোলে অম্বলে সাজানো টেবিল,
ফিরে আসে মাপা দুঃখ চাপা হাসি
ভুলে যাওয়ার সেই পুরনো অভ্যেস।
আজও ফিরে আসে শরতের মিঠে রোদ,
দুলে ওঠা কাশফুল,
দিন গোনার সেই মজার খেলা।
ফিরে আসে ঢাকের আওয়াজ,
গত বছরের তুলে রাখা লালপেড়ে ঢাকাই গরদ,
ফিরে আসে প্রাণপ্রতিমা।
সহস্র ফিরে আসার উল্লাসে
আমি কান পেতে শুনি একটি অস্ফুট হাহাকার,
না, অতনুকে আর ফিরিয়ে আনা গেল না।
ফেরে না কালো কালো অক্ষরগুলিতে হারিয়ে যাওয়া দুটি রোজগেরে হাত, একটি আঁচলের গন্ধ
কিংবা ফিরে আসব বলে যাওয়া--সেই কন্ঠস্বর।
না, ফেরে না কেউ, ফেরানো যায় না
যেমন, অতনুকে আর ফেরানো যায়নি।